০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাধারণ নির্বাচনের আগে বিপাকে ঋষি সুনাক, গুরুত্বপূর্ণ উপনির্বাচনে পরাজয়

ঋষি সুনাক - ফাইল ছবি

আগামী বছরই সাধারণ নির্বাচন হবে ইংল্যান্ডে। তার আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের দল। উপনির্বাচনে নর্দার্ন লন্ডন আসনটি হেরে গেছে টোরি পার্টি। তাছাড়াও দক্ষিণ ইংল্যান্ডের একটি আসন হাতছাড়া হয়েছে ঋষি সুনাকের দলের। ওই দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দুই কেন্দ্রেই কনজারভেটিভ পার্টির জয় প্রায় নিশ্চিত ছিল। তবে এমপি পদ থেকে ইস্তফা দেয়া বরিস জনসনের আসনটি নিজেদের দখলে রেখেছে কনজারভেটিভ পার্টি।

গত অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেন ঋষি সুনাক। তারপর থেকেই দু’টি উপনির্বাচনে হেরেছে তার কনজারভেটিভ পার্টি। তৃতীয়বার উপনির্বাচনে হারলে ব্যর্থতার নয়া নজির গড়তেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে একটি আসনে কোনোমতে জয় পেয়ে লজ্জার নজির আটকেছে কনজারভেটিভ পার্টি। খুব কম ব্যবধানে সাউথ রুইসলিপ ও উক্সব্রিজ আসন দুটিতে জিতেছে ব্রিটেনের শাসক দল। কিন্তু দু’টি গুরুত্বপূর্ণ আসন তাদের হাতছাড়া হয়েছে।

শুক্রবার প্রকাশিত নির্বাচনের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, কনজারভেটিভদের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির দখলে গিয়েছে সেলবি ও আইনস্টি আসনটি। অন্যদিকে, মধ্যপন্থী মতাদর্শের লিবারাল ডেমোক্রাট প্রার্থী জিতেছেন সমারটন ও ফ্রোম আসনটি। তবে বরিস জনসনের ছেড়ে যাওয়া আসনে জিতলেও স্বস্তিতে থাকবে না কনজারভেটিভ পার্টি। সেখানে আগের তুলনায় বিরোধীদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ অনেকখানি বেড়েছে বলেই দেখা গেছে ফলাফলে।

ব্রিটিশ রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের মতে, পরপর হারের পরে আগামী সাধারণ নির্বাচনে অনেকটাই ব্যাকফুটে থাকবে কনজারভেটিভ পার্টি। ২০২৪ সালের শেষের দিকেই ওই দেশে নির্বাচন হতে পারে। ঋষি সুনাকের সরকারের ব্যর্থতার কারণ হিসাবে উঠে আসছে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর কর নীতি। সাধারণ মানুষের আর্থিক দুর্দশার পাশাপাশি অতিমারীর সময়ে ব্রিটিশ সরকারের পার্টি গেট নিয়েও ক্ষুব্ধ ভোটাররা। ফলে আগামী নির্বাচনে সুনাকের দল আদৌ ক্ষমতায় ফিরতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন


আরো সংবাদ



premium cement