০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মাত্র এক কেজিতে এক স্বর্ণ মিস

-

আর মাত্র একবার ভারোত্তোলন করতে হবে সাখাওয়াত হোসেন প্রান্তকে। সেটিই উঠাতে পারলেন না ৮৯ কেজি ওজন শ্রেণীর এই লিফটার। ক্লিন অ্যান্ড জার্কের শেষ লিফট চলছিল। বাংলাদেশের ভারোত্তোলনের সবার চোখে-মুখে আনন্দের রেখা। বাংলাদেশের পতাকা প্রান্তকে দেয়ার জন্য কোচ, কর্মকর্তারা প্রস্তুত; কিন্তু না পারলেন না তিনি। মাত্র এক কেজি কম উঠানোয় হেরে গেলেন নেপালের বিকাশ থাপার কাছে। গলার পদকের রঙও বদলে গেল। সোনা থেকে হয়ে গেল রুপা।
১৪৯ কেজি উঠাতে পারলে গেমসে আরেকটি স্বর্ণের স্বাদ পেত বাংলাদেশ। শেষ লিফটে প্রান্ত প্রত্যাশতি ওজন তুলতে পারেননি। নেপালের বিকাশ থাপাও ১৫০ কেজি তুলতে ব্যর্থ হন। এতে বাংলাদেশের আফসোস আরো বেড়েছে। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময় ভারোত্তোলনের কোচ বিদ্যুৎ কুমার রায় বেশ আফসোস নিয়েই বলছিলেন, ‘মাত্র এক কেজির জন্য স্বর্ণ হাতছাড়া হলো। এখানে আমাদের জাতীয়সঙ্গীত বাজতে পারত।’
শেষ লিফটে দুইজনই ব্যর্থ হওয়ায় ক্লিন অ্যান্ড জার্কের দ্বিতীয় লিফটের স্কোরই শিরোপা নির্ধারণ হয়। ওই লিফটে প্রান্ত তুলেছিলেন ১৪৫ কেজি আর বিকাশ তুলেছিলেন ১৪৬। স্ন্যাচে দুইজনেই সমান ১২৩ কেজি নিয়ে শেষ করেছিলেন। স্নœ্যাচে নেপালের বিকাশ দ্বিতীয় লিফটে ১২০ কেজি তুলতে গিয়ে ব্যর্থ হলেও স্ন্যাচে তিনবারই সফল ছিলেন প্রান্ত। ক্লিন অ্যান্ড জার্ক ও স্ন্যাচ মিলিয়ে বিকাশ মোট ২৬৯ কেজি উঠান আর প্রান্ত তোলেন ২৬৮ কেজি। এক কেজি ব্যবধানে হেরে কী বলবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না এই ভারোত্তোলক, ‘আফসোস হচ্ছে অনেক। দেশকে স্বর্ণ দিতে পারলাম না। শেষ লিফট হলেই স্বর্ণ। এটা সত্যি, খানিকটা নার্ভাস ছিলাম। পাশাপাশি শেষ লিফটে পা একটু পিছলেও গিয়েছিল।’
প্রান্তর আগের ইভেন্টে আরেকটি রৌপ্য এসেছে বাংলাদেশের। রোকেয়া সুলাতানা সাথী। একজন মা। একজন ফাইটার। ২০১৬ সালে গৌহাটি ও শিলং সাউথ এশিয়ান গেমসে রৌপ্যপদক জিতেছিলেন। এরপর নিজেকে প্রস্তুত করেছেন ২০১৯ এসএ গেমসের জন্য। টার্গেট ছিল সোনায়; কিন্তু মহিলা ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে ১৫৫ (স্নœ্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্কসহ) কেজি তুলে রৌপ্য জেতেন রুকাইয়া সুলতানা সাথী। ১৯২ কেজি তুলে এই ইভেন্টের স্বর্ণ জেতেন ভারতের মানপ্রিত কৌর। ২০১৬ সালে গৌহাটি গেমসেও রৌপ্য জিতেছিলেন সাথী।


আরো সংবাদ



premium cement