মুসলমান ব্যক্তির দোকানে অস্ত্র রেখে ভারতীয় পুলিশের ষড়যন্ত্র! সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১২ জুন ২০২১, ১৭:৫১
ভারতের উত্তরপ্রদেশের আমেথি জেলার বাদলগড় গ্রামে গুলজার আহমেদ নামে এক মুসলমান ব্যক্তির হার্ডওয়্যারের দোকানে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রেখে মামলা করার ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে ফেঁসে গেছে একদল ভারতীয় পুলিশ।
গুলজার আহমেদ বলছেন, তাকে একটি ভুয়া মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ এ কাজ করেছে।
তবে পুলিশের এ ষড়যন্ত্র ধরা পড়েছে গুলজার আহমেদের দোকানে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়।
ওই সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, অন্য পুলিশ সদস্যদের সাথে যাওয়া একজন কনস্টেবল গুলজারের দোকানে কিছু রেখে যাচ্ছেন। এরপর গুলজারকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে। কিন্তু যখন তিনি বলেন যে তার দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে তখন ওই পুলিশ সদস্যরা তাকে ছেড়ে দেয়।
গুলজার আহমেদ বলেন, তার দোকানে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার পর পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘তুমি অবৈধ ব্যবসা-বাণিজ্যের সাথে জড়িত।’ এ কথা শোনার পর গুলজার আহমেদ ওই পুলিশ কনস্টেবলকে বলেন, ‘আমার দোকানে দু’টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে। আর ওই ক্যামেরাগুলোয় আপনি (পুলিশ কনস্টেবল) যা করেছেন তা ভিডিও রেকর্ড হয়েছে।’
এরপর ওই পুলিশ সদস্যরা তার ওপর চাপ দিতে থাকেন যেন তিনি ওই ভিডিও ফুটেজগুলো মুছে ফেলেন।
গুলজার আহমেদ নবভারত টাইমস পত্রিকার সাথে কথা বলার সময় এ তথ্যগুলো জানান।
সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ অনুসারে এ ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ মার্চ রাত ৮টায়।
U.P., A constable allegedly planted illegal firearm in Gulzar Ahmad's hardware shop to frame him in fake case.
— Anti.islamophobe (@antiislamophobe) June 10, 2021
Gulzar alleges that when cops came to know about CCTV then they pressurized him to delete footage.#Antiislamophobe pic.twitter.com/8p8JEU8VNd
সূত্র : মুসলিম মিরর
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা