২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


‘ভগবান শঙ্করের বিষপানের মতো সব সহ্য করেছেন মোদি’

নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ - ছবি : সংগৃহীত

‘দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে এই মামলার জেরে রোজ কষ্ট পেতে দেখেছি মোদিজিকে। ভগবান শিবের মতো ‘বিষ’ পান করে যন্ত্রণার সাথে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন মোদিজি। অবশেষে তিনি স্বস্তি পেলেন’, গুজরাট দাঙ্গায় মোদি সুপ্রিম কোর্ট থেকে দায়মুক্তি পাওয়ার পর এ প্রসঙ্গে বললেন অমিত শাহ।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার পিছনে বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছিল বলেও সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

দাঙ্গায় নিহত সাবেক কংগ্রেস সংসদ সদস্য এহসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়ার দায়ের করা আবেদন শুক্রবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ আরো কয়েকজনকে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট আগেই দায়মুক্তি দেয়। সিটের সেই তদন্তের রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিহত এমপি জাফরির স্ত্রী। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের সেই রায়ে দায়মুক্তি পেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মোদিকে দায়মুক্তি দেয়ার পরেই এ ব্যাপারে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সংবাদসংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মোদিজি তখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সবসময় আইনে বিশ্বাস করতেন। আমি খুশি যে মোদিজি একটি উদাহরণ তৈরি করতে পেরেছেন। অভিযোগ যাই হোক না কেন, তিনি সর্বদা আইনে বিশ্বাস করেছিলেন। সংবিধানকেই মান্যতা দিয়েছিলেন।’

আদালতের রায়েই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন মোদি, এক্ষেত্রে বিরোধীদের আর কোনো অভিযোগ থাকা উচিত নয় বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার কথায়, ‘সেশন কোর্ট, হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও একই রায় দেয়া হয়েছে…। এখন যদি আপনারা এই রায় গ্রহণ না করতে পারেন তাহলে কী করা যেতে পারে?’

বিজেপি কোনোভাবে গুজরাট দাঙ্গায় জড়িত নয় বলে আবারো দাবি করেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘দাঙ্গা যদি বিজেপির জন্য উপকারীই হতো, তবে আমরা আরো সেই দাঙ্গার পরিস্থিতিতে উসকে দিতাম।’

২০০২ সাথে গুজরাটে দাঙ্গা শুরু হওয়ার পরপরই সেনাবাহিনীকে ডাকার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার- এ কথা উল্লেখ করে অমিত শাহ বলেন, ‘গুজরাট সরকার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিল। আমরা আর দেরি করিনি। যেদিন গুজরাট বন্‌ধের ডাক দেয়া হয়েছিল, সেদিন বিকেলেই আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকেছিলাম। আর্মি পৌঁছতে কিছুটা সময় নেয়…একদিনের জন্যও দেরি করা হয়নি। আদালতও এই ভূমিকার প্রশংসা করেছে।’

গুজরাট দাঙ্গার পিছনে একাধিক এনজিও ও গেরুয়া দলের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সক্রিয় মদদ ছিল বলে উল্টো দাবি করে বসলেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘গুজরাটে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছিল। এমনভাবে এনজিওগুলো প্রচার শুরু করে যে সবাই ‘মিথ্যা’কেই সত্য হিসেবে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিলেন।’

সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস


আরো সংবাদ



premium cement