আর্জেন্টিনা, প্যারগুয়ে, চিলি ও উরুগুয়ে। এই চার দেশ যৌথভাবে ২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায়। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর যৌথভাবে আয়োজনের প্রস্তাব দেয়া হবে বলে গতকাল জানিয়েছেন চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়ান পিনেরা।
ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক এ টুর্নামেন্ট যৌথভাবে আয়োজনে ইতোমধ্যেই আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ে প্রস্তাব দিয়েছে। তবে পিনেরা এক টুইটার বার্তায় বলেন, ওই দেশগুলোর প্রেসিডেন্টগণ যৌথ আয়োজক হতে চিলির প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে।
শেষ দিকে প্যারাগুয়ে যুক্ত হওয়ার আগে ২০১৭ সালেই মূলত আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে যৌথভাবে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিল। রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনা-উরুগুয়ে ম্যাচের দিনের ঘটনা। আর্জেন্টিনার লাওনেল মেসি এবং উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ ২০৩০ জার্সি পরে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রচারণা করেছিলেন খেলা শুরুর আগে। তখন পর্যন্ত এই দুই দেশই ছিল হোস্ট হওয়ার দৌড়ে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে বলিভিয়ার ফুটবল পাগল প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস টুর্নামেন্ট আয়োজনে ‘দুই অথবা তিন বিষয়েসহ আয়োজক হতে’ তিন দেশকে প্রস্তাব দেয়। তার এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে লাজ পাজ-এ হার্নান্দো সিলস রেয়েস স্টেডিয়ামও একটি স্বাগতিক ভেনু।
পিনেরা বলেন, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্টদের কাছে নিজের ধারণা ও পরিকল্পনা জানাতে কয়েক মাস এসব দেশে যাতায়াত করেছেন।
১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম আসরের আয়োজক ছিল উরুগুয়ে। চিলি আয়োজন করে ১৯৬২ বিশ্বকাপ। এরপর পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সমস্ত অর্জন ছাপিয়ে নিজ মাঠে ১৯৭৮ বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করে আর্জেন্টিনা।
দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশগুলো ছাড়াও ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনে যৌথ প্রস্তাব দিয়েছে ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড এবং পুনর্বাঞ্চলীয় ইউরোপিয়ান করফেডারেশনের গ্রিস, সার্বিয়া, বুলগেরিয়া ও রোমানিয়া। আয়োজক হতে চায় মরক্কোও।
এ ছাড়া মরক্কো ও পর্তুগালকে নিয়ে যৌথ আয়োজক হওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো স্যানচেজ।
একবারই বিশ্বকাপ ফুটবল যৌথ আয়োজনে হয়েছিল। তা ২০০২ সালে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় হয়েছে সেই আসর। ২০২৬ সালে বিশ্বকাপ ও হবে যৌথ আয়োজনে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং মেক্সিকো ওই প্রতিযোগিতার যৌথ আয়োজক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা