০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দেশ জাতি রাষ্ট্র

চাণক্য-ম্যাকিয়াভেলির রাজনীতি

চাণক্য-ম্যাকিয়াভেলির রাজনীতি - নয়া দিগন্ত

প্রথমেই আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ দেখে নেই।
ক. বাসে আগুন লাগিয়েছে ডিবি পুলিশ বলে চিৎকার করে বাসের পাশে বসেই হাউমাউ করে বাসচালক। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকা যখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়, তার পরপরই গোয়েন্দা পুলিশের জ্যাকেট পরা দুই ব্যক্তি বাসে আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেছেন চালক। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে কাকরাইল এলাকায় বাসটিতে আগুন দেয়া হয় বলে চালক মনির হোসেন জানান। ঢাকা-কুমিল্লা রুটের এশিয়ান পরিবহনের বাসটি ডিবি পুলিশ ‘রিকুইজিশন’ করেছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাসটিতে করে ডিবি পুলিশ সদস্যরা কাকরাইলে এসে নেমে যায়। এরপর দু’জন ডিবি পুলিশ লেখা জ্যাকেট পরে বাসের মধ্যে ঢুকে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে মোটরসাইকেল করে পালিয়ে যায়।’

বাসের হেলপারের জামায়ও আগুন লেগে যায় জানিয়ে কাঁদতে থাকা মনির দাবি করেন, ঘটনার সময় আশপাশে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, তারা ঘটনাটি শুনেছেন, এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। ‘যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরে আগুন লাগিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। যারা সংঘর্ষের জের ধরে পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি পুড়িয়েছে- এই চক্রটি এই বাস পুড়িয়েছে।’ ঘটনা ‘ভিন্ন খাতে নেয়ার চেষ্টায়’ পুলিশের পোশাক পরে বাসে আগুন দেয়া হয়েছে বলে মনে করছেন এই ডিবি কর্মকর্তা।

খ. বেলা দেড়টা। মাতুয়াইল মেডিক্যাল এলাকায় সান্টো ফিলিং স্টেশনের সামনে ঢাকা-কুমিল্লা রুটের তিশা পরিবহনের একটি বাস রাখা ছিল। সেখান থেকে বাসটি বের হয়ে মহাসড়কে ওঠার সময় এটিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। বাসে আগুন দেয়ার কয়েক মিনিট আগেই সেখান থেকে মিছিল নিয়ে যান আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। ঘটনাস্থলে অবস্থান করছিল পুলিশও। তখনই একটি মোটরসাইকেলে করে আসা তিন ব্যক্তি বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলের বর্ণনা এভাবেই জানাচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী প্রাইভেটকার চালক নয়ন। তিনি আরো বলেন, তখন ফিলিং স্টেশন এলাকায় বিএনপির বিক্ষোভ দেখা যায়নি। অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত তিশা পরিবহন বাসটির চালক মো: ছানাউল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি মানবজমিনকে বলেন, তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে বাসের কাছে আসে। তখন আমাকে বাস থেকে নেমে যেতে বলে। আমাকে বলা হয়, তুই বাস থেকে না নামলে তোকেসহ বাস জ্বালিয়ে দেবো। এ সময় তাদের হাতে পেট্রল ছিল। আমি নামার পরে তারা আগুন দিয়ে বাস পুড়িয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, বাসে আগুন দেয়ার সময় পুলিশ বাসের দুই দিকেই অবস্থান করছিল।

গ. দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাতুয়াইল মেডিক্যাল মোড়ে গুলিস্তানমুখী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। বাসটির চালক ইমরান হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি যাত্রী নিয়ে গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছিলেন। মাতুয়াইল মেডিক্যাল মোড়ে পুলিশ গাড়ি আটকে তাকে ঘুরিয়ে দেয়। তিনি মেডিক্যাল মোড়ে ইউটার্ন নিয়ে যাত্রী নামানোর জন্য দাঁড়াতেই কয়েকজন হেলমেট পরিহিত ব্যক্তি এসে বাসের পেছনের দিকে পেট্রল জাতীয় কিছু ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তারা চালক ইমরানকে মারধর করে বাসের চাবিও ছিনিয়ে নেয়।

ঘ. হাইকোর্টের সামনে বাসচালক নিজেই বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে পথচারীরা অভিযোগ করেছেন। সাংবাদিকদের ড্রাইভার বলছিলেন, দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়েছে। কিন্তু পথচারীরা তাৎক্ষণিক চালককে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তুই নিজে আগুন জ্বালাইছস আমরা নিজ চোখে দেখছি’। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও সাংবাদিকদের উদ্দেশে এক পথচারী বলেন, ‘স্যার আমি সাধারণ মানুষ। আমি নিজে দেখছি আওয়ামী লীগের, ছাত্রলীগের পাঁচটি পোলাপানরে ওয় গাড়ি থেইক্কা একটু আগেই নামাইসে। এরপর ওয় নিজে গাড়িতে পেট্রল ঢাইলা আগুন লাগাইয়া দিছে।’
ঙ. মালিবাগ ফ্লাইওভারের উপর দাঁড়িয়ে পুড়তে থাকা বলাকা বাসের চালক স্বাধীন বলেছেন, হুন্ডা দিয়ে ডিফেন্সের লোক এসে তার বাস থামিয়ে দৌড়ে এসে গাড়ির গ্লাস ও জানালা ভেঙে তাদের পিটিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভিডিওধারণকারী প্রশ্ন করেন, তারা কি বিএনপির লোক কি না? উত্তরে ড্রাইভার জানায়, ‘কোন দলের লোক না। প্রশাসনের লোক, প্রশাসনের লোক। মানে পোশাক পরা ডিফেন্সের ওই লোক’। আগুন ধরিয়েই মোটরসাইকেল চালিয়ে আবার চলে যায়।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের শুরুতে একটি ওয়্যারলেস বার্তা ভাইরাল হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, সরকারের একটি কুচক্রীমহল পুলিশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি আওয়ামী গোষ্ঠী ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। এই মহলটি ঘটমান অঘটনের বাইরে কাকরাইল গির্জা ও কালভার্ট রোডে অবস্থিত মন্দির আক্রমণেরও নীলনকশা ছিল। ঘটনাটি যে সরকারি নীলনকশার অংশ ছিল তা বোঝা যায় যারা শুরু করেছিল পরবর্তীকালে তাদের আর দেখা যায়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, নয়াপল্টনে বিএনপির সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার নৃশংস খেলা খেলেছে। পুরো কৌশলটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ৩০ অক্টোবর সোমবার ঢাকায় বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দল ও জোটের মহাসমাবেশে হামলা এবং সংঘর্ষের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তিনি গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘তারা মহাসমাবেশের অনুমতিটিকে অস্বীকার করার পরিবর্তে, এই বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই সভার অনুমতি দিয়েছিল। যাতে তারা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য বিরোধী দলের ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ দাবিকে নস্যাৎ করতে পুলিশের ওপর হামলার অজুহাত ব্যবহার করে ঠাণ্ডা মাথায় নৃশংস হামলা চালাতে পারে। আওয়ামী লীগ সরকার এটি কৌশলে বিরোধীদলের ন্যায্য দাবিকে বাতিল করার জন্য তৈরি করেছে। এর ফলে এক দিনেই বাংলাদেশের পুরো রাজনৈতিক দৃশ্যপট ব্যাপকভাবে বদলে গেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘নয়াপল্টনে বিএনপির সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে নৃশংস খেলা খেলেছে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপিকে এই শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে সরকার উদাসীন ছিল। তারপরও আগের রাতে প্রয়োজনীয় অনুমতি দেয়া হয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘মহাসমাবেশের পশ্চিম প্রান্ত থেকে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া শুরুর আগ পর্যন্ত মহাসমাবেশ পুরোপুরি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকে। তারপর আক্রমণের তীব্রতা বেড়ে যায় এবং বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দসহ সহিংস আক্রমণ পুরো জায়গাটিকে একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করে। এটি স্পষ্ট যে, পুরো কৌশলটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।’

সরকার এটি বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের জন্য করছে উল্লেখ করে মঈন খান বলেন, ‘সরকার ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায় বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে, তার গোমর ইতোমধ্যেই ফাঁস হয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘যেখানেই সরকার বাসে আগুন অথবা গ্রেনেড বিস্ফোরণের দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে সেখানেই প্রত্যক্ষদর্শীরা বলে দিয়েছেন যে, সরকারের লোকেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। কাজেই সরকারের ২০১৪ সালের ধোঁকাবাজি যে ১০ বছর পরে আর চলবে না, সেটি সরকার বুঝতে পারেনি। আজ এটি দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, এভাবে মিথ্যাচার আর জুলুমবাজি করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না।’

মহাসমাবেশের বেশ আগে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে দাঁড়াতেই দেবেন না- এরকম আস্ফালন করেছিলেন। তাদের পাতি নেতা, আধানেতা ও বড় বড় রাঘববোয়াল একই সুরে আস্ফালন করছিলেন। মহাসমাবেশের প্রাক্কালে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে পুরোনো স্টাইলে এমনকি মোবাইল ঘেঁটে বিএনপি খুঁজছিল পুলিশ। তাদের ঘৃণ্য বাধা অতিক্রম করে লাখ লাখ মানুষ যখন মহাসমাবেশে শামিল হয় তখন তাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। ছলে-বলে-কলে-কৌশলে মহাসমাবেশ পণ্ডের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। সে অনুযায়ী পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক তাদের লোক দিয়ে পুলিশ হত্যার মতো জঘন্য কাজ করানো হয়। যে দেশে সন্তান হত্যা করে শত্রুকে ফাঁসানোর অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে সে দেশে ক্ষমতার জন্য কিছু দুষ্কর্ম করা অসম্ভব কিছু নয়। নীলনকশা অনুযায়ী এমন সব স্থাপনা টার্গেট করা হয় যা দেখে মানুষ বিচলিত হবে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব ক্ষিপ্ত হবে। নইলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ও পুলিশ হাসপাতাল আক্রান্ত হওয়ার কথা নয়। বিগত দুই বছর ধরে একই স্থানে অনেকবার সমাবেশ করেছে বিএনপি। একবারও আশপাশের কোনো প্রতিষ্ঠান অথবা বাড়িঘর আক্রান্ত হয়নি। বিএনপির বিজয় যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন সরকার গণবিপ্লবের আতঙ্কে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশনায় অঘটন ঘটিয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ১৫ বছরে অনৈতিকতাকে সম্বল করে শুধু শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দেশ শাসন করেছে। এ ক্ষেত্রে শঠতা, কপটতা, মিথ্যাচার ও পাশবিকতা তাদের ক্ষমতার বাহন হয়ে থেকেছে। অপশাসন ও দুঃশাসনের বাহন হিসেবে এগুলো ছিল তাদের নিত্যদিনের অস্ত্র। অন্যায়-অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন, হামলা ও মামলার মাধ্যমে গোটা দেশে তারা ভীতির রাজত্ব কায়েম করেছে। তারই সর্বশেষ প্রমাণ দিলো বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশকে শক্তি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পণ্ড করে দিয়ে। স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি পেট্রলবোমাসহ ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বাসে আগুন দেয়ার সময় পুলিশ হাতেনাতে আটক করে।
মনীষী অ্যারিস্টটল রাজনীতিকে একটি নৈতিক বিষয় বলে বর্ণনা করেছেন। প্রায় একই সময়ে ভারতের কূট-দার্শনিক চাণক্য বা কৌটিল্য রাজনীতিতে অনৈতিকতার বৈধতা দিয়েছেন। অর্থশাস্ত্রের প্রণেতা এই অপপণ্ডিত ক্ষমতার জন্য অন্যায়-অপকর্মের বৈধতা দিয়েছেন। তিনি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন শাসকের ক্ষমতা সুসংহত করার বিষয়। তিনি বলেছেন, ‘শাসনকে রক্ষা করার জন্য তাকে শত্রু-মিত্রকে চিহ্নিত করতে হবে। সম্রাটের বিরুদ্ধে কোথাও কোনো ষড়যন্ত্র সৃষ্ট হচ্ছে কি না তা জানার জন্য তাকে গুপ্তচর নিয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্র ও নিজের শাসনকে রক্ষা করার জন্য শত্রুকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সম্রাটকে প্রয়োজনে নির্মম হতে হবে। এ লক্ষ্যে কোনো কৌশল গ্রহণই সম্রাটের দ্বিধা করলে চলবে না। (সরদার ফজলুল করিম : দর্শনকোষ : ৩৫১)

শাসককে নিজের শাসনকে রক্ষা করার জন্য কোনো কৌশল গ্রহণেই দ্বিধা করলে চলবে না- চাণক্যের এরকম উপদেশের উদাহরণ আরো পাওয়া যায় পঞ্চদশ শতকের ইউরোপীয় আর এক কূট-দার্শনিক ম্যাকিয়াভেলির ‘প্রিন্স’ নামক গ্রন্থে। ম্যাকিয়াভেলি নৈতিকতা উপেক্ষা করে ক্ষমতা অর্জন ও সংহতকরণকে বড় করে দেখেছেন। তার বক্তব্য ‘অসঙ্গত উপায়েও ক্ষমতা অর্জিত হতে পারে’। তিনি ধর্ম ও নৈতিকতাকে রাজনীতি থেকে শুধু পৃথক করেননি, রাজনীতির নিচে সে দু’টিকে অবনমিত করেন। তিনি নীতি বিচার অপেক্ষা ক্ষমতাকে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলেন। তিনি রাজনীতির সুবিধার্থে ধর্মকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন। লোকের মন জয় করার জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান, ধর্মের প্রচার ও নিজেকে ধর্মাত্মা হিসেবে তুলে ধরাও রাজার পক্ষে বিধেয়। তিনি আরো মনে করেন, ‘ক্ষমতা সংহত করার ক্ষেত্রে ন্যায়নীতি, সঙ্কোচ ইত্যাদির কোনো স্থান নেই।’ (সৌরেন্দ্রমোহন গঙ্গোপাধ্যায় : রাজনীতির অভিধান : ২৪০)
সুতরাং মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement