২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জয় চাপিয়ে মেসিকে তুলে নেয়ায় বিতর্ক

-

বদলি নামা মাউরো ইকার্দির গোলে কষ্টার্জিত জয় পায় প্যারিস সেন্ট জার্মেই। তাতে মুখ রক্ষা হয় কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোরও। এমন জয়ের পরও লিওনেল মেসিকে খেলার মাঝপথে উঠিয়ে নেয়ায় সমালোচনার হাত থেকে রেহায় মেলেনি পিএসজি কোচের। গত রোববার পার্ক দেস প্রিন্সেসে লিওঁর বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়ের চেয়েও আলোচনা সরগরম মেসিকে উঠিয়ে নেয়ায়। মেসিকে যখন তুলে নেয়া হয়, ম্যাচে তখন ১-১ সমতা। ৭৫ মিনিটে মেসির জায়গায় ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমিকে নামান পচেত্তিনো। মাঠে অবশ্য বাঁ হাঁটু নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি দেখা যাচ্ছিল মেসির। তবে আঙুলের ইশারায় তিনি জানিয়ে দেন যে চালিয়ে যেতে চান। তার পরও কোচ যখন উঠিয়ে নেন, মেসিকে অবাক ও খানিকটা হতভম্ব দেখা যায়।
ম্যাচের পর কোচের সংবাদ সম্মেলনে অনুমিতভাবেই উঠল মেসিকে উঠিয়ে নেয়ার প্রসঙ্গ। পচেত্তিনো ব্যাখ্যা করলেন, ‘আমার মনে হয়, কেবল ১১ জনই একসাথে খেলতে পারে। এর বেশি খেলানো সম্ভব নয়। মাঠের সিদ্ধান্তগুলো নেয়া হয় দল ও প্রতিটি খেলোয়াড়ের ভালোর জন্যই।’ আর্জেন্টাইন কোচ আরো বলেন, ‘সব কোচের ভাবনায় এটিই থাকে। কখনো এসব কাজে লাগে, কখনো লাগে না। কখনো ফুটবলাররা এসব পছন্দ করে, কখনো করে না। দিনশেষে, আমরা তো এ কারণেই এখানে আছি!’
মাঠ ছাড়ার সময় কোচের সাথে মেসিকে কথা বলতেও দেখা যায়। হয়তো উঠিয়ে নেয়ার প্রসঙ্গেই ছিল সেই কথোপকথন। মেসির শরীরী ভাষায় ছিল অসন্তুষ্টি। তবে পচেত্তিনো ম্যাচ শেষে দাবি করলেন, মেসির কোনো সমস্যা নেই। তিনি বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে কেমন বোধ করছে। সে বলল যে ঠিকঠাক আছে। এই তো, এটাই ছিল আমাদের কথোপকথন।’
বর্তমান সময়ের সেরা আক্রমণভাগ মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী নিয়ে দারুণ খেলছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই। পাচ্ছিল না শুধু গোলের দেখা। লিওনেল মেসির শট কখনো গোলবার, কখনো গোলকিপার ছুঁয়ে, কখনো পোস্টের বাইরে দিয়ে বল চলে যাচ্ছে। সুবিধা করতে পারছিলেন না নেইমরা-এমবাপ্পেও।
৫৪ মিনিটে লুকাস পাকুইতার গোলে এগিয়ে যায় লিওঁ। ৬৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান নেইমার। ম্যাচ যখন প্রায় ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছিল, যোগ করা সময়ে সেই মুহূর্তেই ডি মারিয়ার বদলি নামা আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার ইকার্দি নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেন। ৯৩ মিনিটে এমবাপ্পের ক্রসে তার হেডে গোল।


আরো সংবাদ



premium cement