০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আইসিসির এলিট প্যানেলে সৈকত

-

প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। ২০১০ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে অভিষেক সৈকতের। পুরুষদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশী আম্পায়ার হিসেবে ইতোমধ্যে এক শ’র বেশি ম্যাচ পরিচালনার কীর্তি গড়েছেন। তার ঝুলিতে আছে ২০১৭ ও ২০২১ আইসিসি নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ও ২০১৮ নারী টি-২০ বিশ্বকাপে দায়িত্ব পালনের কীর্তি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার টেস্ট সিরিজে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সৈকত।
ক’দিন আগেই অবসরে গেছেন আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস। তার অবসরের পর জায়গাটি ফাঁকাই পড়েছিল। এবার সেই জায়গাতে সুযোগ পেলেন সৈকত। এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা আছে আইসিসির নির্বাচক প্যানেলের ওয়াসিম খান, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, টনি হিল ও মাইক রাইলির। তাদের পরামর্শেই আইসিসি এলিট প্যানেলের দরজা খুলেছে সৈকতের।
এলিট প্যানেলে যোগ দিতে পেরে দারুণ আনন্দিত সৈকত, ‘আইসিসি এলিট প্যানেলে নাম লেখানো খুবই সম্মানের। প্যানেলে আমার দেশ থেকে প্রথম যোগ দেয়া বিষয়টিকে আরো বিশেষ করে তুলেছে এবং আমি আমার প্রতি প্রদর্শিত বিশ্বাসকে সঠিক প্রমাণ করতে উন্মুখ। অনেক বছর ধরেই মোটামুটি অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আরো চ্যালেঞ্জিং অ্যাসাইনমেন্টের জন্য প্রস্তুত।’
তার আগে বাংলাদেশের কেবল একজন আম্পায়ার দেশের বাইরে টেস্টে আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড-জিম্বাবুয়ে টেস্ট পরিচালনা করেছিলেন এনামুল হক মনি।
এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে ও ৪৫ টি-২০ পরিচালনা করেছেন শরফুদ্দৌলা। বলার অপেক্ষা রাখে না, সব সংস্করণেই তা বাংলাদেশের আম্পায়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে ১১৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন।
এমিরেটস আইসিসি এলিট প্যানেল অব আম্পায়ার : কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া) এবং জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)।


আরো সংবাদ



premium cement