২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

প্রিমিয়ার হকি আদৌ হবে কি

-

জানুয়ারির শেষের দিকে জুনিয়র এশিয়া কাপ হকি হওয়ার কথা ছিল ঘরের মাঠেই। সেটি পিছিয়ে গেছে আগামী জুনে। তবে মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নির্ধারিত সময়েই হবে বলে আশা করছেন হকির কর্তারা। বাহফে সভাপতি এয়ার চিফ মার্শাল মশিহুজ্জামান সেরনিয়াবত আগেই ঘোষণা দিয়েছেন নভেম্বরে দলবদলের পর ডিসেম্বরে লিগ হবে। উনার চাওয়ার সাথে বড় কয়েকটি ক্লাব হ্যাঁ সূচক জবাব দিলেও প্রেক্ষাপট ভিন্ন। আদতে করোনা সময়ে আর্থিক ক্ষতিতেই আছে প্রিমিয়ারের ক্লাবগুলো। ন্যূনতম ৪০-৫০ লাখ টাকা খরচ করে দলগঠন সাধ্যের বাইরেই বলে মনে করেন অনেক ক্লাব কর্মকর্তা। তাতেই সন্দেহ প্রিমিয়ার লিগ আদৌ হবে কি?
নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। হাতে সময় আছে ৪ মাস। ক্লাবগুলোর সদিচ্ছা থাকলে মাঠে গড়াতে পারে লিগ। দল-বদলের সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবে রূপ নেবে কিনা এ নিয়ে সংশয় রয়েছে। হকি ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সভায় মোহামেডান মেরিনার্সের কর্মকর্তাদের সাজা মাফ হলেও আবাহনী মোহামেডানের কর্মকর্তারা সমর্থন না দেয়ায় ঝুলে ছিল ঊষা ক্রীড়া চক্র। সে ঊষাকে নিয়ে সভা আজ। ঊষাও চাচ্ছে তাদের শাস্তির প্রত্যাহার। আজ হয়তো তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারে কার্যকরি কমিটি। কিন্তু এটাই শেষ নয়।
বড় ক্লাবগুলোর সাথে ছোট সারির অনেক ক্লাব। তাদের অর্থসহায়তা না দিলে দলগঠন করতে পারবে না কিছুতেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি ক্লাবের কর্মকর্তারা এমনটিই জানিয়েছেন। বেশি ক্লাব না পেলে চার থেকে ছয়টি ক্লাব নিয়ে হতে পারে প্রিমিয়ার লিগ। এমনটাও শোনা যাচ্ছে। তাতে দুই বছর পর লিগ হলে জৌলুশ থাকবে কিনা তা সময়ই বলে দিবে।
সাধারণত প্রিমিয়ার হকিতে খেলে থাকে আবাহনী, মোহামেডান, ঊষা কেসি, মেরিনার ইয়াংস, ওয়ান্ডারার্স, ওয়ারী, সাধারণ বীমা, অ্যাজাক্স, আজাদ স্পোর্টিং, বাংলাদেশ স্পোর্টিং, ভিক্টোরিয়া ও সোনালী ব্যাংক। আবাহনীর স্পন্সরের অভাব নেই। মোহামেডানের রয়েছে কিছু স্পন্সর। মেরিনার্সের দোকান ভাড়া ছাড়া অন্য আয় নেই। ঊষা কিছুটা অবস্থাসম্পন্ন। সাধারণ বীমা, সোনালী ব্যাংক ও পুলিশ সরকারি প্রতিষ্ঠান। তারা যে কোনোভাবে দল গঠন করবেই। ভিক্টোরিয়া জর্জরিত ক্যাসিনো অধ্যায়ে। বাংলাদেশ স্পোর্টিং হাতেগোনো কয়েকজনের সাহায্যে চলে। ওয়ারী, অ্যাজাক্স, আজাদ স্পোর্টিংয়ের অবস্থা তথৈবচ।
অতীতের দিকে তাকালে দেখা যায় শফিউল্লাহ আল মুনীর যখন মোহামেডান ক্লাবের পদে ছিলেন তখন তিনি কয়েকটি ক্লাবকে দল গঠনে আর্থিক ও বিভিন্ন প্রয়োজনে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। এরপর মুমিনুল হক সাঈদ একই কাজ করেছেন। এবার তারা কেউ নেই। যে কারণে ধুঁকছে অনেক ক্লাব। বাহফে থেকে সাহায্য কিংবা ঋণের আশায় বসে আছেন অনেকে। এ দিকে বাহফে বলছে তাদের টাকা নেই। যে কারণে লিগ মাঠে গড়ানোর শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মিরসরাইয়ে অবৈধ সেগুনকাঠসহ কাভার্ডভ্যান জব্দ মানিকগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া মলিরানীর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড ইন্দোনেশিয়ার নারী ক্রিকেটার রোহমালিয়ার ‘এখন আমি কী নিয়ে বাঁচব’ যদি বন্ধু হও, সীমান্তে অহরহ গুলি কেন : ভারতকে ফারুক সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২

সকল