২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বাংলাদেশে চার শক্তির প্রক্সিযুদ্ধ

বাংলাদেশে চার শক্তির প্রক্সিযুদ্ধ - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ কি পরিণত হচ্ছে চার শক্তির প্রক্সিযুদ্ধের চারণভূমিতে? আঞ্চলিক ও বৈশি^ক পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে দিন দিন উঠে আসছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। মিয়ানমারে পশ্চিমা বিশ্ব সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টে বা জাতীয় জোট সরকারের যোদ্ধাদের হাতে চীন-রাশিয়া-ভারত সমর্থিত সামরিক জান্তার পরাজয় যতই স্পষ্ট হচ্ছে ততই প্রক্সিযুদ্ধের ক্ষেত্রটাও সরে আসছে বাংলাদেশের দিকে। আঞ্চলিক এই সমীকরণের পাশাপাশি বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রক্সিযুদ্ধের ক্ষেত্রও বিস্তৃত হচ্ছে নানা দিকে।

বাংলাদেশের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচন, ক্ষমতার অপরিবর্তনীয় জটে ভিতরে বাইরে চতুর্মুখী এই প্রক্সি ওয়ারের আঁচ অনুভব করা যাচ্ছে বেশ উত্তাপের সাথেই। যদিও বাইরে আপাতদৃষ্টিতে সুনসান নীরবতা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি ছুড়ে ফেলে দেয়ার সরলীকরণ দৃষ্টিকটুভাবে লক্ষণীয় কিন্তু কৌশলগত ক্ষেত্রে চার শক্তির আবছা লড়াই ইতোমধ্যেই এইচ আওয়ার বা আক্রমণের সময় অতিক্রম করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলা এসেই পড়ছে না; বরং আরাকান আর্মি ও চিন ন্যাশনাল আর্মির হাতে মার খেয়ে পরাজিত বর্ডার গার্ড পুলিশ এমনকি সেনা সদস্যরাও পালিয়ে আসছে জীবন বাঁচানোর জন্য। ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর মার্কিন আইনে পরিণত বার্মা অ্যাক্টের স্তরগুলো ক্রমেই যে বাস্তবায়িত হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। এ ক্ষেত্রে এ যাবৎ বাংলাদেশের পক্ষে কার্যকর কোনো নীতিমালা এখনো লক্ষণীয় হয়ে ওঠেনি। সীমান্তের পাশে চারটি শক্তির প্রক্সি ওয়্যার আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক পরিমণ্ডলসহ মিডিয়া, নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট মহলে চুলচেরা বিশ্লেষণ থেকে বরাবর বাদ পড়েছে। কিন্তু আজ পরিস্থিতি যে পর্যায়ে উপনীত হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত না হয়ে উপায় নেই।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের বেশ আগে থেকেই বাংলাদেশে মার্কিন-রাশিয়া-চীন ও ভারতের প্রভাব বিস্তারের তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছিল। গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যখন জোর দাবি জানানো হচ্ছিল তখন অনেকেই তাদের নানামুখী তৎপরতাকে সরল অঙ্কের মতো শুধু রাজনীতির ছকে বিবেচনা করেছেন। এমন একটি ধারণা চার দিকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছিল যে, নির্দিষ্ট একটি দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য মার্কিনিরা ওইসব তৎপরতা চালিয়ে আসছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বানের বিপরীতে সে সময় দু’টি বিশ^শক্তির একের পর এক মার্কিনবিরোধী বিবৃতি প্রদান কিন্তু ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল যা রাজনৈতিক মহল বুঝতে অপারগ ছিল। সে সময় চীনের স্থানীয় রাষ্ট্রদূত তো বটেই সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে এমন সব বিবৃতি দিয়েছে যে তাদের কাছে স্ট্যাটাস ক্যু পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো পটপরিবর্তন যাতে না হয় সেটিই ছিল তাদের বিবৃতির মূল সুর। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি ছিল আরেক কাঠি সরেস। তারা এমনও বলেছিল যে, মার্কিনিরা বাংলাদেশে আরব বসন্তের মতো বিপ্লব ঘটাতে চায়, সরকার পরিবর্তন করতে চায়। গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম নিয়ে এই দুই পরাশক্তির নেতিবাচক মতামত যে শুধু রাজনৈতিক ছিল না তা মার্কিনিরা বুঝলেও বাংলাদেশের ক্ষমতাসীনরা হয়তো বুঝতে পারেননি। তারা ওইসব বিবৃতিতে বগল বাজিয়েছেন নিশ্চিতভাবেই। অন্য দিকে নির্বাচনের ঠিক আগ দিয়ে ভারতের তৎপরতাও সবাইকে অবাক করে দেয়। তাদের অবস্থান চীন ও রাশিয়া অক্ষের অবস্থানের সমান্তরাল হিসেবেই চিহ্নিত হয়।
কেন রাশিয়া-চীন-ভারত ত্রয়ী একসাথে প্রায় একইরকম অবস্থান গ্রহণ করল সেটি কখনো রাজনীতির বাইরে ঠিকমতো বিবেচনা করা হয়নি। এটি কি শুধুই রাজনৈতিক কোনো পদক্ষেপ ছিল নাকি এর পেছনে আঞ্চলিক কৌশলগত কোনো বড় বিষয় জড়িয়ে আছে তা সরকার ও বিরোধী পক্ষ কেউই ধর্তব্যে নেয়নি। বিষয়টি বুঝতে হলে মিয়ানমারের পরিস্থিতি ও এর ফল আউট নিয়ে ভাবতে হবে।

২০২১ সালে মিয়ানমারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সামরিক জান্তা অকস্মাৎ ক্ষমতা গ্রহণ করে। সে সময় গণতান্ত্রিক বিশ্ব, জাতিসঙ্ঘ সেনাশাসন জারির কঠোর বিরুদ্ধাচরণ করলেও চীন, রাশিয়া একচেটিয়াভাবে জান্তা সরকারের পাশে এসে দাঁড়ায়। করোনাকালে পুরো পৃথিবী স্থবির হয়ে গেলেও রাশিয়া ও চীন মিয়ানমারে সব রকম সামরিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখে। নৌজাহাজ তো বটেই বৃহদাকৃতির সামরিক পরিবহন বিমানে সুদূর রাশিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম আসতে থাকে মিয়ানমারে। এমনকি এসইউ-৩০ এর মতো মাল্টিরোল জঙ্গি বিমানও সরবরাহ করে রাশিয়া। মিয়ানমারের জান্তা প্রধান জেনারেল হ্লাইং কোভিডের মধ্যে দু’বার মস্কো সফর করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহায়তা নিশ্চিত করেন। অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও মিয়ানমার সফর করে তার সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। চীন থেকে আসতে থাকে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও জান্তাপন্থী মহলের জন্য যাবতীয় সাহায্য। সবচেয়ে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে পরিচিত ভারতও মিয়ানমার সামরিক জান্তার পাশে দাঁড়ায়। অথচ লাখ লাখ গণতন্ত্রপন্থী জনতা তখন জান্তার হাতে নিহত অথবা গুমের শিকার হয়ে হারিয়ে যাচ্ছিল। চীন যখন মিয়ানমারকে একটি সাবমেরিন হস্তান্তর করে তার কিছু সময় পরই ভারতও তার নৌবাহিনী থেকে ডিকমিশন্ড করে রাশিয়ার তৈরি একটি সাবমেরিন মিয়ানমারকে উপহার হিসেবে প্রদান করে।

রাশিয়া-চীন-ভারত অক্ষ কেন মিয়ানমারের জান্তা সরকারের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে তা কখনো রাজনৈতিক বা আদর্শিক বিষয় ছিল না। পুরোটাই ছিল বঙ্গোপসাগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে নিজ নিজ পরিকল্পনা এগিয়ে নেয়া। সেখানে গণতন্ত্র থাকল কী থাকল না, মানুষ গুলিতে পাখির মতো মরল কী মরল না সেসব কোনো বিবেচ্য বিষয় ছিল না। চীন যেমন মিয়ানমারের রাখাইনে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনসহ কুনমিং পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন বসানোর জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছিল তেমনি ভারতও নিজের মতো করে কালাদান প্রকল্পের আওয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের চেষ্টা করছিল। রাশিয়ার লক্ষ ছিল প্রশান্ত মহাসাগর থেকে মালাক্কা প্রণালী হয়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে যাতায়াতের পথে বঙ্গোপসাগরে তার হাত প্রসারিত করা। এই এলাকায় যার প্রভাব থাকবে আগামী বিশ্বে তারাই জ্বালানিসহ সব পণ্যের যাতায়াত পথ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। আগামী বিশ্বে যে শক্তি সাম্য প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাতে কৌশলগত দিক দিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এলাকাটি নিশ্চিতভাবেই পরিণত হবে অন্যতম একটি চোকিং পয়েন্টে।

চীন যদি মিয়ানমারে তার পছন্দনীয় একটি অনির্বাচিত বা দুর্বল নতজানু সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে পারে তাহলে তার পণ্য ও জ্বালানি পরিবহন সঙ্কট অনেকখানি কমে যায়। ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্য হতে একটি জাহাজ বঙ্গোপসাগর পার হয়ে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে মালাক্কা প্রণালী পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর অতিক্রম করতে হয়। যদি মিয়ানমারের সমুদ্রবন্দর ও চীনের কুনমিং পর্যন্ত যোগাযোগের পথ নিরাপদ থাকে তাহলে চীনের পণ্য আমদানি-রফতানিতে প্রায় পনেরো দিন সময় যেমন বাঁচবে তেমনি খরচও কমে আসবে। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে চীনা সরকার গণতান্ত্রিক মিয়ানমারকে বিশ্বাস করতে পারেনি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত একটি সরকার সবসময় নিজ দেশের স্বার্থ আগে দেখবে যেখানে অনির্বাচিত বা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় আসা একটি দুর্বল সরকার অন্যের সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল থাকবে। ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে দুর্বল একটি সরকার সবসময় সুবিধাপ্রদানকারীকে অবৈধ ছাড় দিয়ে আসে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তার কাছে সেই সুযোগই পেতে চেয়েছিল রাশিয়া-চীন-ভারত ত্রয়ী শক্তি।

মিয়ানমারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্টের অধীন আরাকান আর্মি আজ রাখাইন দখল করে নিয়েছে। চীনের সমুদ্রবন্দর যেমন হাতছাড়া হয়েছে তেমনি ভারতের প্রকল্পও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় চীন এখন এনইউজির সাথে আন্ডারহ্যান্ড ডিলিংয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যাতে তাদের সাপ্লাই লাইনের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়। ভারত কী করবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের হঠাৎ বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে সংশ্লিষ্ট মহলে এ কথা ছড়িয়ে পড়েছিল যে, ভারত চাচ্ছিল বাংলাদেশ আরকান আর্মির বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাক। এটাতে বাংলাদেশ যে মার্কিন বার্মা অ্যাক্টের সরাসরি বিরোধী পক্ষে পরিণত হবে ও আরাকান আর্মিসহ মিয়ানমার জান্তা বিরোধী সব গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিপক্ষে পরিণত হবে তা বিবেচনায় নেয়া হয়নি। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কী করবে তাও জানা যায়নি। তবে আমরা যে একটা জট পাকানো পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছি বা পড়ে গেছি তা বলাই বাহুল্য। শ্যাম রাখি না কুল রাখি এমন অবস্থায় পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, মিয়ানমারে জান্তা সরকারকে সমর্থন করতে গিয়ে চীন-রাশিয়া-ভারত অক্ষ তাদের লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের প্রভাব সেখানকার জাতীয় ঐক্যের সরকারে অত্যন্ত ক্ষীণ। বাংলাদেশ ভূখণ্ড তাই এখন তাদের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণের টার্গেট। গত কয়েক মাসে এই তিন শক্তির অব্যাহত তৎপরতায় সেটিই লক্ষ করা গেছে। তারা যেকোনোভাবে এই এলাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের উপস্থিতি বানচাল করে দিতে চায়। তবে মিয়ানমারে তাদের সেই প্রচেষ্টা নস্যাৎ হয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশেই এই চার শক্তির টাগ অফ ওয়ার। বিষয়টি আর রাজনৈতিক থাকবে না, হয়ে দাঁড়াবে কৌশলগত বিষয়। সরাসরি সৈন্য নামিয়ে যুদ্ধ করার প্রসঙ্গটিও এখানে প্রযোজ্য হবে না, প্রক্সির মাধ্যমে চলবে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশে অবস্থান দৃঢ় না করলে কারোরই বঙ্গোপসাগর এলাকার ‘চোকিং পয়েন্টে’ আধিপত্য কায়েম সম্ভব নয়।

আমরা হয়তো একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বশীল ও শক্তিশালী সংসদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এই কৌশলগত প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের কিছুটা হলেও সরিয়ে রাখতে পারতাম। কিন্তু নিতান্তই ক্ষমতার রাজনীতি চীন-রাশিয়া-ভারত অক্ষকে তাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশে টেনে নিয়ে এসেছে। বিরাজনীতিকীকরণের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আমরা নিজেরাই খর্ব করেছি আমাদের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিরক্ষা শক্তি।

বিরাজনীতিকীকরণের ঘেরাটোপে বন্দী একপেশে দুর্বল রাজনৈতিক অবস্থান আমাদের সার্বিক অবস্থানকে করেছে ভঙ্গুর। তিন শক্তি চাইবে আমাদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তাদের কৌশলগত স্বার্থ হাসিল করতে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইবে বাংলাদেশ যেন তাদের বার্মা অ্যাক্ট বাস্তবায়নে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। চার শক্তিই বাংলাদেশে জেঁকে বসবে তাদের পূর্ণ প্রক্সিক্ষমতা নিয়ে। ক্ষমতাসীনদের মার্কিন বিরোধী সুস্পষ্ট অবস্থান পরিস্থিতি জটিলতর করে তুলতে পারে যা নিরাপত্তা ডকট্রিনে অস্থিতিশীলতার বা লক্ষ্যহীনতার সৃষ্টি করতে পারে অদূর ভবিষ্যতে।
প্রক্সি ওয়্যার কোনো কনভেনশনাল যুদ্ধ নয়, কৌশলগত স্বার্থ উদ্ধারে পরিচালিত এক ছায়া যুদ্ধ। বাংলাদেশ যেন সেই ছায়াকেই অনুসরণ করছে। এখন দেখার বিষয় এই ছায়া কতটা লম্বা হতে পারে। আমরা বুঝে বা না বুঝে প্রক্সি ওয়ারের ফাঁদে পড়ে গেছি।

লেখক: সাবেক সেনাকর্মকর্তা, সাংবাদিক, বাংলাদেশ ডিফেন্স জার্নালের সম্পাদক


আরো সংবাদ



premium cement