০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভারতে স্পিকারের ক্ষমতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন

- সংগৃহীত

ভারতীয় লোকসভার স্পিকারের হাতে কি কোনো দলত্যাগী সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করার ক্ষমতা থাকা উচিত? প্রশ্নটা তুলে দিলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। তারা বলেছে, সংসদ ভেবে দেখুক এবং সিদ্ধান্ত নিক, স্পিকার, নাকি কোনো স্থায়ী সংস্থার হাতে এর দায়িত্ব থাকবে।

কোনও দলের হয়ে জিতে আসার পর বা কিছুদিনের মধ্যেই দলবদল, আইনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলে চলে যাওয়ার প্রবণতা সম্প্রতি খুবই বেড়ে গিয়েছে ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য-বিধায়কদের। দলবদল করার পর ওই সংসদ সদস্য বা বিধায়ককে বরখাস্ত করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারী হলেন স্পিকার বা অধ্যক্ষ। কিন্তু বেশ কয়েকটি ঘটনায় দেখা গিয়েছে, স্পিকার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় লাগিয়ে দিচ্ছেন। অনেক সময় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেনই না। একের পর এক রাজ্যে এই ঘটনা ঘটছে। এই অবস্থায় মণিপুরের একটা মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, চার সপ্তাহের মধ্যে স্পিকারকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই মামলাতেই সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ হল, স্পিকারের হাতে আদৌ এই ক্ষমতা থাকা উচিত কি না, তা ভেবে দেখুক সংসদ। কারণ, স্পিকারও তো আদতে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত।

লোকসভার কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে বলেছেন,‘সুপ্রিম কোর্ট একেবারে ঠিক কথা বলেছে। অবশ্যই এটা বিচার করা উচিত। তবে বলে নেয়া দরকার, কিছু বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, স্থায়ী ও স্বাধীন কোনও সংস্থার হাতে এই ভার দেয়া উচিত।’

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণও সেটাই। সংসদ বিবেচনা করে দেখুক, স্পিকারের কাছে সংসদ সদস্য ও বিধায়ককে বহিষ্কারের ভার থাকবে, না কি, তা কোনও স্বাধীন স্থায়ী কমিটি বা সংস্থাকে দেয়া হবে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দুষ্মন্ত দাভেও ডয়চে ভেলেকে বলেছেন,‘আমি এই পর্যবেক্ষণকে স্বাগত জানাই। স্পিকাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সংসদ বিবেচনা করে দেখুক। এটা কংগ্রেস ও বিজেপির বিষয় নয়। আমি আশা করছি, সরকার এটা মানবে।’

বিধায়ক কেনাবেচা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই আছে। কর্ণাটক, গোয়া, মণিপুরসহ বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে স্পিকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন বারেবারে উঠেছে। বর্তমান ক্ষেত্রে সুপ্রিমকোর্ট একে তো স্পিকারের সিদ্ধান্ত নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। দ্বিতীয়ত, বিষয়টি নিয়ে বিচার করে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার সংসদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বিতর্ক ও আলোচনা হবে। সব দল তার রায় দেবে। সরকারের ওপর অন্তত একটা চাপ তৈরি হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
খাগড়াছড়িতে ৩ উপজেলার ফলাফল ঘোষণা, একটিতে স্থগিত সমুদ্র পথ থেকে হজ কাফেলা যেভাবে বিমান যাত্রায় বিবর্তন হলো নাসিরনগর উপজেলায় প্রথম নারী চেয়ারম্যান রোমা, সরাইলে শের আলম ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ না হলে মুসলিম বিশ্ব বসে থাকবে না : ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যবহারের জন্য চুক্তিতে পৌঁছেছে ইইউ আটক করা রুশ সম্পদ আফগানিস্তানে তালেবান গাড়িবহরে বোমা হামলা, নিহত ৩ ইসরাইলকে চূড়ান্ত হুমকি বাইডেনের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ রাফায় ইসরাইলি অভিযান ঠেকাতে 'জরুরি পদক্ষেপ' নেয়ার আহ্বান কাতারের জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের মর্যাদা বাড়ছে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন; চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

সকল