২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নাইন-ইলেভেন হামলা : যে জন্য বাইডেনকে চাপ দিচ্ছে নিহতদের পরিবারগুলো

নাইন-ইলেভেন হামলা : যে জন্য বাইডেনকে চাপ দিচ্ছে নিহতদের পরিবারগুলো -

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের স্বজনরা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উদ্দেশে বলেছেন, তিনি যদি ওই আক্রমণের ব্যাপারে গোপন নথিপত্রগুলো প্রকাশ না করেন তাহলে তিনি যেন আগামী মাসে ওই হামলার ২০তম বার্ষিকীর স্মারক অনুষ্ঠানে না আসেন।

এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রায় ১ হাজার ৮০০ লোক। যারা ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনাবলীতে নিহত প্রায় ৩,০০০ লোকের পরিবারের সদস্য।

এরা চাইছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে এমন কিছু অতিগোপনীয় দলিলপত্র প্রকাশ করতে হবে যাতে ৯/১১-র ঘটনার পরিকল্পনায় জড়িত থাকা কিছু সৌদি কর্মকর্তার নাম আছে বলে তারা বিশ্বাস করেন।

তদন্তকারীরা বলছেন, ওই আক্রমণ চালিয়েছিল সন্ত্রাসী গ্রুপ আল-কায়েদা।

সেদিন আক্রমণকারীরা চারটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র ও ওয়াশিংটনের পেন্টাগন ভবনে আঘাত হানে, আরেকটি বিমান কোথাও আঘাত হানার আগেই বিধ্বস্ত হয়।

নিহতদের পরিবারগুলো অনেক দিন ধরেই যুক্তি দিয়ে আসছেন যে - সৌদি কর্মকর্তারা এ আক্রমণের কথা আগে থেকেই জানতেন, এবং তা ঠেকানোর জন্য কিছুই করেননি। তারা সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছেন তবে সৌদি আরব এতে জড়িত থাকার কথা বরাবরই অস্বীকার করেছে।

গত মাসেই সেই মামলায় কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সাবেক সৌদি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, কিন্তু তাদের বক্তব্য জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। এতে নিহতদের পরিবারগুলো আরো ক্ষুব্ধ হয়।

এ সংক্রান্ত মার্কিন গোপন দলিলপত্র ডিক্লসিফাই করতে অস্বীকার করেছেন তিনজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারা সবাই এ জন্য জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণ দেখান।

কিন্তু নিহতদের পরিবারগুলো বলছে, ২০০৪ সালে যে ৯/১১ কমিশন এ ঘটনার তদন্ত করেছিল তারা এমন তথ্যপ্রমাণ উদ্ঘাটন করেছিলো যে সৌদি সরকারি কর্মকর্তারা ওই আক্রমণকে সমর্থন করেছিলেন।

কিন্তু একের পর এক মার্কিন সরকার, বিচার বিভাগ এবং এফবিআই সক্রিয়ভাবে এ তথ্য গোপন রেখেছে, এবং মার্কিন জনগণকে পূর্ণ সত্য জানতে দিচ্ছে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার ২০ বছর পর এসব তথ্য গোপন রাখার কোন কারণই থাকতে পারে না। "তাই প্রেসিডেন্ট বাইডেন যদি তার প্রতিশ্রুতি না রেখে সৌদি সরকারের পক্ষ নেন - তাহলে আমরা ৯/১১র স্মারক অনুষ্ঠানে তার প্রশাসনের উপস্থিতির প্রকাশ্য বিরোথিতা করতে বাধ্য হবো- বলা হয় বিবৃতিতে।

ওই হামলার এক মাসেরও কম সময় পর প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ আফগানিস্তান আক্রমণ করেন আল-কায়দাকে নিশ্চিহ্ন করতে এবং ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে।

আমেরিকার নেতৃত্বাধীন এই অভিযানে যোগ দেয় আন্তর্জাতিক মিত্র জোট।

যুদ্ধ শুরুর কয়েক বছর পর ২০১১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে পায় পাকিস্তানের এ্যাবোটাবাদে এবং এক অভিযান চালিয়ে তাকে হত্যা করে।
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement