২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইনজুরি টাইমের গোলে বাংলাদেশের হার

ফিলিস্তিনি কয়েকজন ফুটবলারকে কাটিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গোল মুখে বল পাঠাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ স্ট্রাইকার ফয়সাল আহমেদ ফাহিম : বাফুফে -

বাংলাদেশ ০-১ ফিলিস্তিন

তাহলে কি আরেকবার কিংস এরিনায় অপরাাজিত থাকবে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৯৩ মিনিট পর্যন্ত স্কোর যখন গোলশূন্য তখন এই প্রতীক্ষাতেই ছিল বাংলাদেশী দর্শকরা। কিন্তু ইনজুরি টাইমে গোল হজমের পুরনো অভ্যাস থেকে বের হতে পারেনি লাল-সবুজরা। ফলে তুমুল লড়েও ৯৪ মিনিটের গোলে ফিলিস্তিনের কাছে হারতে হলো বাংলাদেশকে। ১-০ গোলে কিংস এরিনার জয় করে জামালদের বিপক্ষে দুই পর্বেই পূর্ণ পয়েন্ট পেল ফিলিস্তিন।
এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ২১ মার্চের ম্যাচে হাভিয়ার কাবরেরা বাহিনীকে ৫ গোলে হারিয়েছিল ইসরাইলি আগ্রাসনে বিপর্যস্ত দলটি। কাল তারা ম্যাচ জিতেছে ১০ জনে পরিণত হওয়ার পরও। এতে চার ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘আই’ গ্রুপের তলানিতেই বাংলাদেশ। এই ম্যাচে আগের খেলার একাদশের ছোট সোহেল রানা এবং ঈসাকে বাইরে রাখা হয়।
আগের ম্যাচে বাজে হারের পর ফিরতি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর ঘটনা বাংলাদেশের ফুটবলে দুইবার আছে এই শতাব্দীতে। তা ২০০৭ সালের অলিম্পিক বাছাই ফুটবলে এবং ২০১১ বিশ্বকাপ বাছাই প্লে-অফে। গতকাল সেই স্মৃতি ফিরে আসতো বাংলাদেশ দলের বর্তমান হোম ভেন্যু কিংস এরিনায়। যদি ফয়সাল আহমেদ ফাহিম ৪৪ মিনিটে ফিলিস্তিনের গোলরক্ষক রামি হামাদাকে একা পেয়েও গোল করতে পারতেন। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার থ্রু পাস থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ফাহিম। কিন্তু তার মাটি কামড়ানো শট আগুয়ান গোলরক্ষকের পায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ফাহিম ঠিক এই স্টাইলেই গত সাফে গোল মিস করেছিলেন লেবাননের বিপক্ষে।
ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ৯৭-এ থাকা ফিলিস্তিনের কাছে আগের ম্যাচে বিধ্বস্ত ১৮৩ তে অবস্থান করা বাংলাদেশ। তাই শঙ্কা ছিল ঢাকাতেও না বাজে হার হয়। শুরু থেকে ফিলিস্তিন স্বাগতিকদের ওপর চড়াও হয়ে খেললেও গোল আদায় করতে পারেনি গোলরক্ষক মিতুল মারমার প্রতিরোধে। ১১, ১৮, ৩৪ ও ৩৯ মিনিটে তার দৃঢ়তায় গোলের দেখা পাননি প্রতিপক্ষের রশীদ, মুসা গত ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা ওদে দাবাগ ও শিহাব কুবরাব। এর মধ্যে ২২ মিনিটে গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল কাবরেরা বাহিনী। ফাঁকায় থাকা রাকিবকে ঠিক মতো ক্রস দিতে পারেননি ফাহিম। ক্রস কেটে যায় অনেক দূর দিয়ে। এরপর ৪৪ মিনিটে ফাহিমের সেই মিস।
বিরতির পর ৪৮ মিনিটে গোলরক্ষক মিতুল মারমার মারাত্মক ভুলে গোল হজমের উপক্রম হয়েছিল। মিতুল বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বলা জমা দেন ওদে দাবাগের পায়ে। দাবাগ অবশ্য এরপরও গোল করতে পারেননি। তার ফাঁকা পোস্টের শট যায় বাইরে। ৫১ মিনিটে রাকিব এবং ফাহিমের ব্যর্থতায় গোল বঞ্চিত হওয়া। দ্বিতীয়ার্ধে লাল-সবুজরা অপেক্ষাকৃত ভালো খেলতে থাকে। যদিও ৫৮, ৬৫ ও ৭৪ মিনিটে সফরকারীরা গোলের কাছে যেতে পারেনি মিতুলের দক্ষতায়। ৮৪ মিনিটে আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন মিতুল। মাঠে নেমে ফের বল হাত ফসকে যাওয়া শ্রাবণের।
এরপর ৮ মিনিট ইনজুরি টাইমের ৯১ মিনিটে ঈসা ফয়সালের থ্রু পাসে বিপক্ষ কিপারকে একা পেয়ে যান রাকিব। তবে ফিলিস্তিনি কিপার সময় মতো পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে আটকান এই ফরোয়ার্ডের শট। দুইজনের সংঘর্ষে রাকিব আহত হলে তাকে টেনে মাঠ থেকে বের করেন আয়েদ মাহাজনে। ফলে তাকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে বহিষ্কার করেন তাজিকিস্তানের রেফারি নাসরুল্লাহ কবিরভ। এর পরেই সর্বনাশ। ৯৪ মিনিটে অধিনায়ক মুসা বাত্তাতের ক্রসে বক্সে হেড করেন বদলি ইসলাম বাতরান। এতে ফাটল ধরে বাংলাদেশ ডিফেন্স লাইনে। এই সুযোগে ফাঁকায় বল পেয়ে ডান পায়ের প্লেসিং শটে গোলরক্ষক শ্রাবণকে পরাস্ত করেন মিচেল তেরমানিনি।
বাংলাদেশ জুনে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ৬ জুন ঢাকায় অস্ট্রেলিয়া এবং ১১ জুন লেবাননের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে।
বাংলাদেশ দল : মিতুল (শ্রাবন ৮৪ মি.), শাকিল তপু, বিশ্বনাথ, সাদ উদ্দিন, হৃদয়, জামাল (সোহেল রানা ৭০ মি.), রাকিব, ফাহিম (রফিকুল ৬৮ মি.) সোহেল রানা, জনি ( ঈসা ৮৯ মি.)


আরো সংবাদ



premium cement