টানা তিন পরাজয়। আফগানিস্তানকে হারিয়ে কামব্যাক দক্ষিণ আফ্রিকার। পাঁচ খেলায় একমাত্র জয় দলটিকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বকাপের সেমির রেসের খাদের কিনারাই। অবশিষ্ট চার ম্যাচের প্রতিটিই এখন মাস্ট উইন দ্বৈরথ আফ্রিকানদের। আইসিসির ১২তম মেগা আসরের অন্যতম অ্যাসিড টেস্টে আজ মাঠে নামছে ফাফ ডু প্লাসিস অ্যান্ড কোং। বার্মিংহামের এজবাস্টনে তাদের ফোর ফাইনালের প্রথম ফিকশ্চারের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত নিউজিল্যান্ড। দল দু’টির মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায়।
সেমির লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ড ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম ভাগ্যবান দল হিসেবে উদ্ভাসিত হয়েছে। বৃষ্টির বাধামুক্ত অপেক্ষাকৃত কম শক্তির তিন দলের বিপক্ষে কিউইদের দ্বৈরথ। পুরো ৬ পয়েন্ট তারা অর্জন করেছে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা থেকে। টুর্নামেন্টে কিইউদের প্রথম কঠিন চ্যালেঞ্জের ফিকশ্চারেই হানা দিয়েছে বৃষ্টি। ফলে তাদের পয়েন্ট ভাগাভাগি হট ফেবারিট ভারত টেস্টের খেলায়। চার ম্যাচ শেষে ৭ পয়েন্ট অর্জন নিউজিল্যান্ডকে পৌঁছে দিয়েছে সেমির রেসের সুবিধাজনক পজিশনে। তবে ইংলিশ বিশ্বকাপের তাদের অবশিষ্ট প্রতিটি ম্যাচের প্রতিপক্ষও তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী। মূলত আজ বার্মিংহ্যামে দলটির ক্রিকেটারদের সামর্থ্যরে প্রকৃত পরীক্ষা হবে। তারা চলতি টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো সমশক্তির কোনো প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছে। অবশ্য অত্যন্ত ব্যালান্সড নিউজিল্যান্ডের ১২তম বিশ্বকাপের স্কোয়াড। ব্যাট হাতে পারফরম করার ক্ষেত্রে পরীক্ষিত একঝাঁক ক্রিকেটার রয়েছে দলটিতে। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান রস টেইলর মধ্যমণি কিউই ব্যাটিং ইউনিটের। ওপেনিং গাপটিলের বিগ স্কোর উপহার দেয়ার সামর্থ্যরে বিষয়টি সবার জানা রয়েছে। প্রয়োজনে টি-২০ স্টাইলে ব্যাটিংয়ের উপযুক্ত কলিন মুনরো-জিমি নিশাম। মিডল অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক কেন উইলিয়ামসন। দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিন জুজু বিবেচনায় আজ কিউই বোলিংয়ে অ্যাটাকের পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। স্পিনার সোধি কিংবা বোলিং অলরাউন্ডার মিচেল স্টানারের মধ্যে যেকোনো একজন সুযোগ পেতে পারেন দলটির প্রথম একাদশে। এক্ষেত্রে জায়গা ছাড়তে হবে ম্যাট হেনরিকে। পেস অ্যাটাকে নেতৃত্ব দেবেন ট্রেন্ট বোল্ট ও জিমি নিশাম। চলতি টুর্নামেন্টের দুর্দান্ত ফর্মের পাশাপাশি সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় আজ পারফরম করায় বাড়তি প্রেরণা হবে নিউজিল্যান্ডের।
২০১১ সালের ওয়ানডের সর্বোচ্চ আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে কিউইদের মোকাবেলায় নাটকীয় ব্যাটিং ধসে হতাশাজনক বিদায়ের দুঃস্বপ্ন হজম দক্ষিণ আফ্রিকার। চার বছর পর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেও দলটির নাটকীয় ব্যর্থতা নিউজিল্যাল্ড চ্যালেঞ্জে। টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে গোল্ডেন জেনারেশনের ক্রিকেটার সমন্বিত দক্ষিণ আফ্রিকার বিস্ময়কর পরাজয়ে ইতিহাসের প্রথম ফাইনালে প্রতিনিধিত্বের গৌরব কিউইদের। টানা তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে উপস্থিতি নিউজিল্যান্ড টেস্ট। ম্যাচটিতে জয় ভিন্ন কোনো ফলাফল বিশ্বকাপের সেমির রেস থেকে প্রোটিয়াদের বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত করে দেবে। অ্যাসিড টেস্টের ফিকশ্চারের আগে টুর্নামেন্টের প্রথম জয়োৎসব কিছুটা হলেও সহায়কের ভূমিকা পালন করছে দলটির ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে। অপরাজিত থেকেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করেন অভিজ্ঞ ওপেনার হাশিম আমলা। উদ্বোধনীতে ডি কককে নিয়ে গড়েন শতরান প্লাস জুটি। আজো তাদের ব্যাটে রান দেখার প্রত্যাশায় দক্ষিণ আফ্রিকা। টপ অর্ডারে ব্যাট হাতে অধিনায়ক প্লাসিসের নৈপুণ্য গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হবে দলটির সর্বমোট সংগ্রহে। কিউইদের বিপক্ষে মাস্ট উইন আফ্রিকার বোলিং ইউনিটের জন্য সুখবর হয়ে এসেছে লুঙ্গি এনগিদির শতভাগ ফিটনেস পুনরুদ্ধার। ইনজুরি থেকে তার সেরে ওঠা নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়া বোলিং অ্যাটাকে ভারসাম্যের প্রত্যাবর্তন। দেখার বিষয়Ñ নকআউটের চাপ কাঁধে নিয়ে দল হিসেবে আজ আফ্রিকা নিজেদের মেলে ধরতে পারে কি না?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা