০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সাইফুদ্দিন-সাকিব ছিলেন উজ্জ্বল

সাইফুদ্দিন আফগানিস্তানের বিপক্ষে চার উইকেট নেন : এএফপি -

 

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা অনেক দিন ধরেই ব্যর্থতার মধ্যে আবর্তিত হচ্ছেন। বোলাররও যে খুব ভালো করেছেন তা কিন্তু বলা যাবে না। দুর্বল বোলিং বিশ্বকাপে দেখা গেছে। মুস্তাফিজুর রহমান শেষের দিকে উইকেট পেয়েছেন। যা বাংলাদেশকে বেশ ভোগাচ্ছে। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশী বোলাররা ঝলক দেখিয়েছেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন চমৎকার নৈপুণ্য দেখিয়ে চারটি উইকেট নিয়েছেন ৩৩ রানে। তারই কারণে এক পর্যায়ে আফগানিস্তান চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। সাকিব বল হাতে বেশ রান দেয়ার ব্যাপারে কৃপণ ছিলেন। তিনি চার ওভার বল করে ১ মেডেনসহ ১৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নিয়েছেন। তবে এই দুই বোলারের কারিশমার পর বাকি পাঁচ বোলার বেশ রান দিয়েছেন। বিশেষ করে সৌম্য সরকার দুই ওভারে দিয়েছেন ৩১ রান। আর তাইজুল ইসলাম তার স্পিনের ঝলক দেখিয়ে বিপক্ষ দলের সমীহ আদায় করতে পারেননি। তিনি দিয়েছেন ৩২ রান। মোসাদ্দেক ১ ওভারে ১২ রান দিলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১ ওভার বল করে ৩ রান দেন। অধিনায়ক সাকিব কেন রিয়াদকে এরপর ব্যবহার করলেন না তা বোঝা গেল না।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে আফগান দলের বিপর্যয়ের সূচনা করেন। তার কারণে আফগানিস্তান ৫.৫ ওভারে ৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। সাইফুদ্দিন এবং মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ দলের দুই পেসার। কিন্তু টি-২০তে ব্যাটসম্যানরা সব সময়ই আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে থাকেন। তারা থিতু হয়ে বসার আগেই উইকেটের চারপাশে বল পাঠাতে পছন্দ করেন। আফগানিস্তানের বিপর্যয়ের পরও দলটি মোহাম্মদ নবীর অপরাজিত ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসের ওপর ভর করে ১৬৪ রান করেছে। রাতের রূপালী আলোর বন্যায় ভেসে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান তার বোলারদের কাছে প্রত্যাশা করেছিলেন যে, আফগানিস্তান বেশি দূর যেতে পারবে না। কিন্তু তার বাজির ঘোড়া কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ আফগান ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে বেধে রাখতে পারেননি। এছাড়া সাকিব আল হাসান হাতে বিকল্প ছিল কম। তাইজুল ইসলাম তাকে স্বস্তি দিতে পারেননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মোসাদ্দেক বল হাতে মন্দ করেননি। কিন্তু তিনি এই ম্যাচে নিজের ছন্দ হারিয়ে ফেলেন। সৌম্য সরকার তার স্লো মিডিয়াম বোলিং দিয়ে ব্যাটসম্যানদের ক্রিজে বেধে রেখেছেন অনেকবার। কিন্তু তাকেও কেমন যেন খাপছাড়া মনে হয়েছে। প্রথম দুই বোলার ছাড়া বাদবাকি পাঁচ বোলার যদি বেশি রান দেন তাহলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা চেপে বসবেন সেটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। শুরুতে ভালো করার পর বাংলাদেশের বোলাররা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।

 


আরো সংবাদ



premium cement