৫ ডিসেম্বর ২০১৯, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সর্বোচ্চ আদালত আইনজীবীদের মুহুর্মুহু আর্তস্বরে মুখরিত হয়েছিল, সে আর্তনাদের ভাষা ছিল একটি : ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস।’ অনুরূপ আর্তি নিয়ে স্কুলের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা রাজপথ দখল করে যানবাহন চলাচলে কিছুটা সময়ের জন্য হলেও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছিল, সে দিনের বুকভরা আশা নিয়ে আর্তিটি ছিল : ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ অর্থাৎ ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’।
রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃত্যুতে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মিছিলে অশ্রুভরা নয়নে দাবিটিও ছিল : ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। বিচার দুই প্রকারের হতে পারে। একটি লোক দেখানো বিচারের নামে ‘প্রহসন’; অন্যটি ‘বিবেক’সম্মত বিচার। সাধারণত যেখানে প্রহসন সেখানেই ন্যায়বিচারের দাবি। অন্য দিকে সংক্ষুব্ধ হলেও বিচারিক সিদ্ধান্ত ও পদ্ধতির বিষয় নিয়ে কথা ওঠে। রাজপথে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয় বলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মুখ থেকে রাজপথেই আওয়াজ উঠেছিল ‘উই ওয়ান্ট জাষ্টিস’। দেশের সর্বোচ্চ আদালত, যেখানে ন্যায়বিচার পাওয়াই সবার শুধু প্রত্যাশা নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য ও মৌলিক অধিকার, সেখানে কেন তিন ঘণ্টাব্যাপী অনবরত বিচার অর্থাৎ ন্যায়বিচারের দাবিতে এজলাসটি আর্তনাদে মুখরিত ছিল? ন্যায়বিচারের আড়ালে আবডালে কোনো প্রহসন বা স্বচ্ছ প্রতিবন্ধকতার সন্দেহ দৃশ্যমান বা লুকানো ছিল বলেই কি হতাশা থেকে সমবেত স্বরে এ আর্তস্বরের ধ্বনি? সার্বিক মাপকাঠিতে বিষয়টি পর্যালোচনার দাবি রাখে, ভবিষ্যতে আদালতে অনুরূপ ঘটনার পরিহারের স্বার্থে।
বিষয়টি বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে দেখছেন। প্রধান বিচারপতি ঘটনায় হতবাক হয়ে বলেছেন ‘বাড়াবাড়ির সীমা থাকা দরকার’। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেছেন, ‘এ ঘটনা ন্যক্কারজনক, বিএনপি আইনজীবীরা ফ্যাসিবাদী আচরণ করেছেন।’ সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচিত সভাপতি (সরকারপন্থী) বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা জীবনে দেখিনি।’ বিভিন্ন টকশোতে আলোচনা হয়েছে যে, ‘অনুরূপ ঘটনা আগেও ঘটেছে।’ বিএনপি আইজীবীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সরকারের চাপে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেয়া হয়নি। অ্যাটর্নি জেনারেলের এক পেশে বক্তব্যের কারণে ঘটনার উদ্ভব।’ আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ খোন্দকার মাহবুব হোসেন (বিএনপি) বলেছেন, ‘সব দায় অ্যাটর্নি জেনারেলের।’ তবে আইনাঙ্গনের অভিভাবক হিসেবে আপিল বিভাগ বিষয়টি ধৈর্যের সাথে সামলে নিয়েছেন, যা দৃষ্টান্তমূলক।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয়, গত ২৮ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানতে চেয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট তলব করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এ প্রতিবেদন আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয় এবং একই তারিখে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য নির্ধারণ করে। গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা শুনানিতে বলেছিলেন, ‘খালেদা জিয়া বয়স্ক একজন নারী, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন, তিনি স্বাভাবিকভাবে চলা ফেরা করতে পারছেন না, মানবিক কারণে আমরা তার জামিন চাই।’ উল্লেখ্য, ৭ বছর সাজার মধ্যে জেলকোড অনুযায়ী ইতোমধ্যে তিনি প্রায় দুই বছর ধরে জেল খাটছেন (উল্লেখ ১/১১ সরকারের সময় তিনি ৯ মাস কারাগারে ছিলেন)। বিচার চলাকালে তিনি জামিনে থেকে রায় ঘোষণার দিনও বিচারিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচার চলাকালে জামিনে থাকাও আপিলে জামিন পাওয়ার একটি গ্রাউন্ড হিসাবে বিবেচিত হওয়ার অনেক নজির দেশ বিদেশের উচ্চ আদালতের রয়েছে।
জামিন শুনানির পূর্বদিন অর্থাৎ ৪ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে সন্ত্রাসবাদের গডফাদার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষদের হত্যা করার চেয়ে বড় কোনো সন্ত্রাস নেই। খালেদা জিয়ার নির্দেশে পরিচালিত আগুন সন্ত্রাসে পুলিশ সদস্যসহ প্রায় ৫০০ লোক নিহত এবং তিন হাজারের বেশি আহত হয়েছে। কারাগারে খালেদা জিয়াকে গৃহপরিচারিকা দিয়ে আমরা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। বিশ্বে এ ধরনের আর কোনো দৃষ্টান্ত নেই।’ বিএনপি চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্য প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রে তার হাঁটুতে সার্জারি করা হয়। পরে সৌদি আরবেও তার একই চিকিৎসা করা হয়। কারাগারে খালেদা জিয়া রাজার হালেই আছেন।’
আদালত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, আপিল বিভাগের পরে আশ্রয় লাভের জন্য কোথাও যাওয়ার আর কোনো স্থান বা অবস্থান নেই, এ কথা আইনজীবীদের জানা এবং এটাই মানুষের বিশ্বাস।
যুগ যুগ ধরে ‘দেশ বৈরী তো দেশান্তরী, হাকিম বৈরী তো প্রাণে মরি’ প্রবাদটি চলে আসছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় আদালত একদিকে যেমন অত্যন্ত আস্থার প্রতীক, অন্য দিকে, বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং সম্মানজনক। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মাথা ঝুঁকিয়ে কথা বলার নিয়ম নেই, যা রয়েছে বিচারপতিদের সামনে আদালতের এজলাসে। বিচারব্যবস্থার সূচনালগ্নের ইতিহাস থেকে জানা যায়, বিচার করার অধিকার ছিল একমাত্র সার্বভৌম রাজার। পরে কালক্রমে রাজার দায়িত্ব পালনের পরিধি বিপুল পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় রাজারা বিচারের দায়িত্ব ধীরে ধীরে তার নিয়োজিত একদল অভিজ্ঞ বিশ্বস্ত ব্যক্তির হাতে অর্পণ করেন। বিচারপতিরা রাজার প্রতিভূ বা প্রতিনিধি হিসেবে বিচারকাজ পরিচালনা করতেন। কিন্তু ন্যায়বিচারের তাগিদে আধুনিক বিচারব্যবস্থা ধীরে ধীরে নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যতা লাভ করে এবং যেখানে সার্বভৌম রাজতন্ত্র নেই, সেখানে সরকার বা রাষ্ট্রপতিও ক্ষমতাসীন থেকেও বিচারের আওতাভুক্ত হতে হচ্ছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সীমানায় ক্ষমতাসীন ব্যক্তির যে কোনো সিদ্ধান্তের ওপর হস্তক্ষেপ করার অধিকার বিচার বিভাগের ওপর অর্পিত হয়েছে, যদিও ক্ষেত্র বিশেষে এর ভিন্নতা দেখা যায়। কোনো কোনো রাষ্ট্রে এর ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়, বিচার বিভাগের সরকারের তাঁবেদারী করার দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কিছু কিছু রাষ্ট্রে থাকলেও প্রকৃত বাস্তবসম্মত গণতন্ত্র কার্যকর রয়েছে এমন রাষ্ট্রে সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানও বিচার বিভাগের কাছে জবাবদিহির আওতায় রয়েছে যেমন- আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারত। সেনাশাসকদের প্রভাব রয়েছে এমন রাষ্ট্রেও বিচার বিভাগ আস্থা ও স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছে; যেমন- পাকিস্তান।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮(৩) মোতাবেক রাষ্ট্রের সব সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে নিতে হয়। ওই অনুচ্ছেদ যা বলা হয়েছে তা নিম্নরূপ : ‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন : তবে শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোনো পরামর্শদান করিয়াছেন কি না এবং করিয়া থাকিলে কি পরামর্শ দান করিয়াছেন, কোনো আদালত সেই সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের তদন্ত করিতে পারিবেন না।’
আর্তনাদটি ছিল আইনজীবীদের হতাশার একটি বহিঃপ্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী ০৪ ডিসেম্বরের বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত মন্তব্য থেকেই হতাশার উৎপত্তি। যে বিষয়টি ০৫ ডিসেম্বর সর্বোচ্চ আদালতের বিচারাধীন ছিল, সে বিচারাধীন বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর আগাম মন্তব্য কি যুক্তিসঙ্গত ছিল? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) কি তার মূল প্রতিপক্ষ সম্পর্কে বিচারাধীন বিষয়ে আগাম মন্তব্য করতে পারেন? নৈতিকতার মাপকাঠিতে প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং আইন আদালতকে প্রভাবান্বিত করতে কি যথেষ্ট নয়? প্রধানমন্ত্রীর ওই উক্তি থেকে জামিনপ্রার্থী আইনজীবীদের মনে হতাশা সৃষ্টি হওয়া কি অযৌক্তিক? অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ডিঙ্গিয়ে সরকারি ডাক্তাররা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কি সঠিক তথ্য প্রদান করতে পারবে? প্রেক্ষাপট কী বলে? আমাদের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা ব্রিটিশের ঔপনিবেশিক ভাবধারায় লালিত। এ দেশের প্রশাসন ‘আদর্শে’ চলে না, বরং চলে ‘আদেশে’। ‘রোবটের’ মতোই আমলাদের আচরণ। একই বিষয়ে সরকারি দল বা ক্ষমতাসীনদের প্রতি আমলাদের একরকম আচরণ, সে অনুরূপ বিষয়েই বিরোধী দলের প্রতি আচরণ একেবারেই ভিন্নরূপ। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র একটি বিবেকহীন ‘রোবট’ মাত্র। চাকরিতে প্রমোশন বা সুবিধাজনক লোভনীয় পদে পোস্টিং এ আঘাত হানতে পারে এমন কোনো ঝুঁকি আমলারা নেয় না। আমলারা ক্ষমতাসীনদের সেবাদাসে পরিণত হতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ফলে ন্যায্য অধিকারপ্রাপ্তিতে আপামর জনগণের ভাগ্যে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। ‘রোবট’ মার্কা আমলাতন্ত্র জাতির জন্য একটি বিষফোঁড়া হিসেবে জনগণের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। কষ্টার্জিত অর্থে এ মাথাভারী প্রশাসনকে জনগণকে পুষতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবার প্রতি সুবিচারের দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে প্রধান বিচারপতি এএসএম আকরামের নেতৃত্বে ১৭ নভেম্বর ১৯৪৭ ছয়জন বিচারপতি সমন্বয়ে ঢাকা হাইকোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা হাইকোর্ট তথা পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্ট পরবর্তীতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অনেক জটিল জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যা সরকার সমাধান দিতে পারে নাই সেসব বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়নপূর্বক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দেয়ার গৌরব অর্জন করেছে, কিন্তু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে সাধারণত মুখামুখি অবস্থান নিতে পারেনি, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া। যেমন- তাৎকালীন পূর্বপাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিএ সিদ্দিকী জেনারেল টিক্কা খানের শপথগ্রহণ অস্বীকার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, বিচার বিভাগের অনেক গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা থাকলেও বিচারপতি বিএ সিদ্দিকীর মতো দৃষ্টান্ত কোথায়?
বিচার ও আইন পাশাপাশি রাখলে বিচার বা বিচারকের জবাবদিহি ও দায়িত্ব অনেক বেশি। কারণ আইন প্রণীত হয় শাসক শ্রেণী দিয়ে, যারা নিজেদের শাসন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার বিষয়টি মাথায় রেখেই আইন প্রণয়ন, সংশোধন ও প্রয়োগ করে। নিজেদের তৈরি আইন ক্ষেত্রবিশেষে শাসকরা কোথাও প্রয়োগ করেন, কোথাও করেন না। কিন্তু বিচার বা বিচারককে তাড়িত হতে হয় সৃষ্টিকর্তা দেয়া ‘বিবেক’ দিয়ে। শাসক সৃষ্ট ‘আইনের’ চেয়ে ‘বিবেকের’ পরিধি অনেক বড়, স্বচ্ছ ও কল্যাণকর। কিন্তু বিবেকের স্বাধীনতা যেখানে প্রতিবন্ধকতায় আবদ্ধ হয়, সেখানেই সৃষ্টি হয় বিপত্তি, আপত্তি ও বিশৃঙ্খলা। এ জন্যই গণমানুষের বদ্ধমূল ধারণা ‘বিবেকই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ আদালত।’
আইনজীবী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শুনানিতে উপস্থিত থাকার জন্য সচেষ্ট থাকি। সে কারণেই ২৮ নভেম্বর ২০১৯ ও ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ অ্যাপিলেট ডিভিশনে শুনানির সময় উপস্থিত ছিলাম বিধায় প্রতিটি মুহূর্ত পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ আমার হয়েছে, বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে হতে পারে অবচেতন মনে আমার পর্যালোচনা ভুল বা একপেশে, তথাপি বিষয়টি পর্যালোচনা করা হলো একজন পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিভঙ্গিতে, আদালতের ভাবমর্যাদা সমুন্নত রাখার উদ্দেশ্যে। একটি স্পর্শকাতর বিষয়কে উপলব্ধি করায় আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও পর্যবেক্ষণটি যাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত না হয়, এ জন্য সচেতন থাকারও চেষ্টা করেছি। তবে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে যেকোনো সম্মানিত পাঠকের আলোচনা, সমালোচনা বা তিরস্কার সাদরে আমন্ত্রিত এবং কৃতজ্ঞতার পাশে আমাকে আবদ্ধ করবে।
লেখক : কলামিস্ট ও আইনজীবী (আপিল বিভাগ)
E-mail: taimuralamkhandaker@gmail.com
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা