কমনওয়েলথ গেমসে সোনাজয়ী টেবিল টেনিস তারকা মনিকা বাত্রাসহ সাতজন ভারতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে বিমানে উঠতে দিল না এয়ার ইন্ডিয়া।
সোমবার থেকে মেলবোর্নে শুরু হচ্ছে আইটিটিএফ ওয়ার্ল্ড ট্যুর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। তাতে যোগ দিতে রোববার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমান ধরার কথা ছিল ভারতের ১৭ জন প্রতিযোগীর। তবে মেলবোর্ন রওনা হতে পেরেছেন দলের ১০ জন খেলোয়াড়। এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ বাকিদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখার পর জানায়, বিমানে অতিরিক্ত বুকিং করা হয়েছে। এর ফলে মনিকা ছাড়াও দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া পাড়ি দিতে পারেননি শরত কমল, মৌমা দাস, মধুরিকা পাটকর, হরমীত দেশাই, সুতীর্থ মুখোপাধ্যায় ও সাথিয়া জ্ঞানশেখরন।
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন মনিকা। তিনি লিখেছেন, ‘...এয়ার ইন্ডিয়ার কাউন্টারে পৌঁছানোর পর আমাদের জানানো হয়, বিমানটি ওভারবুক হয়ে গেছে এবং টিটি দলের ১০ জনই তাতে চড়তে পারবেন। এই ঘটনায় আমরা শোকাহত। আমরা সাতজন যেতে পারিনি।’
মনিকা পোস্টটি ট্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে।
বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে সাথে সাথেই মনিকাকে রিপ্লাই দিয়ে স্পোর্টস ইন্ডিয়ার ডিজি নীলম কাপুর টুইটে জানান, ‘অবিলম্বে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’ সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরো পড়ুন :
খারাপ এয়ারলাইন্সের তালিকায় এয়ার ইন্ডিয়া
আইএএনএস ও এনডিটিভি, ১১ জানুয়ারি ২০১৭
২০১৬ সালে বিমান পরিষেবায় বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ এয়ারলাইন্সের তালিকায় তিন নম্বরে স্থান পেয়েছে ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এয়ার ইন্ডিয়া। অ্যাভিয়েশন ইনসাইটস কোম্পানি ‘ফ্লাইট স্টেটস’ প্রতি বছর বিশ্বের সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের কর্মক্ষমতার ওপর রিপোর্ট তৈরি করে। তাতে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়। খারাপ পরিষেবার বিচারে শতাংশের হিসেবে সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠান, তারাই পরিষেবায় এগিয়ে।
বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এ রিপোর্ট। সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, ওঠানামার নির্ধারিত সময়সূচির ওপর। সেসব সংস্থার বিমান সবচেয়ে বেশি দেরি করেছে, তাদের পরিষেবার মান নিচে। সময়সূচি ছাড়াও ফ্লাইট ট্র্যাকিং, র্যাডার সার্ভিস, বিমান অবতরণের সময় সব কিছুর আলোকেই ওই রিপোর্টে তালিকা করা হয়েছে বলে ফ্লাইটস্টেটসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
'এতই বাজে যে, বিক্রি করতে চাইলেও কেউ এয়ার ইন্ডিয়া কিনবে না'
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০৯ জুন ২০১৬
এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা এতই হতাশাজনক, যে সরকার বিক্রি করতে চাইলেও ওই সংস্থা কেউ কিনবে না৷ ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু৷
ওই বিমান সংস্থার মাথার উপরে এই মুহূর্তে ৫০ হাজার কোটি রুপিরও বেশি দেনা রয়েছে৷ বিমানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের করের টাকায় আর বেশিদিন সংস্থার লোকসানের বোঝা বইবে না কেন্দ্র৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ঘুরে দাঁড়াতে পরিষেবার মান আরো উন্নত করার উপরে জোর দিতে হবে সংস্থাকে৷
অন্যদিকে, মুটিয়ে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রু-দের রোগা হতে ৬ মাস সময় বেঁধে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ৷ সংস্থা সূত্রে খবর, ২৮০০ জন বিমানকর্মীর মধ্যে ১৫০ জন কর্মীই মোটা হয়ে গিয়েছেন৷ তারা আগামী তিন মাস উড়ানে যেতে পারবেন৷ তিন মাস পর তাদের ওজন মেপে দেখা হবে৷ ৬ মাস পরও স্বাভাবিক আকৃতিতে ফিরতে না পারলে তাদের ওড়ার অনুমতি দেয়া হবে না৷
৩০ সিনিয়র পাইলটের পদত্যাগ, বিপাকে এয়ার ইন্ডিয়া
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
একসঙ্গে চাকরি ছাড়লেন ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার ৩০ জন সিনিয়র পাইলট। সূত্রের খবর, চাকরি ছাড়া ৩০ জনই এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিম লাইনারের চালক। এতজন চালকের একসঙ্গে চাকরি ছাড়ায় এয়ার ইন্ডিয়া বিপাকে পড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
হিন্দুস্থান টাইমস সূত্রে খবর, এয়ার ইন্ডিয়া এই বিমান চালকদের তিন বছর প্রশিক্ষণ দিতে প্রায় ১৫ কোটি রুপি খরচ করেছিল। একই সঙ্গে প্রত্যেক চালকেরই কম করে ৪,০০০ ঘণ্টা বিমান চালানর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে আগামী দিনে সহজেই তারা যেকোনো বেসরকারি বিমান সংস্থায় চালক হিসাবে যোগ দিতে পারবেন।
কেন এভাবে এতজন একসঙ্গে চাকরি ছাড়লেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। মনে করা হচ্ছে চাকরির মান, আগামী দিনের সুযোগ ও বেতন কাঠামো নিয়ে খুশি ছিলেন না এই চালকেরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা