স্পষ্ট কথা বলা একটি মানবিক গুণ যা বর্তমান সমাজে বেশির ভাগ মানুষের নেই। সত্য কথা বলা সমাজ বা পৃথিবী থেকে যেন উঠে গেছে। ‘পাছে লোকে কিছু বলে’-এ চিন্তায় অনেক মানুষ সত্য প্রকাশে সর্ব অবস্থায়ই সত্য ও স্পষ্ট কথা বলা এড়িয়ে চলে। এক শ্রেণীর লোক রয়েছে যারা সত্য বলার পরিবর্তে অনায়াসে মিথ্যার পর মিথ্যা বলে আত্মতৃপ্তি লাভ করে। এ ধরনের প্রবণতা সাংবিধানিক পদধারী রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী লোকদের মধ্যেও দেখা যায়। কিছু সংখ্যক মানুষ স্বভাবগতভাবেই সোজা কথাকে বাঁকা করে উপস্থাপন করে। এ মর্মে পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন- ‘যদি তোমরা প্যাঁচানো কথা বলো বা পাশ কেটে চলো তবে তোমরা যা করো আল্লাহ তার খবর রাখেন’ (সূরা-নিসা, আয়াত-১৩৫)।
এখন সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে যারা সর্বাবস্থায় ‘জি হুজুর, জাহাঁপনা’ বলতে অভ্যস্ত। ‘বিবেক’ মানুষের মস্তিষ্ক থেকে অনেক আগেই চলে গেছে। সত্য বলার চেয়ে সত্যকে আড়াল করাই যেন মানুষের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাজনীতির অঙ্গনে সত্য বললেই সমস্ত ঝামেলা, কারণ স্বার্থান্বেষীদের দাপটের সামনে টিকতে না পেরে উড়ে যেতে হয়। তোষামোদই রাজনৈতিক অঙ্গনের এখন প্রধান কোয়ালিফিকেশন। এর মধ্যেই ব্যতিক্রম কিছু ব্যক্তির আবির্ভাব হয় যারা শত অপবাদ মাথায় নিয়েও বিবেক থেকে যা উদগত হয় সে কথা কারো রক্তচক্ষু বা মনোরঞ্জন হবে কি হবে না তা বিবেচনায় না নিয়ে স্পষ্টভাবে মনের ভাব প্রকাশ করেন, যেখানে থাকে না কোনো প্রকার চাতুরতা। আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা বা রাজনীতি বা সামাজিক ঘটনাপ্রবাহে স্পষ্ট কথা বা সত্যভাষীর কারণে অনেক মানুষ উপকৃত হয় বটে কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয় সত্যবাদী বা স্পষ্টভাষী ব্যক্তি স্বয়ং নিজে, উপকৃত ব্যক্তিরাও তখন তাকেও এড়িয়ে চলে যার স্পষ্টবাদিতার জন্য সে উপকৃত হয়েছে। সমাজ, রাজনীতি ও ব্যক্তিজীবন সব কিছুই যেন পা চাটা বা সুবিধাবাদী তন্ত্রের কাছে বন্দী হয়ে পড়েছে। ফলে সত্য বলার ঝুঁকি থেকে মানুষ সরে গেছে। এখন অনেকেই বলে থাকেন, পা চাটা লোকেরা এ দেশের সুপারপাওয়ার।
তারা সব জায়গায় সুবিধা পায়, সেটি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বলেন, সামাজিক ক্ষেত্রে বলেন; আর কর্মক্ষেত্রেই বলেন- তারা সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়ে থাকে। বলতে গেলে পা চাটাদের একটি অবস্থানই থাকে আলাদা সর্বোপরি। অথচ এরা না কারো আপন হয়, না কারো বিশ্বস্ত হয়, না কারো নিজস্ব হয়। এরা হয় সুবিধাবাদী, মেরুদণ্ডহীন টাইপের লোক। এদের নিজের কোনো মতামত থাকে না, নিজস্ব কোনো হস্তক্ষেপ থাকে না কোনো সিদ্ধান্তমূলক কাজে। এদের মধ্যে বিবেক মানবতা বলতেও কিছু থাকে না। তবুও এরা অনেকের অনেক প্রিয় হয়ে থাকে, বর্তমান সমাজে তারা সুপারপাওয়ার হলেও, এরা সমাজ ও জাতির জন্য কলঙ্কজনক একটি বোঝা যার ভার বহনে জাতি এখন বীতশ্রদ্ধ।
তবে সমাজে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী মানুষ রয়েছেন যারা মুখের উপর স্পষ্ট কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন না। যাদের মেরুদণ্ড সোজা রয়েছে, যাদের ব্যক্তিত্ব রয়েছে তারাই অনায়াসে সত্য কথা স্পষ্ট করে বলতে পারেন। হালে বৃহত্তর বিরোধী দল বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না বিধায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না।
কারণ এ দেশে ‘বেড়ায় ক্ষেত খায়’ অর্থাৎ জনগণকে নিরাপত্তা দেয়ার সাংবিধানিক ও আইনগত দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত তারাই ক্ষমতাসীনদের পদলেহনের জন্য জনস্বার্থকে জলাঞ্জলি দেয়। অর্থাৎ পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রশাসনিক আমলা, বিচার বিভাগের কেউ কেউ সবাই যৌথভাবে নগ্ন হয়ে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে, সম্প্রতি বিচারকদের দুর্নীতি সম্পর্কে প্রধান বিচারপতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, অথচ বেতনভুক্ত কর্মচারী দিয়ে রাষ্ট্রের মালিকদের (সংবিধানের অনুচ্ছেদ-৭ মোতাবেক) ভোটাধিকার হরণের দৃশ্য ঘৃণাভরে তাকিয়ে দেখা ছাড়া জনগণের অন্য কোনো উপায় থাকে না। যারা তখন ক্ষমতায় অর্থাৎ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলও জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দাবিতে মারমুখী যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, অথচ জাতির ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, শেখ হাসিনাসহ ১৪ দল ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের চরম বিরোধিতা করছেন। এ কারণেই ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রভিশন তুলে দেয়, যা ছিল রক্তের আখরে লিখা। অথচ শেখ হাসিনাই তখন বলেছিলেন, প্রতিটি নির্বাচন তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চান। এখন যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবির নেতৃত্ব দিচ্ছেন অর্থাৎ বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরোধিতা করেছেন অত্যন্ত জোরালোভাবে।
অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন যারা ক্ষমতায় থাকে তখন তাদের জন্য ‘গলার কাঁটা’, অন্যদিকে ক্ষমতাহীনদের জন্য আশীর্বাদ, ফলে গণতন্ত্রের সেøাগান একটি বাতুলতা মাত্র, ক্ষমতার লড়াইটাই এখানে মুখ্য। অথচ কেউ পছন্দ করুক বা না করুক জাতিকে নির্বাচনী কলঙ্ক থেকে মুক্ত করার জন্য তথ্যমন্ত্রী থাকাবস্থায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাই অকুতোভয়ভাবে সর্বপ্রথম ঘোষণা করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া বাঞ্ছনীয় এবং ঐতিহাসিক এ বক্তব্যের জন্য তৎকালীন বিএনপি সরকার ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে তথ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি দেয়। নির্বাচনী পদ্ধতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি আরো একটি মতবাদ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জন্মসূত্রে বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক এমন প্রতিটি নর-নারীর অনুকূলে পাসপোর্ট ইস্যু বাধ্যতামূলক করতে হবে (উল্লেখ্য, বিশেষ তদবির ও ঘুষ ছাড়া পাসপোর্ট পাওয়া একটি দুষ্কর বিষয়)! সে পাসপোর্টই হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভোটার কার্ড। ভোটার পাসপোর্ট নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবে, পুলিং অফিসার নির্ধারিত পাতায় সিলসহ স্বাক্ষর করার মাধ্যমে ভোট প্রদান সমাপ্ত হবে। এ পদ্ধতিতে একদিকে একজন নাগরিক রাষ্ট্রীয় সম্মান পেত, পাসপোর্ট সংগ্রহের হয়রানি থেকে বেঁচে যেত, অন্য দিকে ভোট প্রদানে একটি পরিচ্ছন্ন পদ্ধতি চালু হতো। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যাকে বিএনপি প্রতিষ্ঠাকালীন স্থায়ী কমিটি সদস্য করেছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি উত্থাপনের পুরনো অভিযোগে দলীয় অভ্যন্তরীণ নানা চক্রান্তের শিকার ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে পরবর্তী কাউন্সিলে ডিমোশন দিয়ে বিএনপির তৃতীয় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। ২০১০ সালে বিএনপি কর্তৃক ঈদুল আজহার মাত্র দুই দিন আগে দেশব্যাপী হরতাল আহ্বানের বিরোধিতা করায় সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ব্যারিস্টার হুদাকে ২২ নেভেম্বর ২০১০ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৬ এপ্রিল ২০১১ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ব্যারিস্টার হুদাকে দলে স্বপদে পুনর্বহাল করেন। অন্তে দেশে যখন রাজনৈতিক অস্থিরতা চরম পর্যায়ে তখন ৩১ মে ২০১২ জাতীয় প্রেস ক্লাবে একটি সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা একটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ফর্মুলা তৈরি করার জন্য দুই নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী) আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে একত্রে বসে রূপরেখা প্রণয়ন করার আহ্বান জানিয়েছেন, অন্যথায় তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। যে কথা সেই কাজ। জাতীয় সমস্যা সমাধানে দুই নেত্রী একত্রে না বসায় ৬ জুন ২০১২ তার প্রাণপ্রিয় দল থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। দেশকে হানাহানি, রক্তারক্তি ও সরকার কর্তৃক বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে কারাবন্দীসহ পুলিশি হয়রানি থেকে বাঁচানোর জন্য তিনি এ ফর্মুলা দিয়েছিলেন যা মূল্যায়িত না হওয়ায় তিনি তার রাজনৈতিক জীবনের মূল্যে হানাহানির পরিবর্তে সমস্যা সমাধানে একটি দৃষ্টান্তমূলক রাজনৈতিক সমঝোতার ফর্মুলা জাতির সামনে উপস্থাপন করেছিলেন।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়ার একজন আস্থাভাজন। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলার রাখালরাজা জিয়াউর রহমান শাহাদাতের আগে দুই-তিন ঘণ্টা পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় রাত্র ১১-১২টা পর্যন্ত হুদা স্যার জিয়ার সাথে একত্রে নৈশভোজের পর বোনের অনুরোধে রাত যাপন করার জন্য বোনের বাড়িতে চলে যান। ফলে অলৌকিকভাবে বিপথগামী সেনাদের হত্যাযজ্ঞ থেকে স্যার প্রাণে রক্ষা পান। শহীদ জিয়ার আস্থাভাজন ব্যক্তি হুদা স্যার ছিলেন দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয়, বৃহত্তর ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতারা মফস্বল জেলার নেতাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন অনেকেই, যেমন- ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরী, খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও তার সহধর্মিণী অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম মানবাধিকার সংগঠন গড়ে তোলেন, যার নাম বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা। সিগমা হুদা একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান যে পরিবার থেকে বাংলা-ভারত উভয় রাষ্ট্রের মন্ত্রী ছিল, হয়েছিল ভারতের প্রধান বিচারপতি। সিগমা হুদার পিতা ছিলেন শহীদ জিয়ার মন্ত্রিসভার উপদেষ্টা, দাদা ব্রিটিশ আমলের অবৈতনিক ম্যাজিস্ট্রেট, ভারতের প্রধান বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি আলতামাস কবীর ও জর্জ ফার্নান্দেজ ছিলেন ভারতের মন্ত্রিসভার সদস্য। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা কমিটির অনুমোদনের জন্য ১৯৭৪-৭৫ সালে এই দম্পতির সান্নিধ্যে আসি এবং তারপর থেকেই একত্রেই পথচলা। পিতার মতো স্নেহ দিয়ে স্যার সর্বাবস্থায় আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন যার ঋণ পরিশোধযোগ্য নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় (১৯৯৫-২০০১) থাকা অবস্থায় আমার বাড়িঘরে আক্রমণ, চেম্বার জ্বালিয়ে দেয়ার পর আমার জীবন নারায়ণগঞ্জে যখন ছিল নিরাপত্তাহীন তখন তিনি আমাকে তার চ্যানসারি চেম্বারে আশ্রয় দেন। ২০০১ সালে ১৬ জুন চাষাঢ়া আওয়ামী লীগ অফিসে বোমা বিস্ফোরণে ২২ জন হত্যামামলায় আমাকে প্রধান আসামি করার পর গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকাবস্থায় তার বাড়িতে আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টে তার জুনিয়রশিপ করেছি। আল্লাহর রহমতে যোগাযোগমন্ত্রী হয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যান করার জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তিনিই আমার নাম প্রস্তাব করেন। একই সাথে ২৬ মাস কারাবরণ করেছি, মৃত্যুর পাঁচ-ছয় দিন আগেও একান্তে ডেকে নিয়ে অনেক না বলা কথা বলে গেলেন, যার প্রতিটি বাক্য আমি হারে হারে মনঃস্তাত্তিকভাবে অনুভব করছি। মৃত্যুর সময় কাছে না থাকতে পারলেও পাঁচটি জানাজায় উপস্থিত থেকে প্রধান বিচারপতিসহ সাধারণ মানুষের মন্তব্য শুনেছি।
স্যারের নির্বাচনী এলাকায় তিনটি জানাজায় ছিলাম। সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল বিদায়ী শুভেচ্ছায় শাণিত হয়েছিলেন ব্যাপকভাবে। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে একটি শোকবার্তা বা একটি ফুলেল শুভেচ্ছা স্যারের কফিনে দেখলাম না যাদের আদর্শ বাস্তবায়নে তিনি জীবন যৌবন উৎসর্গ করেছিলেন। তাদেরকেও দেখলাম না যারা তার এককালীন রাজনৈতিক সহকর্মী, যারা হুদা হুদা ভাই বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলত। তখনই ফরাসি কবির সেই শায়ের মনে পড়ছিল- ‘জিসকা খাতির মেরে জানাজা হুয়ে, মাগার ও নেহি নিকলে জিসকা খাতির মেরে জানাজা হুয়া।’
লেখক : রাজনীতিক, কলামিস্ট ও আইনজীবী
(অ্যাপিলেট ডিভিশন)
E-mail: taimuralamkhandaker@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা