০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কূটনীতির রাজনীতি

কূটনীতির রাজনীতি - নয়া দিগন্ত

কার লেজ কে নাড়ে এরকম কথা বলে বিপাকে পড়েছিলেন এ দেশের একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ। বাংলাদেশের এখনকার রাজনীতির হাল-হকিকত ব্যাখ্যা করে মন্তব্যটি প্রাসঙ্গিক মনে হচ্ছে। একটি দেশের কূটনীতির নিয়ামক হচ্ছে রাজনীতি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এখন কূটনীতির রাজনীতি চলছে। বিশেষ করে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ কথাটি যত্রতত্র আলোচিত হচ্ছে।

একসময় এ অঞ্চলের স্লোগান উত্থিত হতো, ‘ঢাকা না পিণ্ডি-ঢাকা, ঢাকা’। এখন ফিসফিস করে কানে কানে লোকজন জিজ্ঞাসা করছে- ‘ঢাকা না দিল্লি’। সঙ্গতভাবেই একজন দেশপ্রেমিকের মুখে উচ্চারিত হবে- ‘ঢাকা না দিল্লি-ঢাকা, ঢাকা’। স্বাধীনতার পরবর্তীকালে প্রতিবেশীর ক্রমাগত আগ্রাসনের মুখে উচ্চারিত হতো- ‘ভুটান নয়, সিকিম নয়- এ দেশ আমার বাংলাদেশ।’ সে সময়ে সিকিম স্বাধীন ছিল। ১৯৭৪ সালে ভারতের তাঁবেদার লেন্দুপ দর্জি নির্বাচনের মাধ্যমে পার্লামেন্টে তথাকথিত সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সিকিমে ভারতীয় পতাকা উড্ডীন করেন। এই অন্তর্ভুক্তির আগে লেন্দুপ দর্জিরা দিল্লিতে মর্যাদার সাথে গৃহীত হতেন। পরে লেন্দুপ দর্জি দিল্লিতে অপমানে অবহেলায় কালাতিপাত করেন। শোনা যায়, জীবনের শেষে তিনি অনুতাপ করেছিলেন। তাতে কি-বা আসে-যায়? ভারত তার মাধ্যমে সিকিমের যে সর্বনাশ করেছে তা তো আর ফিরে আসবে না।

বাংলাদেশেও লেন্দুপ দর্জিরা আছেন। তারা কূটনৈতিক রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকেও সিকিমের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চান। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ভাষ্যকাররা বলেন, পৃথিবীর কূটনীতিতে এখন অনেক কূটকৌশলের আবির্ভাব ঘটেছে। সত্তর দশকের সেই কূটনীতি দেশ দখল, পতাকা পরিবর্তন ও সর্বতোভাবে নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন নেই। আগ্রাসী শক্তির অনুকূলে যদি দেশটির নেতৃত্ব তথা সরকার দখল করা যায়, তাহলে পতাকা পরিবর্তনের দরকার কি? বাংলাদেশের কূটনীতির ইতিহাসে ওয়ান-ইলেভেনের সামরিক সরকার সমর্থিত তথাকথিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কূটনীতির রাজনীতি প্রতিষ্ঠা অর্জন করে। ভাবতে অবাক লাগে, তখনকার সামরিক সরকারকে ভারতীয়রা ‘গণতন্ত্রের কারিগর’ অথবা ‘ভারতের মৈত্রীর বাহন’ বলে অভিহিত করে। ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তার আত্মজীবনীতে এখানকার সেনাপ্রধানকে কি ভাষায় নিশ্চিত করেছিলেন, সে কথা অকপটে লিখেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের গ্রন্থকার মহিউদ্দীন যখন বিষয়টি সেকালের সেই সেনাপতিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন তখন তিনি উত্তর দিয়েছিলেন- ‘মনে পড়ছে না’। তার মনে না পড়াই সঙ্গত। তিনি এবার তার গোষ্ঠী প্রায় লেন্দুপ দর্জির যে ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন তার পুরস্কার তারা পেয়েছেন। সেই যে কূটনীতির রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বাংলাদেশের মানুষ আজও সে জগদ্দল পাথর সরাতে পারেনি। পুরোনো এক লেন্দুপ দর্জির পরিবর্তে নতুন নতুন মুখ ও মুখপাত্র দৃশ্যমান হচ্ছে।

এই দৃশ্যমান কূটনীতির রাজনীতির আবর্তে নিক্ষিপ্ত হয়েছে এই জাতি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে বিরোধীদের জয় যখন শতভাগ নিশ্চিত তা অনিশ্চিত করার জন্য এগিয়ে আসে প্রতিবেশী। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা সরাজ বলেছিলেন, ‘পড়শি পহেলে, লেকিন বাংলাদেশ সবসে পহেলে’। তিনি এরশাদকে কি ভাষায় ধমক দিয়েছিলেন এবং কিভাবে তিনি হাসপাতালে নীত হয়েছিলেন তা সচেতন নাগরিকদের মনে থাকার কথা। ২০১৮ সালে তাদের তেমন কিছু করতে হয়নি। শুধু পুরোনো কৌশলকে নতুন করে ঝালাই করতে হয়েছে। আর টাকা অবশ্য দিয়েছিল গৌরি সেন! ভুলে গিয়েছিলাম এ কথা বলতে যে, ওয়ান-ইলেভেনের অবশেষে ২০০৮ সালের অভিনব নির্বাচনে লন্ডনের দ্য ইকোনমিস্টের তথ্য মোতাবেক ‘বস্তা বস্তা ভারতীয় টাকা ও তাদের কূটকৌশলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে।’ এভাবেই ভারতীয় সহযোগিতা ও কূটকৌশলের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আঁকড়ে আছে গত ১৫ বছর ধরে।

২০২৪ সালের সমাগত নির্বাচন নিয়ে সেই একই ভারতীয় কৌশল কাজে লাগানোর আশায় দৌড়ঝাঁপ করছে সরকারি দল। কিন্তু মাঝখানে বাদ সেধেছে অভ্যন্তরীণ গণআন্দোলন। প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতি। বিশেষ করে ভিসানীতি ঘোষণার পর আওয়ামী সরকারে টনক নড়ে। কখনো পক্ষে আবার কখনো বিপক্ষে কথা বলে সরকার তার অস্বাভাবিক কূটনীতির পরিচয় দেয়। দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্যে চরম ক্ষোভ, হতাশা ও অসন্তুষ্টির প্রমাণ মেলে। যতই দিন যাচ্ছে ততই মার্কিন ও পশ্চিমা কূটনৈতিক চাপ প্রবলভাবে অনুভূত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে একের পর এক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে। এই মাসে অভ্যন্তরীণ আন্দোলন চরম আকার ধারণ করবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। সেই সাথে কূটনৈতিক চাপ আরো ঘনীভূত হবে বলে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা। এ মাসেই বাংলাদেশ-মার্কিন বাণিজ্য সংলাপ ‘টিকফা’ অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেও নির্বাচনের প্রসঙ্গ উত্থাপিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সেদিন নিরাপত্তা ও সামরিক বিষয়ের আলোচনাতেও মার্কিন প্রতিনিধিদল নির্বাচনের প্রসঙ্গ নিয়ে আসেন। অক্টোবরের শুরুতে আসবে মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক মিশন। পর্যবেক্ষক মিশনের চূড়ান্ত সুপারিশের ভিত্তিতে মার্কিন সর্বশেষ অবস্থা ও ব্যবস্থা নির্ণীত হবে- কূটনৈতিক মহলে এই আলোচনাই হচ্ছে। যেভাবে অভ্যন্তরীণ আন্দোলনকে আওয়ামী লীগ সরকার নিপীড়ন নির্যাতন দমন করতে চাচ্ছে তাতে মার্কিন পক্ষ থেকে বড় কোনো বিধিব্যবস্থা আরোপিত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

এরকম পশ্চিমা কূটনীতির রাজনীতির মোকাবেলায় আওয়ামী লীগ অস্থির হয়ে ওঠে। আমেরিকা-ইউরোপ সমীকরণের মোকাবেলায় তারা রুশ-চীন কূটনীতি হাজির করে। ভিসানীতির পরপরই রাশিয়া খোলাখুলিভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মার্কিন হস্তক্ষেপের নিন্দা করে। চীনও একই সুরে কথা বলে। চীন অবশ্য পরে নিজেদের অতি-আতিশয্য থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় নেমে আসে। অতিমাত্রায় কূটনৈতিক খেল দেখাতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ‘নোম্যান্স ল্যান্ডে’ খাদের কিনারায়। ব্যাকরণবহির্ভূতভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশ জি-২০ এর সদস্য নয়। তবুও কূটনীতির রাজনীতি দিয়ে শেখ হাসিনার শেষ রক্ষায় তৎপর তিনি। তবে দুই নেতার আনুষ্ঠানিক বৈঠকে হাসিনা সরকারের প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন তো দূরের কথা, নীতিগত সমর্থনও উচ্চারিত হয়নি। যদিও কূটনীতির ভাষায় আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটে লিখেছেন, ‘গত ৯ বছরে ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কে অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। কিন্তু আমাদের আলোচনার সংযুক্তি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরো অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে তাদের একান্ত বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কিনা সেটি আমাদের জানা নেই।’

দীর্ঘ ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, আওয়ামী লীগ হচ্ছে ভারতের শক্ত ভক্ত। বিগত নির্বাচন দুটোতে প্রকাশ্য সমর্থন থাকলেও এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। অভ্যন্তরীণ আন্দোলন ও পশ্চিমা কূটনীতির কারণে আগের মতো নগ্নভাবেই আওয়ামী লীগকে সমর্থন করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তা ছাড়া পশ্চিমা চাপ তাদের নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্প প্রশাসন বৈশ্বিক রাজনীতির বিষয় নিস্পৃহ ছিল। এর আগে হিলারি ক্লিনটন ভারতকে দক্ষিণ এশিয়ার নেতা হিসেবে ব্ল্যাংক চেক দেন। বর্তমান সমীকরণে ভারত আর মার্কিন বিশ্বস্ততা তথা কর্তৃত্বের অধিকার ধারণ করে না; বরং ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে বেকায়দায় আছে বলে প্রতীয়মান হয়। কোনো কোনো সংবাদপত্রে আওয়ামী লীগের প্রতি মার্কিনিরা নরম হয়েছে বলে খবর ছাপা হওয়ার পর এই সেদিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়, ‘মার্কিন নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।’

হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়কারী জন কিরবি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি।’ তার ভাষায়, ‘আমরা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমর্থন করি। আমরা বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছাকে সমর্থন করি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তায় সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।’ প্রফেসর ইউনূস প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের লাগামহীন বৈরিতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নীতির প্রশ্নে আরো কঠোর করে তুলবে বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা। যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইউনূসের পক্ষ নিয়ে হেস্তনেস্ত হলেন তার প্রতি নৈতিক সমর্থন দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

অব্যাহত মার্কিন চাপের মোকাবেলায় সরকারের দৌড়ঝাঁপের কমতি নেই। গত ৫০ বছরে কোনো রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করেননি। গত সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বাংলাদেশ সফর করলেন। সহজেই বুঝা যায় এটি ছিল আয়োজিত। ল্যাভরভ ভালো সার্টিফিকেট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারকে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চাপের পরও জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ প্রশংসামূলক কাজ করেছে। তিনি আরো জানান, রাজনৈতিক সম্পর্ক কার্যকরভাবে জোরদারের জন্য সম্ভাব্য প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাদের। ফ্রান্সের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক ন্যূনতম। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে দেশে এনে নিজেদের পাল্লা ভারী করছে আওয়ামী লীগ। ম্যাক্রোঁ এসেছিলেন দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য। ফিরে যাওয়ার আগে এই সংক্ষিপ্ত আয়োজন। সাধারণত কোনো দেশের সরকারের মেয়াদের শেষ দিকে পশ্চিমা সরকারপ্রধানরা সফরে যান না। তাই ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফর কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের প্রথম উপগ্রহ তৈরির আদেশ পেয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় উপগ্রহ তৈরির আদেশ পেয়েছে ফ্রান্স। বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ।

বাংলাদেশকে নিয়ে বৈশ্বিক সমীকরণে কূটনীতির রাজনীতিতে যে দ্বন্দ্ব বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য কোনো শুভ লক্ষণ নয়। বাকশাল ঘোষণার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, Bangladesh became the hotbed of international clicks. আর এখন তার কন্যা সেই একই অবস্থানের প্রতিধ্বনি করছেন। এতে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত। স্বাধীনতা প্রশ্নের সম্মুখীন। সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। নাগরিক সাধারণ উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ বেসামাল। খড়কুটো ধরে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চায় তারা।
আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের বাইডেনের শেখ হাসিনার সঙ্গে সেলফি তোলা নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ করে। এক সেলফিতে নাকি বিএনপির ঘুম হারাম হয়েছে। এটি কোনো সাবালক রাজনীতিবিদের মন্তব্য হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেলফি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের উত্তরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেলফিটা বাঁধিয়ে গলার মধ্যে পরে ঘোরেন। সেলফির জন্য কিন্তু র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা কিংবা ভিসানীতি উঠে যায়নি।’ যখন কূটনীতির রাজনীতি পরিব্যাপ্ত করছে সব কিছু তখন সৌজন্যের সেলফি স্থায়ী রণকৌশলের ব্যতিক্রম ঘটাবে না।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement