২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শকুনি, বিচিত্র বীর্যের বংশধর ও ব্রহ্মাস্ত্র কাহিনী

লেখক : গোলাম মাওলা রনি - ফাইল ছবি

ব্রহ্মাস্ত্র শব্দটি শোনেননি এমন বাংলাভাষী মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর এবং কথায় কথায় শব্দটি ব্যবহার করে নিজের পাণ্ডিত্য জাহির করার মতো বিজ্ঞ লোকের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু আপনি যদি ব্রহ্মাস্ত্র শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও ইতিহাস জিজ্ঞাসা করেন তবে ব্যাপক পড়াশোনা ও গবেষণা ছাড়া কেউ শব্দটি সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবেন না। মহাকালের রাজনীতি, মানবসভ্যতা, রাজতন্ত্র, ন্যায়তন্ত্র ও মানুষের অনাদি বিচারবোধ- ক্রোধ এবং কামের সাথে ব্রহ্মাস্ত্রের যে একটি আদি সম্পর্ক রয়েছে তা আমিও ইতঃপূর্বে জানতাম না। সুতরাং আরো অনেক মানুষের মতো আমিও কথাবার্তায় ব্রহ্মাস্ত্র শব্দটি ব্যবহার করতাম ঠিক নিম্নবর্ণিত কাহিনীর মতো।

কাহিনীটি আমার নিজের জীবনের। যখন আমি চাকরি করতাম জার্মান মালিকানাধীন একটি বহুজাতিক কোম্পানিতে। আমার ইমিডিয়েট বস ছিলেন বিদেশে লেখাপড়া করা অতি উচ্চবংশীয় জনৈক যুবক যিনি বাংলাদেশের কূটকৌশল কর্মস্থলের নোংরামি ইত্যাদি সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। আর আমাদের দু’জনের বস ছিলেন অতিশয় সুন্দরী, বদরাগী ও কথায় কথায় খারাপ ব্যবহার করা জনৈক ব্রিটিশ বাংলাদেশী মহিলা। ভদ্র মহিলা কথায় কথায় আমার ইমিডিয়েট বসকে বকা দিতেন কিন্তু আমাকে স্নেহ করতেন। আমরা সবাই বড়সড় একটি হলরুমে বসতাম। কিন্তু অফিসের নিয়ম মতে ২০-২৫ জন এক রুমে বসে কাজ করা সত্ত্বেও কোনো শব্দ হতো না। প্রয়োজন মতো আমরা অত্যন্ত নিচুস্বরে ইন্টারকমের মাধ্যমে পরস্পরের সাথে কথা বলতাম।

আমার ইমিডিয়েট বস হঠাৎ একদিন ইন্টারকমে বললেন, রনি! আপনি তো আমার সাবঅর্ডিনেট। কেন আপনি সারাক্ষণ ওই মহিলার কাজে ব্যস্ত থাকেন। এখন থেকে আপনি সর্বদা আমার কাজ করবেন। জবাবে আমি বললাম, আপনি যদি আমাকে প্রয়োজনীয় কাজ দিয়ে ব্যস্ত রাখতে পারেন তবে আমার জন্যও ভালো হবে। তিনি বললেন, আমার টেবিলে তো অত কাজ নেই। তার চেয়ে বরং আমরা ইন্টারকমে পরস্পরের সাথে কথা বলে সময় কাটাব যাতে ওই মহিলা আপনাকে অথবা আমাকে ব্যস্ত রাখার সুযোগ না পান। আমি পাল্টা প্রশ্ন করে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার সাথে আমি ইন্টারকমে এতক্ষণ কী কথা বলব। তিনি বললেন, আমরা মহিলার বিরুদ্ধে কূটনামি করব- তাকে গালিগালাজ করব। আমি বললাম, ওকে প্রথমে আপনি শুরু করুন। তিনি বললেন, ও একটা ধুমসি- একটা মাঙ্গি! আমি আশ্চর্য হয়ে জানতে চাইলাম, ধুমসি এবং মাঙ্গির অর্থ কী! তিনি বেশ অসহায়ত্ব নিয়ে বললেন, ভাইরে- আমি তো শব্দগুলোর অর্থ জানি না, তবে আমার অনুমান ওগুলো খুবই খারাপ কিছু হবে।

আমার চাকরি জীবনের ধুমসি ও মাঙ্গির মতোই ব্রহ্মাস্ত্র সম্পর্কে অনেকের জ্ঞান-গরিমা ও জানা শোনায় অস্পষ্টতা থাকতে পারে। এই শব্দটি সম্পর্কে মহাভারত-রামায়ণ-বেদ-পুরাণসহ হাজার বছরের বৈদিক সাহিত্যে এতসব কাহিনী রয়েছে যার কিয়দংশ পড়ার পর আমি রীতিমতো হতবাক হয়ে গেছি। একজন রাজা- তার প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপতির মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগি পারস্পরিক নিয়ন্ত্রণ ও পৃথিবীর কল্যাণের সাথে ব্রহ্মাস্ত্র কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে তার বিষদ বর্ণনা রয়েছে মহাভারতে। আজকের নিবন্ধে আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করব বিষয়গুলো বর্ণনার জন্য।

ব্রহ্মাস্ত্র বলতে সাধারণত বোঝায় অসাধারণ একটি মারণাস্ত্র যার অলৌকিক গুণাবলি রয়েছে। এই অস্ত্র বিশেষ ধ্যান-ইবাদত-বন্দেগি এবং বিশেষ অনুশীলনের মাধ্যমে অর্জন করা যায়। এই অস্ত্রের কার্যকারিতা অব্যর্থ এবং যার ওপর ব্রহ্মাস্ত্রের প্রয়োগ করা হয় তার ধ্বংস অনিবার্য ও অস্ত্রধারীর বিজয় নিশ্চিত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো, মানব ইতিহাসে কেউ কোনো দিন ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করেননি। স্পষ্ট করে বলতে হলে বলতে হয়, এই অস্ত্র প্রয়োগের দরকার হয়নি। কারণ যার কাছে এই অস্ত্র থাকত তিনি কোনো যুদ্ধ ছাড়াই বিজয়ী হতে পারতেন। ব্রহ্মাস্ত্রের ধারককে তার প্রতিপক্ষরা যমের মতো ভয় পেত এবং লাখ লাখ সৈনিক ও প্রচলিত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কোনো বিশাল সেনাবাহিনী ব্রহ্মাস্ত্রের সামনে দাঁড়ানোর কথা কল্পনাও করতে পারত না।

প্রাচীন ভারতীয় বেদশাস্ত্র অনুযায়ী, কোনো রাজা-সেনাপতি অথবা সৈনিক যাদেরকে ক্ষত্রিয় বলা হতো- তাদের কাছে ব্রহ্মাস্ত্র থাকত না। ব্রহ্মাস্ত্র কেবল ব্রাহ্মণ অর্থাৎ পণ্ডিত বিজ্ঞ বা আলেমদের কাছেই থাকতে পারে। কারণ, রাজা-সেনাপতি-সৈনিক অর্থাৎ ক্ষত্রিয়রা যোদ্ধা। তারা রাগী-অত্যাচারী-আবেগি-বিলাসী-হেঁয়ালি অভ্যাসে অভ্যস্ত এবং নেতিবাচক অর্থে অহঙ্কারী-স্বার্থপর-লোভী-প্রতিহিংসাপরায়ণ এবং অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কুকর্মে নিদারুণ পারদর্শী। এ জন্য হিন্দুধর্মের পুরাণে যে বিশ্বস্রষ্টার কথা বলা হয়েছে তিনি কোনো দিন ক্ষত্রিয়দের হাতে ব্রহ্মাস্ত্র দেননি। কারণ ক্ষত্রিয়রা এটি পেলে তামাম দুনিয়া ধ্বংস করে ফেলবে মুহূর্তের মধ্যে।

মহাভারতের বর্ণনা অনুযায়ী, কুরু যুগে ব্রহ্মাস্ত্রের আদি গুরু ছিলেন পরশুরাম। তিনি এই বিদ্যা তার শিষ্য দ্রোনাচার্যকে শিখিয়েছিলেন এবং মানবকুলের অস্ত্রবিদ্যার ভার দ্রোনাচার্যকে দিয়ে গভীর বনে চলে গিয়েছিলেন অধিকতর তপস্যার জন্য। পরশুরাম যখন অরণ্যে তখন তার শিষ্য দ্রোনাচার্য হস্তিনাপুর রাজ্যের রাজকুমারদের অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা দিচ্ছেলেন। রাজা বিচিত্র বীর্যের বংশধর পাণ্ডু ও কৌরবের সন্তানরা পরবর্তীতে যে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন সেটি ইতিহাসের বিখ্যাত মহাভারতের যুদ্ধ। পাণ্ডব বংশের পাঁচ রাজকুমার এবং কৌরব বংশের ১০০ রাজকুমারসহ কর্ণ নামক একজন মহাবীরকে দ্রোনাচার্য অস্ত্রবিদ্যা শিক্ষা দিয়েছিলেন। পরে পাণ্ডব ও কৌরবদের যুদ্ধ যখন অনিবার্য হয়ে পড়ল তখন কর্ণ তার অস্ত্রগুরু দ্রোনাচার্যের কাছে গিয়ে ব্রহ্মাস্ত্র লাভের অভিপ্রায় জানালেন।

কর্ণের প্রস্তাবে দ্রোনাচার্য যারপরনাই বিরক্ত হলেন এবং বললেন, তুমি ক্ষত্রিয় বংশজাত। ব্রহ্মাস্ত্র ধারণের মতো জ্ঞান প্রজ্ঞা আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং বিবেচনাশক্তি তোমার নেই। এটি কেবল ব্রাহ্মণরাই ধারণ করতে পারে। দ্বিতীয়ত, তুমি এই অস্ত্রশস্ত্র লাভ করলে অন্যায়ভাবে অর্জুনকে মেরে ফেলবে। দ্রোনাচার্যের কথা শুনে কর্ণের ভীষণ রাগ হলো। তিনি হস্তিনাপুর ত্যাগ করে ব্রহ্মাস্ত্রের আদি গুরু পরশুরামের খোঁজে জঙ্গলে চলে গেলেন এবং বহু চেষ্টায় পরশুরামকে খুঁজে পেয়ে তার শিষ্যত্ববরণের নিবেদন করলেন। কর্ণের ব্যবহারে সন্তুষ্ট হয়ে পরশুরাম তাকে অস্ত্রবিদ্যা শেখালেন এবং যেহেতু কর্ণ নিজের বংশপরিচয় গোপন রেখে নিজেকে ব্রাহ্মণ বলে পরিচয় দিয়েছিলেন সেহেতু পরশুরাম কর্ণকে ব্রহ্মাস্ত্রের বিদ্যাও শেখালেন।


বিদ্যা লাভের পর কর্ণ যখন হস্তিনাপুরে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন তখন হঠাৎ একটি দৈব দুর্ঘটনায় সব কিছু ওলটপালট হয়ে যায়। ঘটনার দিন পরশুরামের সাথে কর্ণ গভীর অরণ্যে পরিভ্রমণ করছিলেন। দীর্ঘ ভ্রমণে পরশুরাম পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েন এবং শিষ্য কর্ণের ঊরুতে মাথা রেখে গভীর ঘুমে নিমগ্ন হয়ে পড়েন। এমন সময় বিষাক্ত একটি সাপ কর্ণকে দংশন করে। সর্পবিষে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তিনি নড়াচড়া করলেন না। কিন্তু তার শরীর নীল হয়ে গেল এবং তিনি বেদনায় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়লেন। তার চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরতে লাগল এবং সেই অশ্রু পরশুরামের মুখের ওপর পড়ল। পরশুরাম নিদ্রাভঙ্গের জন্য মহা বিরক্ত হলেন এবং কর্ণের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করলেন।

কর্ণ যখন বললেন যে, সর্প দংশিত হওয়ার পরও তিনি ধৈর্য ধারণ করেছেন এবং সব যাতনা নীরবে সহ্য করেছেন কেবল পরশুরামের ঘুম নির্বিঘ্ন করার জন্য। অস্ত্রগুরু পরশুরামের সেবায় ও সন্তুষ্টির জন্য কর্ণ যা করেছিলেন তা শোনার পর যেকোনো মানুষের অন্তর বিগলিত হওয়ার কথা। কিন্তু পরশুরাম উল্টো তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন। তিনি রক্তচক্ষু বিস্ফোরিত করে কর্ণকে প্রশ্ন করলেন, সত্যি করে বলো তুমি কে! কী তোমার পরিচয়। আমি নিশ্চিত তুমি ব্রাহ্মণ নও- তুমি ক্ষত্রিয়। কারণ সর্পবিষে ভারাক্রান্ত হয়ে ধৈর্য ধারণ ব্রাহ্মণের শরীরের পক্ষে অসম্ভব। কেবল ক্ষত্রিয় রক্ত-মাংসের শরীরের পক্ষেই সুতীব্র বেদনা সহ্য করে স্থির থাকা সম্ভব!

পরশুরামের কথার উত্তরে কর্ণ সব কিছু খুলে বলতে বাধ্য হন। তখন পরশুরাম তাকে তাড়িয়ে দেন এবং বিদায় বেলায় অভিশাপ দেন, ব্রহ্মাস্ত্রের বিদ্যা কর্ণের কোনো কাজে আসবে না। যুদ্ধ ক্ষেত্রে কর্ণ ব্রহ্মাস্ত্র যুদ্ধ, কৌশল ভুলে যাবে। এই কাহিনীর সাথে পরবর্তীকালে মহাভারতের যুদ্ধ, পাণ্ডবদের বিজয় এবং কৌরবদের পরাজয়ের মাধ্যমে কর্ণের যে করুণ পরিণতি হয়েছিল তা বিশ্লেষণ করলে আধুনিককালের যুদ্ধবিশারদরা পর্যন্ত অবাক হয়ে যান।

আমরা আজকের আলোচনার একদম শেষপ্রান্তে চলে এসেছি। এবার ব্রহ্মাস্ত্র সংক্রান্ত মহাভারতের কাহিনীর চৌম্বক অংশ ও বর্তমান জমানায় সেই কাহিনীর প্রাসঙ্গিকতা বলে নিবন্ধের ইতি টানব। আমরা সবাই জানি, রাজা বিচিত্র বীর্যের দুই পুত্র পাণ্ডু এবং ধৃতরাষ্ট্র। পাণ্ডুর পাঁচ পুত্র ও ধৃতরাষ্ট্রের ১০০ পুত্র। পাণ্ডুর পুত্রদের মধ্যে অর্জুন, যুধিষ্ঠির ও ভিম ইতিহাসবিখ্যাত। অন্য দিকে, ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রদের মধ্যে দুঃশ্বাসন, দুর্যোধন সমধিক পরিচিত। পঞ্চপাণ্ডবের মা কুন্তীর গর্ভে জন্ম নিয়ে মহাবীর কর্ণ নিয়তির নির্মম পরিহাসে কৌরবদের সাথে লালিত পালিত হতে থাকে। রাজ্য সিংহাসন, ক্ষমতা, যুদ্ধ, নীতি-নৈতিকতা, কূটনীতি, সফলতা-ব্যর্থতা ইত্যাদির সমন্বয়ে মহাভারতে যেভাবে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে তা মহাকালের রাজনীতির ইতিহাসের এক অনন্য দলিল। আজকের দিনের ভোট ডাকাতি জালজালিয়াতি ও রাতের ভোট- কথায় কথায় সংবিধানের দোহাইয়ের আদি ইতিহাসও আপনি মহাভারতে পেয়ে যাবেন। কৌবরদের প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল শকুনি যিনি সম্পর্কে কৌরব রাজপুত্রদের মামা ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শকুনি জানতেন, তার ভাগিনাদের যুদ্ধ করার বীরত্ব নেই। জনপ্রিয়তা ও জনসমর্থন পাণ্ডবদের তুলনায় অতি নগণ্য। তাই তিনি কৌশলে জাল-জালিয়াতি, জুয়ার মাধ্যমে পাণ্ডব ও কৌরবদের মধ্যে অভিনব জয়-পরাজয়ের এক পরিকল্পনা তৈরি করলেন।

শকুনি প্রধানমন্ত্রী যখন কৌরবদের পরামর্শ দিলেন যে, পাণ্ডবদের সাথে জুয়া খেলায় তাদের বিজয় নিশ্চিত তখন উৎসুক ভাগিনারা জিজ্ঞেস করলেন সেটি কিভাবে সম্ভব। শকুনি উত্তর দিলেন, পাণ্ডবরা বীর। তাদের বাহাদুরি যুদ্ধের ময়দানে যোদ্ধা কখনো জুয়া খেলতে পারে না এবং তাদের মস্তিষ্কে জুয়ার কৌশল ঢোকে না। অন্য দিকে, যুদ্ধকে যারা ভয় পায় তারা সর্বদা জুয়ায় সফলতা লাভ করে। যেহেতু তোমরা যুদ্ধে পাণ্ডবদের মতো পারদর্শী নও সুতরাং একমাত্র জুয়ার কোর্টই তোমাদের ভরসা।

শকুনির পরামর্শে যে ঐতিহাসিক জুয়ার আসর বসেছিল এবং যেভাবে জুয়ার আসরে পাণ্ডবরা পরাজিত হয়ে সর্বস্ব খুইয়েছিলেন সেই ইতিহাস মহাকালে দেশ-বিদেশে যে কতবার ঘটেছে তার ইয়ত্তা নেই। অন্য দিকে জুয়া খেলায় বিজয়ী হয়ে কৌরবরা শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি ভোগ করেছিল এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কিভাবে নির্বংশ হয়েছিল তা বিস্তারিত বলতে গেলে বর্তমান জমানা নিয়ে আরো একখানা মহাভারত রচিত হয়ে যাবে।

লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য


আরো সংবাদ



premium cement