২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


উৎসের উচ্চারণ

ইবনে খালদুন কিভাবে হান্টিংটনের প্রতিকার

ইবনে খালদুন কিভাবে হান্টিংটনের প্রতিকার - নয়া দিগন্ত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জর্জ এফ কেনানের The Sources of Soviet Conduct শীর্ষক প্রবন্ধটি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পায়। ঠাণ্ডাযুদ্ধের সময় আর্টিক্যালটি আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতির গলার তাবিজ হিসেবে কাজ করে। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে নতুন বাস্তবতা সামনে আসে। নতুন থিউরি হাজির করেন স্যামুয়েল পি হান্টিংটন। ১৯৯৩ সালে ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় তার The Clash of Civilizations থিসিসটি। প্রকাশের পর থেকে আমেরিকা-ইউরোপের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম পথপ্রদর্শক হয়ে ওঠে এই তত্ত্ব। দুনিয়াজুড়ে বহুল আলোচিত এই তত্ত্বে স্যামুয়েল বলেন, ইতিহাস, ধর্ম ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে একে অপরের বিরোধিতাকারী সভ্যতাগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য। তার মতে, পৃথিবী প্রধান ৯টি সভ্যতায় বিভক্ত। সেগুলো হচ্ছে- পশ্চিমা, ইসলামিক, ল্যাটিন আমেরিকান, আফ্রিকান, চীনা, হিন্দু, অর্থোডক্স, বৌদ্ধ ও জাপানি। কিন্তু তার মতে, পশ্চিমা ও ইসলামিক সভ্যতা একে অপরের প্রধান শত্রু। বিশ্বব্যাপী এই দুই সভ্যতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা অবধারিত। জার্মান রাজনৈতিক তাত্ত্বিক কার্ল স্মিট এই তত্ত্বকে ‘বন্ধু-শত্রু’ হিসেবে চিত্রিত করেছেন। আজ অবধি এই তত্ত্ব পশ্চিমা বিশ্বের রাজনীতি ও বৈশ্বিক নীতিকে শাসন করছে। সবচেয়ে আধুনিক প্রভাবশালী রাষ্ট্রনৈতিক তত্ত্ব হিসেবে সভ্যতার সঙ্ঘাতের যুগে এখনো আছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান।

কিন্তু হান্টিংটন কোথায় পেলেন সঙ্ঘাতের এই তত্ত্ব?
বিশ্বে হাজারো সমস্যা। বর্তমান বিশ্বে প্রায় সব রকমের মানবিক ও রাজনৈতিক সমস্যায় কেন ইসলাম ও পশ্চিমা সভ্যতা একে অপরের মুখোমুখি?

এর একটি ব্যাখ্যা আমরা পেতে পারি ফরাসি সমাজতত্ত্ববিদ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মন্টেস্কুর কাছে। তিনি রাষ্ট্রের ভিত্তি এবং রাজনৈতিক তত্ত্ব নিয়ে আলাপ করেছেন। তার মতে, পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর নিজস্ব আইন আছে। প্রাণীরা নিজেদের আইন বদলাতে পারে না। কিন্তু মানুষ পারে। সে গতিশীল, উদ্ভাবনক্ষমতা সম্পন্ন। আইন পরিবর্তনের বুদ্ধি ও ক্ষমতা রয়েছে তার। ফলে কোনো আইনই সর্বজনীন ও অপরিবর্তনীয় নয়। আইন সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হয়। কারণ আইন সমাজের জন্য তৈরি আর সমাজ বিভিন্ন কাঠামোতে বৈচিত্র্যময়। ‘দ্য স্পিরিট অব লজ’ গ্রন্থে ফরাসি পণ্ডিত আইনের পরিবর্তনে সংঘর্ষের ভূমিকাকে গুরুত্ব দেন। এমনকি রাষ্ট্রের উত্থানকে জনগণের মধ্যে সংঘর্ষের ফল হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। সেই সংঘর্ষের ভিত্তিতে রাজনৈতিক ও সামাজিক জীবনকে বাস্তবসম্মত পরিক্রমা হিসেবে তিনি দেখেছেন। এখানে টিকে থাকা মানে সংঘর্ষ, বিপরীত কাউকে এ জন্য অবশ্যই দাবিয়ে রাখতে হবে।

মন্টেস্কুর ৪০০ বছর আগে সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও অর্থনীতিসহ বহু শাস্ত্রের পলিম্যাথ ইবনে খালদুন আইন, রাষ্ট্র, ক্ষমতা, সংঘর্ষ ও টিকে থাকার তত্ত্বকে আকার দিয়েছিলেন। তার মতে, মানুষের মতোই রাষ্ট্রেরও আয়ু থাকে এবং রাষ্ট্র তিন প্রজন্ম ধরে চলতে থাকে। ইবনে খালদুন প্রকৃতিতে কিছু বাধ্যতামূলক কার্যকারণ বন্ধনের অস্তিত্ব সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, এই বন্ধনগুলোকেই আইন বলা হয়। তার মতে, এ পরিস্থিতির কারণ হলো- মানুষ যে ব্যবস্থায় অভ্যস্ত সে অনুযায়ী আইন প্রণয়নই আল্লাহর পছন্দ। এর নাম সুন্নাতুল্লাহ বা আল্লাহ তায়ালার প্রাকৃতিক আইন। কিন্তু প্রকৃতিতে আইনের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা, এই আইনের সর্বব্যাপ্ত বিস্তৃতি ও বাধ্যবাধকতার মানে এই নয় যে, আল্লাহও এর অধীন। তার জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। তিনি চাইলে আগামীকাল সূর্য উঠতে দেবেন না।

সৃষ্টির মধ্যেও এমন ব্যতিক্রম ঘটে। এটি সম্পন্ন হয় কুদরতুল্লøাহ বা আল্লাহর বিশেষ শক্তির ব্যবহারে। মানুষকে তিনি প্রগতির ক্ষমতা দিয়েছেন। তারা কোনো স্থান-পদ্ধতির সীমাবদ্ধ দাস নয়। তারা গতিশীল ও আইনের অধীন হয়েও আইনের নির্মাতাও। তারা অন্য প্রাণীদের মতো নয়। অন্য প্রাণীরা হাজার বছর আগে যেভাবে খেত, হাজার বছর পরও সেভাবে খাবে। মানুষ পদ্ধতিতে নবায়নের যোগ্যতা রাখে। সে সভ্যতা গড়ে, সাজায়, নবায়ন করে। নিজের প্রয়োজনে সে নির্মাণ করে। তার অন্যতম সৃষ্টিকর্ম হলো রাষ্ট্র। রাজনীতি। এটি তাদের সহজাত সক্ষমতা। প্রাকৃতিক আইনেরই মতো।

মানুষের কিছু স্বার্থ ব্যক্তিগত, কিছু স্বার্থ পারস্পরিক। পারস্পরিক স্বার্থে পৌঁছানোর উপাদান হলো রাষ্ট্র ও রাজনীতি। সঙ্ঘাত ও সংঘর্ষ এখানে থাকবে। টিকে থাকার জন্য তা দরকার। তবে যুদ্ধ তখনই অবিকল্প হয়, যখন পারস্পরিক স্বার্থের জন্য কোনো দরজা খোলা রাখা হয় না। যখন প্রাকৃতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়। এর মানে হলো রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে যখন ন্যায্য উপায়ে কথা বলতে ও কাজ করতে দেয়া হয় না, তখনই সে রক্তপাতের ভাষায় কথা বলে। যখন কোনো পক্ষ সর্বজনীন আইন থেকে দূরে সরে, ফিরে আসার পথকে অস্বীকার করে, তখনই ঘটে অস্বাভাবিকতা, যা আরেকটি বড় অস্বাভাবিকতার দিকে এগিয়ে যায়, যার নাম যুদ্ধ-সঙ্ঘাত।

এর মানে পরিষ্কার। সঙ্ঘাত মন্টেস্কুতে আছে, হান্টিংটনেও আছে। তাদের আগে ইবনে খালদুনে আছে।

মন্টেস্কু মূলত ইবনে খালদুনের ছায়া ধরে হেঁটেছেন। কিন্তু সঙ্ঘাত তার কাছে অধিক গুরুত্ব পাচ্ছে। হান্টিংটনের কাছেও সঙ্ঘাতই সমাধান। ফলে সঙ্ঘাত ও রক্তারক্তির হাতে বিশ্বশান্তির দুর্গত চিত্র দেখতে পাচ্ছি আমরা, দশকের পর দশক ধরে।
ইবনে খালদুনেও সঙ্ঘাত আছে; কিন্তু তার কাছে সঙ্ঘাতটি প্রতিকার নয়। তিনি সঙ্ঘাতের প্রতিকার খুঁজছেন মানুষের সৃষ্টিশীলতার মধ্যে, রাজনীতির মধ্যে, সর্বজনীন আইনের কাছে ফিরে যাওয়ার মধ্যে। মন্টেস্কু ও হান্টিংটন সঙ্ঘাত অবধি আমাদেরকে নিয়ে যান। ভাবখানা এমন যে, তারা আমাদের নিয়ে যাত্রা করেন, যেন আমরা সঙ্ঘাতের রণক্ষেত্রে প্রবেশ করি। অন্যকে শেষ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করি যে, আমরা আছি!

কিন্তু ইবনে খালদুন আমাদের নিয়ে যাত্রা করেন, যেন আমরা সঙ্ঘাতের রণক্ষেত্রকে এড়াতে পারি। সঙ্ঘাত হাজির হলেও আমরা যেন তাকে অতিক্রম করে উত্তরণ নিশ্চিত করি। নিজেও বাঁচি, অন্যও বাঁচুক। কারণ সর্বজনীন আইন এটিই চায়। তার আপত্তি শুধু জুলুম ও ফ্যাসাদের ওপর। ইসলামে লড়াইটি এরই সাথে। একে পরিহার করার মধ্য দিয়ে সবাই সমবেত নিরাপত্তার চাতালে দাঁড়াতে পারে। এ তত্ত্ব বলতে চায়, অন্যের জীবনকে নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে যেন প্রমাণ করি- আমরা আছি।
মন্টেস্কু ইবনে খালদুনের ছাত্র বটে। তবে অসম্পূর্ণ ছাত্র। অনেক ক্ষেত্রে বিপরীত পথের যাত্রী। হান্টিংটনও ছাত্র বটে। তবে বেশি বেয়াড়া, বেশি বিদ্রোহী।

পশ্চিমা সভ্যতা ও ইসলামী সভ্যতার পার্থক্য অনেক গভীর। রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে এ পার্থক্য বোঝার জন্য রাজনীতির উদ্দেশ্য সম্পর্কে দু’টি সভ্যতার বোঝাপড়ার দিকে তাকালেই চলে। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইসলামী রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে অনেক বেশি বস্তুবাদী ও বাস্তববাদী, এটি সত্য। কিন্তু কেন? পশ্চিমা আধুনিকতা সমাজ ও রাষ্ট্রদর্শন লাভ করেছে মন্টেস্কুর হাত ধরে।
তার মতে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের গঠন বস্তুর যান্ত্রিক ব্যবস্থার অনুরূপ। এ ক্ষেত্রে দার্শনিক ডেকার্তে ও বৈজ্ঞানিক নিউটনের ব্যাখ্যাগুলোর পাশে তাকে দেখা যাবে। দর্শন, বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রতত্ত্বে এই দৃষ্টিকোণ পশ্চিমা সভ্যতাকে বস্তু ও বাস্তববাদী করে তুলেছে বেশি মাত্রায়। পশ্চিমা দেশগুলো তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সব কিছু করতে পারে। যদিও তাদের কাজটি অন্যদের জন্য ধ্বংস বা বিপর্যয় ডেকে আনে। পশ্চিমা সভ্যতা নিজের জন্য যাকে সমাধান মনে করে, সেটি যদি অন্যের জন্য সমস্যা বা মৃত্যুও হয়, তাতে তার ভাবনা নেই। এ কারণেই ফিলিস্তিন বধ্যভূমি। সেখানে ইসরাইলি কলোনি। সভ্যতার সঙ্ঘাতের হাত দিয়ে ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া ও লিবিয়ার সঙ্ঘাত এবং শরণার্থী সঙ্কট মানব জাতির ক্ষতস্থানে পরিণত হয়েছে।

অন্য দিকে ইসলামী সভ্যতার দেশগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক বা সাংবিধানিক কাঠামো বস্তু ও বাস্তববাদের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। আমরা দেখি, ইবনে খালদুন শেখাচ্ছেন, শক্তি যা-ই হোক না কেন, তা একদিন অবশ্যই শেষ হবে। শক্তি কেবল পরস্পরকে পরস্পরের কাছে পৌঁছে দেয়ার একটি ভালো উপায়। অতএব তাকে নিবেদিত ও নিয়োজিত হতে হবে কল্যাণে, ন্যায়ে, উপকারে। শক্তির এই ব্যবহার কেবলই নিজস্ব স্বার্থে হতে পারে না। নিজের জন্য যা কল্যাণ, পরের জন্য তা সর্বনাশ হলে নিজের জন্য তা কল্যাণ নয়। যদিও মোরগ বাঁচাতে প্রয়োজনে সাপকে মেরে ফেলতে হবে। কিন্তু সাধারণভাবে আপনার স্বার্থ মানেই অন্যের স্বার্থহানি হতে পারে না। যখন তা হবে, তখন বুঝতে হবে আপনি প্রাকৃতিক আইন প্রত্যাখ্যান করছেন এবং মানবীয় সৃষ্টিশীলতার অপব্যবহার করছেন।

পশ্চিমা সভ্যতার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের স্থপতি মন্টেস্কু ইবনে খালদুন এবং তার মুকাদ্দিমাকে ভালোভাবে জানতেন। কিন্তু তিনি রাষ্ট্র ও রাজনীতির উদ্দেশ্য সংজ্ঞায়িত করার জন্য একটি ভিন্ন উপায় বেছে নিয়েছিলেন। যার সার কথা হলো- সবার উপরে ‘আমরা’। হান্টিংটন পশ্চিমা সভ্যতাকে সঙ্ঘাতের তাবিজ দিয়েছেন সবার উপরে ‘আমরা’কে নিশ্চিত করার জন্য। যারা ‘আমরা’ নয়, তারা নিকৃষ্ট আর যারা ‘আমরা’র শত্রু, তারা উচ্ছেদ ও বিনাশযোগ্য। সেই বিনাশযজ্ঞ সভ্যতার সঙ্ঘাতের সূত্রে পৃথিবীকে একের পর এক ধ্বংসলীলার অভিজ্ঞতা দিচ্ছে।

সভ্যতাগুলো প্রায়ই নিজেদের বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। ইবনে খালদুন এবং মন্টেস্কুর মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য সভ্যতার চরিত্রের কিছু দিকেরই প্রতিনিধিত্ব করছে। কিন্তু এ পার্থক্য কেবল জ্ঞানীয় আলাপের বিষয় নয়; বরং এর ভেতর থেকে যে সঙ্কট জন্ম নিয়েছে, তাকে যাচাই করাও জরুরি। যেখান থেকে সঙ্কটের সূচনা, সেখানেই প্রয়োগ করতে হবে দাওয়াই। সঙ্কটের সূচনা মন্টেস্কুর অধিক বস্তুবাদ ও বাস্তববাদ থেকে, যা প্রাকৃতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধার বদলে নিজেদের স্বার্থের দৃষ্টি দিয়ে অন্যকে দেখে, আইনকে দেখে, রাজনীতিকে দেখে। অন্যের অস্তিত্ব ততক্ষণ, যতক্ষণ আমার অস্তিত্ব তাকে সহ্য করতে সক্ষম!

আমরা যদি ইনসাফ কামনা করি, তাহলে মন্টেস্কুর যা কিছু ‘আমি’র স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ‘তুমি’র জীবনকে বিপন্ন করে, তার প্রতিকার খুঁজতে হবে। সেই প্রতিকারের প্রেসক্রিপশনটি সম্ভবত ইবনে খালদুনের রাষ্ট্রচিন্তায় পেয়ে যাচ্ছি। বিশেষত তখন, যখন মন্টেস্কু যুগ হান্টিংটন যুগের আকার নিয়ে আমাদের হত্যার যুক্তি তৈরি করছে!

লেখক : কবি, গবেষক
71.alhafij@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement
ইউক্রেনের ১৭টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে রাশিয়া গ্রেফতারের আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রও চলছে মেসি ঝলক, আবারো জোড়া গোল উল্লাপাড়ায় গাড়িচাপায় অটোভ্যানচালক নিহত থাইল্যান্ড সফর শেষে সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী বিপরীত উচ্চারণের ঈদ পুনর্মিলনী ফরিদপুরে ২ ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতরা অচিরেই গ্রেফতার করা হবে : র‌্যাব মুখোপাত্র ধর্মঘটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহন বন্ধ, দুর্ভোগে মানুষ আমাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে জাগিয়ে তোলা : গাজা ইস্যুতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা গণতন্ত্রকে চিরস্থায়ীভাবে বাকশালে পরিণত করতেই খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখেছে সরকার : রিজভী বন্যার আশঙ্কায় সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার কৃষকরা

সকল