২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সুশাসন

কৃষি হতে পারে আমাদের সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি

কৃষি হতে পারে আমাদের সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি - নয়া দিগন্ত

মানুষের জীবনধারণে কৃষিজাত পণ্য অপরিহার্য। কৃষিকে বাদ দিয়ে কোনো দেশের অথনৈতিক অগ্রগতি বা সমৃদ্ধির কথা চিন্তা করা যায় না। আমাদের গড় জাতীয় উৎপাদনে এখনো কৃষির অবদান সর্বাধিক।

আমাদের কৃষিজাত পণ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ হচ্ছে ধান, পাট, গম, তুলা, ভুট্টা, আখ, বাদাম, আলু, সরিষা, তিল, বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, শাকসবজি, ফলমূল প্রভৃতি। কিছু কৃষিপণ্য শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন কৃষিপণ্য ধান হতে উৎপাদিত চাল আমাদের প্রধান খাদ্য। অন্যদিকে গম হতে উৎপাদিত পণ্য আটা আমাদের সহায়ক খাদ্য। এছাড়া শাকসবজি, ফলমূল, আলু, আখ, বাদাম প্রভৃতি সহায়ক খাদ্য।
কৃষি সংশ্লিষ্ট গবাদিপশু, হাস-মুরগি, মাছ প্রভৃতিও কৃষিজাত পণ্যের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের কৃষকরা কৃষি বহুমুখীকরণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বর্তমানে নিজেদের শুধু ফসল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ না রেখে গরুর খামার, হাঁস-মুরগির খামার, মাছের খামার, প্রভৃতিতে মনোনিবেশ করে সার্বিকভাবে স্বাবলম্বী ও সচ্ছল হওয়ার প্রচেষ্টায় আত্মনিবেদিত।

কৃষিপণ্য পাট, তুলা, আখ প্রভৃতি এককভাবে শিল্পের কাঁচামাল আবার এমন অনেক কৃষিপণ্য রয়েছে যা খাদ্য ও শিল্পের কাঁচামাল উভয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন আলু, আটা, ময়দা, ফলমূল, হলুদ-মরিচ, প্রভৃতি আমরা সরাসরি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করি আবার প্রক্রিয়াজাত করে শিল্পপণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করি। যেমন আলু থেকে চিপস, ফ্লেক, আটা ময়দা থেকে বিস্কুট, পাউরুটি এবং ফলমূল থেকে প্রক্রিয়াজাত ফলমূল।

সাধারণত একটি দেশে সহজলভ্যভাবে যেসব কৃষিপণ্য উৎপাদিত হয় তা ওই দেশের জনসাধারণের প্রধান খাদ্যতালিকায় স্থান পায়। তাই প্রতিটি দেশ সচেষ্ট থাকে জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী কৃষিপণ্য উৎপাদন করে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে আমদানিনির্ভরশীলতা হ্রাস করা।

স্বাধীনতা-পরবর্তী আমাদের জনসংখ্যা ছিল সাড়ে সাত কোটি। তখন আমাদের এক কোটি বিশ থেকে চল্লিশ লাখ টন চালের চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হতো এক কোটি টন। প্রতি বছর আমদানির মাধ্যমে বিপুল ঘাটতির জোগান দেয়া হতো।

স্বাধীনতার বায়ান্ন বছর অতিক্রান্তের পর আমাদের জনসংখ্যা আঠারো কোটির অঙ্ক ছাড়িয়ে গেছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে খাদ্যচাহিদা বাড়লেও কৃষিজমির পরিমাণ না বেড়ে বরং প্রতি বছর দু’শতাংশ হারে কমছে। এখন আমাদের বার্ষিক চালের চাহিদা তিন কোটি ছাপ্পান্ন লক্ষাধিক টন এবং ধান উৎপাদনের পরিমাণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা আক্রান্ত না হলে চার কোটি টনের কাছাকাছি। স্বভাবত প্রশ্ন ওঠে কৃষিজমি কমার পরও কিভাবে ধান উৎপাদন বাড়ছে? এর উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, বর্তমানে আমাদের কৃষকরা আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়ায় লাঙ্গলের পরিবর্তে পাওয়ার টিলারের মাধ্যমে চাষ করছে। তাছাড়া ফসল উৎপাদনে পর্যাপ্ত সেচের পাশাপাশি উন্নত বীজ ও পরিমিত সারের ব্যবহার করছে। এমনও দেখা যাচ্ছে পূর্বে যেসব জমিতে এক ফসল হতো এখন তাতে ন্যূনপক্ষে দু’টি এবং ক্ষেত্রবিশেষে তিনটি ফসলের চাষ হচ্ছে।

