২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


একুশের মূল্যবোধ ও চেতনার চৌহদ্দি

একুশের মূল্যবোধ ও চেতনার চৌহদ্দি - ফাইল ছবি

যে প্রজ্ঞা, যেসব কাণ্ডজ্ঞান মানুষকে আত্মোপলব্ধি জাগাতে সাহায্য করে, মনুষ্যত্ববোধ জাগায় ও সর্বোপরি এই জগৎ জীবনে তার আগমনের হেতু, এখানকার করণীয় বিষয় প্রভৃতি বোধ জাগায় তাই মূল্যবোধ। মূল্যবোধ মানুষকে আত্মসচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করে তোলে, পরমতসহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়, কর্তব্যজ্ঞানে শ্রদ্ধাবোধ জাগায় এবং শ্রেয়বোধকে জাগ্রত করে মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ করে। মূল্যবোধ তাই মানুষের আসল পরিচয়ের মাপকাঠি। মূল্যবোধহীনতায় মানুষের থাকে না কিছু- না তার নামগত বৈশিষ্ট্য (যেহেতু সে ‘মানুষ’)-না তার প্রকৃত মর্যাদা।

এ মূল্যবোধ শুধু ব্যক্তির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকে না। ব্যক্তি থেকে সমষ্টিগত ক্ষেত্রে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। বস্তুত সমাজের দশজনের মূল্যবোধের সমষ্টি সামাজিক মূল্যবোধ। যেহেতু সমাজে বহুবিধ মূল্যবোধ থাকতে পারে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের ভিন্ন মূল্যবোধের মধ্যে যে বিরোধ পরিলক্ষিত হয় তা নিরসন হয় এক বাদানুবাদের মধ্য দিয়ে। আর এ দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয় নতুন মূল্যবোধ। এক মূল্যবোধকে আবার বহুদিন টিকতে হবে এমন কোনো কালনিরপেক্ষ সংজ্ঞা, রীতি বা নিয়ম নেই। প্রতি মুহূর্তে পাল্টাচ্ছে আমাদের চিন্তাধারা, বোধ বুদ্ধি-অনুভূতি। মূল্যবোধও তাই যাচ্ছে পাল্টে। অতীতে যা বলতে বা ভাবতে আমাদের দ্বিধার সঞ্চার হতো আজ তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এমন নজির প্রায়ই মেলে।

মূল্যবোধ কোনো অচল অনুভূতির নাম নয়; বরং সচল প্রগতিবাদ এর ভিত্তি। মূল্যবোধ উৎসাহ দেয় পুরাতন জীর্ণ ঘুণেধরা রীতি-রেওয়াজের পরিবর্তন সাধনে। উৎসাহ দেয় বিপ্লব করতে বিদ্রোহ করতে ওইসব বিবাদ-বিসংবাদের বিরুদ্ধে যা মানুষের আসল পরিচয় মনুষ্যত্বকে হত্যা করে। বিদ্রোহ বিপ্লব তাই নতুন নতুন মূল্যবোধের জন্ম দেয়। আবার মূল্যবোধও বিপ্লব ও বিদ্রোহের সূচনা করে। মূল্যবোধ সৃষ্টির এটি সাধারণ এবং স্বাভাবিক নিয়ম হলেও অনেক সময় পরিবেশের অশুভ হাওয়া যে মূল্যবোধের জন্ম দেয় তা কোনোমতে কল্যাণকর হতে পারে না; বরং তা ডেকে আনতে পারে মানব ভাগ্যের অশুভ পরিণতিকে।

সমাজে যখন নতুন মূল্যবোধের জন্ম হয় তখন পুরাতন মূল্যবোধ ভেঙে যায়। এভাবে চলতে থাকে মূল্যবোধের ভাঙাগড়া পর্ব। যেহেতু এ সমাজের আবহাওয়া, পরিবেশ, প্রতিবেশ সদা পরিবর্তনশীল সেহেতু মূল্যবোধের নবমূল্যায়ন ঘটবে যুগে যুগে কালে কালে বিভিন্ন ঘটনা পরিক্রমায়; এটি স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু কখনো যদি এ গতিধারা ব্যাহত হয়, অর্থাৎ পুরাতন মূল্যবোধের সংস্কার না হয় বা যুগের প্রয়োজনে নতুন মূল্যবোধের জন্ম না হয়, তাহলে সমূহ বিপদের আশঙ্কা দেখা দেয়। সামাজিক কাঠামো বা শ্রেণীভেদ অনড় থাকলে বা পরিবেশ তাড়িত অশুভ আবহাওয়ার কু-লক্ষণে কুলগ্নে পড়লে পুরাতন মূল্যবোধের অবক্ষয় শুরু হয়। নতুন মূল্যবোধ জন্ম হওয়া দূরের কথা পুরাতন মূল্যবোধকে জিইয়ে রাখার পরিবর্তে তার অবক্ষয় শুরু হলে তার চেয়ে শোচনীয় পরিণতি আর হতে পারে না। বলা বাহুল্য, একুশ শতকের শুরু কিংবা তার আগে থেকে যেন দেশে-বিদেশে সমাজ অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতিতে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন মূল্যবোধের বহুমুখী ও ব্যাপক ভাঙাগড়া পরিলক্ষিত হচ্ছে।

সাত দশক আগে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের এক নতুন চেতনা ও মূল্যবোধের জন্ম দিয়েছিল। বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে আমরা বুঝেছিলাম জাতি হিসেবে আমাদের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজন প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষার মর্যাদা আদায়। ভাষা কৃষ্টি প্রত্যেক জাতির প্রকৃষ্ট সম্পদ, এ জগতে পরিচিতি লাভের একমাত্র সার্টিফিকেট। আর তাই যখন আমাদের এই প্রাণপ্রিয় মাতৃভাষার ওপর শত্র“রা আক্রমণ চালিয়েছে তখন আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি। যেহেতু ভাষা বা সংস্কৃতি থেকে পৃথক হয়ে জাতি হিসেবে আমাদের কোনো অস্তিত্ব ভাবা সম্ভবপর ছিল না, সেহেতু আমরা ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রের স্বাধিকার আদায়ের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলাম। তৎকালীন সমাজে বাঙালিরা রাজনৈতিক চেতনায় বেশ প্রখর ছিল না। কিন্তু একুশে ফেব্র“য়ারি তাদের সে মহামন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেছিল- সন্দেহ নেই। ভাষার স্বাধিকার আদায় থেকে শুরু করে একটি পৃথক রাষ্ট্রের দাবি আমরা তাই পরবর্তীকালে করেছিলাম। আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনা কতখানি প্রখরতা লাভ করলে আমরা এতখানি পথ পরিক্রমের স্বপ্ন দেখেছিলাম এবং পথ পাড়িও দিয়েছি তার মর্ম উপলব্ধির মধ্যে একুশের চেতনার মাহাত্ম্য নিহিত।

একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনা দিয়েছিল তা নয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিতও করেছিল। একুশের চেতনা এমন প্রগতিশীল ছিল, এমন প্রগাঢ় ছিল যে যার জন্য স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম আমরা সবাই। একুশের ভাবধারা প্রথম দিকে কিছু ছাত্রসমাজ ও বুদ্ধিজীবী মহলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীকালে তা দেশের আপামর জনসাধারণকেও স্পর্শ করেছিল। একুশ আমাদের যে চেতনা ও মূল্যবোধ উপহার দিয়েছিল- তা ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে, স্বৈরাচারের পতনকার্যে একতাবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে, নিপীড়িত জনগণের পাশে এসে দাঁড়াতে এবং সর্বোপরি মানবতাবোধে উদ্বুদ্ধ হতে। একুশের চেতনা আমাদের সাহিত্যাঙ্গনেও এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। জাতীয়তাবাদী সাহিত্যের পাশাপাশি গণমুখী সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করেছিলেন আমাদের কবি সাহিত্যকরা। সাহিত্যধারায় এক নবযুগের সূচনা হয়েছিল তাতে সন্দেহ নেই। একুশের চেতনা তাই স্বাধীনতা-পূর্ব বাংলাদেশে একটি মহান আত্মপ্রত্যয়ী, স্বধর্মে নিষ্ঠাবান এবং স্ব-ঐতিহ্যের পরম শ্রদ্ধেয় জাতিতে পরিণত হওয়ার মহাশিক্ষা দিয়েছিল। এ কথা তাই নিঃসন্দেহে এবং নির্দ্বিধায় বলা চলে, একুশে ফেব্র“য়ারি আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রাণহীন স্তম্ভ শুধু নয়, আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনার জন্মদাত্রী। একুশকে ঘিরে জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের যে মহামন্ত্রে সমগ্র জাতি উদ্বুদ্ধ হয়েছিল তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ একাত্তরের সফল মুক্তি সংগ্রাম।

স্মরণযোগ্য যে, মূল্যবোধ যদি কখনো অকল্যাণকর হয় তা হচ্ছে ওই সময়ে যখন পুরাতন মূল্যবোধের সংস্কার করা বাদ রাখা বা প্রকারান্তরে তার অবক্ষয় হতে দেয়া। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে মাঝে মধ্যে তেমনি সঙ্কটের সম্মুখীন হয়েছে। দুঃখের কথা যে, মহান মূল্যবোধ সবাইকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিল স্বাধীনতা লাভের পরে তা অনেক ক্ষেত্রে হারাতে বসেছিল। স্বাধীনতা আদায়ে আমাদের যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া তা ঐতিহাসিক হলেও স্বাধীনতা রক্ষায় বা স্বাধীনতার স্বপ্নকে বাস্তবায়নে আমাদের অপারগতা অক্ষমতা মাঝে মধ্যে পরম দুঃখের বিষয় হিসেবে দেখা দেয়। আমাদের সেসব মূল্যবোধের অবক্ষয় শুরু হয়েছে যা একদিন আমাদের উজ্জীবিত করেছিল এক মহান আদর্শে। আমরা মূল্যবোধের জন্ম দিইনি বা নবমূল্যায়ন করিনি- যা কিনা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।

কিভাবে এবং কেন মূল্যবোধের অবক্ষয় শুরু হয়েছে তার ব্যাখ্যা এ প্রসঙ্গে করাটা যুক্তিযুক্ত বৈকি। তদানীন্তন পাকিস্তান সরকারের আগ্রাসী নীতি, গোষ্ঠীপ্রীতি ও ঐতিহ্য হত্যাকারী মনোভাবের বিরুদ্ধে সবাই কণ্ঠ সোচ্চার করেছিল। সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। তদানীন্তন সরকারের গোটা প্রশাসনযন্ত্র ছিল নানা প্রকার হীনতাদুষ্ট। বস্তুগত দৃষ্টিতে এসবের থেকে মুক্ত এবং রহিত এবং শোষণহীন সমাজগঠন ছিল সেদিনকার সংগ্রামের মূল মেনিফেস্টো। কিন্তু স্বাধীনতার পর গত ৫২ বছরে জাতি সেসবের বাস্তবায়নে কতটুকু সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে- এ মুহূর্তে তা বিবেচ্য। শোষক সমাজের স্বভাব পাল্টেছে কিনা দেখার বিষয়।

দেশের সাধারণ মানুষ একদিন এ শোষণনীতি থেকে মুক্তি পেতে সংগ্রাম করেছিল- আশায় বুক বেঁধেছিল। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে যদি দেখা যায় শোষণ চলছে, অর্থনৈতিক সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্য দুর্দশা দূর হয়নি; বরং বেড়েছে, যদি দেখা সমাজে নিঃস্ব হয়েছে আরো নিঃস্ব আর বিত্তশালী আরো বিত্তশালী। সাধারণ মানুষ হতভাগার মতো এসব দেখতে দেখতে তাদের আগের সেই প্রেরণা ও মূল্যবোধ যেতে পারে হারিয়ে। সবাই দেখছে শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত উন্নয়নের পরিবর্তে বিভিন্ন অরাজকতার অনুপ্রবেশ, প্রতিবাদী ও প্রগতিশীল ছাত্রসমাজ আজ যেন অনিমেষ যাত্রী, আদর্শ ছাড়া, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেই সেই পবিত্র সম্বন্ধ। পুত্রের হাতে পিতা-মাতা খুন থেকে শুরু করে দুর্যোগ মোকাবেলার অর্থ আত্মসাৎ কাবিখার গম চুরির ঘটনা যদি সংবাদ শিরোনাম হয় তাহলে একুশের উদযাপনের প্রাক্কালে এটি হবে যথেষ্ট যন্ত্রণার। বড় দুঃখের হলেও বলতে হয়, একদিন যে কবি সাহিত্যিক সংস্কৃতিকর্মী শিক্ষক বুদ্ধিজীবী আর্থসামাজিক রাজনৈতিক অন্যায় অনিয়মের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার, লিখেছিলেন এন্তার কবিতা ও গান, মেধা ও মনন দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন প্রতিরোধের দেয়াল, তারাও যেন ভিন্ন পথযাত্রী সেজে নির্বিকার দর্শকের ভূমিকায়।

যেহেতু সাংস্কৃতিক চেতনা মানুষের সুকুমারবৃত্তি ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে এবং যেহেতু সত্য ও সুন্দরের প্রকাশ সাংস্কৃতিক চেতনার অন্যতম কাজ সেহেতু দেশজুড়ে আজ প্রয়োজন এক সুস্থ ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনের’; মানুষের হৃদয়ে সত্য ও সুন্দরের বিকাশ ঘটলে সে অন্যায়কে ঘৃণা করতে শিখবে এবং তার মধ্যে ঘটবে মহত্তম আদর্শের বিকাশ। সাংস্কৃতিক এক নবজাগৃতির মাধ্যমে আমরা মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ করতে পারি। একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের প্রাক্কালে এ নবজাগৃতি হোক প্রত্যাশার।

আমরা বারবার তাই উৎসে ফিরে যেতে চাই যে উৎস থেকে আমাদের এ নবযাত্রা শুরু হয়েছিল। মহান মূল্যবোধগুলোর জন্মদাত্রী যে, সেই একুশে ফেব্র“য়ারি চেতনা এ মুহূর্তে একমাত্র পাথেয় তার প্রদত্ত মূল্যবোধগুলোর অবক্ষয় রোধে। একুশের চেতনা আবার সেই প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে এবং জাগাতে পারে অদম্য শক্তি ও সাহস। একুশের চেতনা যে বাঙালির জাতিগত মহা জাগৃতির একমাত্র উৎস এবং দিগদর্শন এই মহাসত্য অস্বীকার করা যায় না কোনো মতে।

লেখক : সাবেক সচিব, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান


আরো সংবাদ



premium cement
ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে ‘মিথ্যাচার’ : যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা উপজেলা নির্বাচন : কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে মাসে লাখ টাকা আয় মুন্নার নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু বেনাপোলে সামুদ্রিক মাছের ট্রাকে ৪৭০ কেজি চিংড়ি আটক তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪৩ ডিগ্রি, লোডশেডিং রেকর্ড ৩২০০ মেগাওয়াট যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন করুন : শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরটিএ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে চান তামিম-মুশফিক বরিশালে ২ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ছাত্রলীগের মারধর পাংশায় সজনে পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু

সকল