ভারতের আসামে বিষাক্ত মদ পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২০-এ দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি আছে আরো ৩৫০ জন। খবর এনডিটিভির।
এর আগে গতকাল শনিবার নিহতের এ সংখ্যা ৮৪ জন বলে জানিয়েছিলেন সরকারের একজন মন্ত্রী। হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২০০ জন।
অ্যালকোহল পানে দেশটির উত্তরাঞ্চলে ১০০ জনের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ না যেতেই আবারো এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।
আসামের বাণিজ্যিক রাজধানী গোয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে একটি চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
গোলাহাটের একটি সরকারি হাসপাতালের ড. দিলিপ রাজবংশী জানান, ভেজাল দেশীয় মদ পানে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
হতাহতদের মধ্যে অনেক নারীও রয়েছেন। সরকারের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, এসব চা শ্রমিকরা তাদের সাপ্তাহিক পারিশ্রমিক পেয়েই এ মদ পান করেছিল।
অবৈধভাবে উৎপাদিত ‘হুক’ বলে পরিচিত দেশীয় মদ খেয়ে মৃত্যুর ঘটনা ভারতে একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজ্য পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট পার্থ প্রতিম সাইকিয়ার বরাত দিয়ে দিল্লিভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল নিউজএইটটিন এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটের শালমিরা চা বাগানে মদ পান করে অসুস্থ হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। পরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হলে একে একে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
শালমিরা চা-বাগানের কাছেই জুগিবাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে তৈরি দেশীয় মদ কারখানার মালিকসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন অন্য ব্যক্তিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই এলাকায় গ্লাসপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকায় অবৈধ দেশীয় মদ পাওয়া যায়।
এর আগেও বিষাক্ত মদ খেয়ে উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে নিহত হয়েছিলেন ১০০ জনেরও বেশি মানুষ। তার দুই সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবারো আসাম রাজ্যে ঘটলো এ ঘটনা।
এর আগে ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে এ রকম একটি ঘটনায় ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।