বর্তমানে বলা যায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন না হলে আমরা ধান উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এ স্বয়ংসম্পূর্ণতার কারণে প্রতি বছর চাল আমদানিবাবদ যে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো তার সাশ্রয় হচ্ছে। এ সাশ্রয়ের শতভাগ কৃতিত্ব এ দেশের কৃষকের।

আমরা চাল উৎপাদনে স্বাবলম্বী হলেও আমাদের প্রধান খাদ্যের সহায়ক বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, ভোজ্যতেল, দুধ, গরুর গোশত, চিনি, আটা, ময়দা প্রভৃতিতে বিপুল ঘাটতি রয়েছে এবং এ ঘাটতি আমদানির মাধ্যমে মিটানো হচ্ছে। এতে করে প্রতি বছর আমাদের বিপুল পরিমাণ কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে হচ্ছে।

আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় ভূমি সীমিত এবং কৃষিজাত ব্যবহার্য ভূমির দিন দিন ক্রমহ্রাস ঘটছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে নিত্য আহার্য কিছু পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমদানি হ্রাস এমনকি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব।
আমরা ভাতের সাথে সবচেয়ে বেশি যে ডাল খাই তা হলো মশুর। এরপর রয়েছে খেসারি, মুগ, কলাই, বুট, অড়হর, ফেলন প্রভৃতির ডাল। প্রতি বছর আমাদের বিপুল পরিমাণ মশুর, মুগ ও বুটের ডাল আমদানি করতে হয়। আমন ধানের সাথে যে পদ্ধতিতে যৌথভাবে খেসারির চাষ করা হয় সেই একই পদ্ধতিতে মশুর, মুগ ও ছোলার ডাল চাষ করে অনায়াসে উৎপাদন বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব।

ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে আমাদের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন চাহিদার কিয়দংশ মিটাতে পারে। এ কিয়দংশের জোগান আমরা পাই দেশজ উৎপাদিত সরিষা হতে। প্রতি বছর আমাদের বিপুল পরিমাণ সয়াবিন তেল ও পামঅয়েল আমদানি করতে হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে স্বল্প পরিমাণে চালের কুঁড়া বা রাইস ব্রান ওয়েল উৎপাদিত হচ্ছে। এটিও চাহিদার অতি সামান্য অংশ পূরণ করছে। পাম অয়েল উৎপাদনে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীতে অগ্রগামী। উভয় দেশ বিশেষত মালয়েশিয়ার আবহাওয়া ও ভূ-প্রকৃতি আমাদের অনুরূপ। আমাদের কৃষকরা পামগাছ লাগিয়ে উৎপাদনে সফলতা পেলেও তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ জটিলতায় পড়ে উৎপাদন থেমে আছে। এ ব্যাপারে সরকার উদ্যোগী হলে এবং বিপুল অনাবৃত পাহাড় ভূমির একটি অংশকে পাম উৎপাদনে কাজে লাগালে শুধু যে পামতেলে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবো তা নয় এর এক বিপুল অংশও অবশিষ্ট থাকবে রফতানির জন্য। ইদানীং দেশের চরাঞ্চলসহ কিছু অঞ্চলে সয়াবিনের আবাদ হচ্ছে। যদিও তা চাহিদার তুলনায় সীমিত তবুও চাষের ধারা অব্যাহত রাখা গেলে কিছুটা হলেও ঘাটতি মোকাবেলায় সহায়ক হবে। তেল উৎপাদনের ব্যাপারে সমন্বিত প্রয়াস নেয়া হলে আশা করা যায় অচিরে সরিষা, চালের কুঁড়া ও পামতেল এ তিনটির সমন্বয়ে চাহিদার জোগান সম্পন্ন করা সম্ভব।

আমাদের পার্শ¦বর্তী রাষ্ট্র ভারতের দক্ষিণাঞ্চল ও শ্রীলঙ্কায় ভোজ্যতেল হিসেবে নারকেল তেল সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। আমাদের দেশের সব অঞ্চলে কমবেশি নারকেল উৎপাদিত হয়। উন্নতজাতের নারকেল গাছ লাগিয়ে নারকেল তেলের উৎপাদন বাড়ানো গেলে অন্তত ভোজ্যতেল হিসেবে না হলেও মাথার চুলে ব্যবহারে আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনা সম্ভব।

দুধ একটি সুষমখাদ্য এবং সব বয়সের মানুষের খাওয়ার উপযোগী। আমাদের দেশে দুধের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম বিধায় প্রতি বছর কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের মাধমে বিপুল পরিমাণ গুঁড়া দুধ আমদানি করতে হয়। আশার কথা কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে ইদানীং উন্নতজাতের গাভীর উৎপাদন দুধের উৎপাদনের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। এটিকে আরো জনপ্রিয় করে দেশব্যাপী কৃষকের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে দুধ সংগ্রহের ব্যবস্থা করা গেলে অচিরে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পেয়ে আমদানিনির্ভরতা কমে আসবে।

একসময় আমাদের দেশের খাল-বিল, পুকুর, নদী-নালাতে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে দূষণের কারণে এসব উৎসস্থল থেকে মাছের জোগান কমে এলেও চাষের মাছের উৎপাদন বহুলাংশে বেড়েছে। এ বৃদ্ধির কারণে কই, তেলাপিয়া, পাঙ্গাশ প্রভৃতি মাছ সহজলভ্য ও সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে। কিন্তু এর পরও প্রতি বছর আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণে পার্শ্ববর্তী ভারত ও মিয়ানমার থেকে রুই, কাতল, মৃগেল, কার্পজাতীয় মাছ আমদানি করতে হচ্ছে। যেখানে আমরা প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ সামুদ্রিক মিঠা পানির মাছ রফতানি করছি সেখানে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটানোর জন্য আমদানি অনেকটা প্রহসনের মতো ঠেকছে। তবে আমদানি-পরবর্তী প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে পুনঃরফতানি করা গেলে সেটি উৎসাহব্যঞ্জক যা চিংড়ি রফতানির ক্ষেত্রে পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদিও চিংড়িগুলো আমদানির পরিবর্তে চোরাইপথে আসছে এমন ধারণাই পাওয়া যায়।

হাঁস-মুরগি ও ডিম উৎপাদনে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও মাঝে মাঝে ডিমের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলে সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। এ ধরনের আমদানি ভোক্তাস্বার্থের অনুকূলে হলেও উৎপাদকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। তবে উৎপাদকরা অনেক সময় সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে মূল্যবৃদ্ধির প্রয়াস নেয় এমন অভিযোগও পাওয়া যায়। হাঁস-মুরগির উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে রফতানির অবারিত সুযোগ রয়েছে। সুযোগটি কাজে লাগানো গেলে শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাসহ দেশ উপকৃত হবে।

যেকোনো দেশে যখন গরুর গোশতের দাম মুরগির গোশতের চেয়ে বেশি থাকে তখন বলা যায় দেশটি অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী অথবা সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে বর্তমানে মুরগির গোশতের দামের চেয়ে গরুর গোশতের দাম প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় আমরা বলতে পারি আমরা সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কথাটি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন পার্শ¦বর্তী রাষ্ট্র ভারতের ব্যাপক জনগোষ্ঠী গরুর গোশত না খাওয়ায় প্রতিদিন চোরাইপথে প্রচুর ভারতীয় গরু আমাদের ভূ-খণ্ডে ঢুকছে। ভারত হতে ব্যাপক হারে চোরাই গরু আসায় গরুর গোশতের দাম স্থিতিশীল ও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। ভারতীয়রা গরুর গোশত খেলে সাশ্রয়ীমূল্যে আমাদের দেশে চোরাই গরু আসার অবকাশ সৃষ্টি হতো না এবং সে ক্ষেত্রে গরুর গোশতের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকত তা অতি সহজে অনুমেয়। সাশ্রয়ী ভারতীয় চোরাই গরুর অবাধ প্রবেশের কারণে আমাদের চাষিরা গোশত উৎপাদন বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় রেখে গরু পালনে তেমন একটা উদ্যোগী হচ্ছেন না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ প্রক্রিয়াজাত গরুর গোশত রফতানি করে বাড়তি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে পৃথিবীর দ্বিতীয় অর্থনৈতিক শক্তিধর চীনও পিছিয়ে নেই। আমরা সুযোগটির সদ্ব্যবহার করে গোশত প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পটিকে বিকশিত করতে পারি।

আমাদের কৃষকরা আত্মসচেতনতা ও স্ব-উপলব্ধি থেকে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রয়াসে বর্তমানে শাকসবজি উৎপাদনে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বর্তমানে শাকসবজিতে আমরা শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণ নই বরং এক বিপুল অংশ রফতানিও করছি। যদিও শাকসবজির দামে গ্রামের উৎপাদক পর্যায়ে এবং শহরের খুচরা বিক্রয় পর্যায়ে ব্যাপক তারতম্য পরিলক্ষিত হয় কিন্তু এ তারতম্যের শতভাগ মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে ঢোকার কারণে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য প্রাপ্ত হলে তাদের আর্থিক অনটনের অনেকটা সুরাহা হতো।

আমাদের অনেক ভোগ্যপণ্য রয়েছে যা আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত করে দেশে বাজারজাত করা ছাড়াও বিদেশে রফতানি করছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মরিচ ও হলুদের গুঁড়া। শুধু রফতানির কারণে হয়তো পণ্য দু’টি আমদানি করতে হচ্ছে। এতে করে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে যে বাড়তি অর্থ আয় হচ্ছে তা দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সব দিক থেকে সহায়ক।

পৃথিবীর বহু শিল্পোন্নত রাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সমৃদ্ধিশালী হওয়া সত্ত্বেও কৃষিসংশ্লিষ্ট সব খাতকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সুবিধা প্রদান করে উৎপাদনশীলতা অব্যাহত রাখার প্রয়াস নিচ্ছে। আর এর মাধ্যমে কৃষিসংশ্লিষ্ট শিল্পে তাদের আমদানি নেতিবাচক পর্যায়ে পৌঁছে ইতিবাচক রফতানির অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করছে। এ ক্ষেত্রে আমরা চীন, মালয়েশিয়া, জাপান, সৌদি আরব, ইরান প্রভৃতিকে উদাহরণ হিসেবে দেখতে পারি। কৃষিতে আমাদের যে সম্ভাবনা রয়েছে তার কিয়দংশ কাজে লাগিয়ে আমরা যে সফলতা পেয়েছি তা আশাব্যঞ্জক। আমরা সম্ভাবনার সবটুকু কাজে লাগাতে পারলে তার মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে যে সমৃদ্ধি আসবে তা শুধু কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন করবে না দেশের অর্থনীতিও দৃঢ় ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠা করবে। আর তাই কালক্ষেপণ না করে কৃষিসংশ্লিষ্ট সব শিল্পের প্রসারে একাগ্রচিত্তে কাজ করার মধ্যে নিহিত আছে আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির বীজ।

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
Email:iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement