ভারতের কেরান সেক্টর দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় সেদেশের সেনাবাহিনীর গুলিতে ৬ জন নিহত হয়েছে। রোববার জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার কেরান সেক্টরে এই ঘটনা ঘটে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এটি সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ছিল বলে কর্মকর্তারা জানান। খবর এনডিটিভির
দুই দিন আগে শ্রীনগর থেকে ৯৪ কিলোমিটার দূরে কেরান এলাকায় একজন সৈন্য নিহত এবং অন্যজন আহত হন।
পবিত্র রমজান মাসে কাশ্মিরে সেনা অভিযান স্থগিত ও পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েও গুলি চালানো অব্যাহত রেখেছে ভারত। রোববার ৬ জনকে হত্যার পর দেশটির সেনাবাহিনীর তরফ থেকে বলা হয়েছে পাকিস্তান থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় তাদের গুলি করা হয়েছে। সংঘাতপূর্ণ এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী।
গত কয়েক মাস মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মিরে নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে বেশ কয়েকজন নিহতের পর রমজান মাস জুড়ে সেখানে সব ধরণের সামরিক অভিযান বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপর এক ঘোষণায় ২০০৩ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধিবিরতি সমঝোতা মেনে চলার কথা ঘোষণা করা হয়। এসব ঘোষণার পরেও গত ২৬ মে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে ৫ জন নিহত হয়। ১ জুন কাশ্মিরের বিক্ষোভে সামরিক যানের ধাক্কায় এক তরুণ নিহত হলে নতুন করে বিক্ষোভ দানা বাঁধে। এর মধ্যেই দুইদিন আগে কাশ্মির সফর করে আসেন ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এনডিটিভি জানিয়েছে মাত্র দুইদিন আগে শ্রীনগর থেকে ৯৪ কিলোমিটার দূরে কুপওয়ারা জেলা সফর করে এসেছেন রাজনাথ। এরপর সেখানকার কেরান সেক্টরের সীমান্ত এলাকায় ৬ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। রাজনাথের সফরের সময় তার সঙ্গে কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী মুফতি মেহবুবা ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের রাজ্য বিষয়ক মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং ছিলেন। গত দুই সপ্তাহে সেখানে কমপক্ষে ২১ জন মারা যায়।
প্রসঙ্গত, কাশ্মিরে সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সরাসরি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত। কেউ কেউ আবার কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে। ইতিহাস পরিক্রমায় ক্রমেই সেখানকার স্বাধীনতা আন্দোলনের ইসলামিকরণ হয়েছে। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মিরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী তৎপরতার থেকে আলাদা করে শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন জঙ্গি নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা