২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

চালাক শেয়ালের শাস্তি

-

এক বনে একটি বাঘ আর শেয়াল থাকতো। শেয়ালরা বরাবরই চালাক প্রকৃতির। তাই এই শেয়ালটাও ওই প্রকৃতির বাইরে নয়। বাঘকে তেল মেরে চামচামি করে বাঘের সাথে মিল দিয়ে থাকতো। বাঘকে মামা বলে ডাকতো বাঘও ভাগ্নে বলে ডাকতো। শেয়াল সবসময় বাঘকে ঠকিয়ে যেত। বাঘ অনেক কষ্ট করে হাঁপিয়েÑ দাপিয়ে ঘর্ম ঝরিয়ে কত কৌশল করে কিছু একটা শিকার করতো, কিন্তু নিজের শ্রমটা শিকার হয়ে যেত শেয়ালের চালাকির কাছে। অর্থাৎ বাঘের সেই খাবারটা শেয়ালের পেটে চলে যেত বুদ্ধির থাবায়। বাঘ অনেকটা বোকার মতো হা করে শুধু দেখতো। একদিন বাঘ একটা খরগোশ শিকার করল শুধু মুখে তুলে দাঁতের দু’পাটির মাঝখানে ফেলে চাবানো শুরু করবে, সেই মুহূর্তে ধূর্ত শেয়াল সামনে এসে হাজির। আরে মামা কী করছ? কী করছ? দাঁড়াও! প্রাণটা হারাবে নাকি? বাঘ তো অবাক! কেন কী হয়েছে? খাবারই তো খাচ্ছি প্রাণ বাঁচানোর জন্য প্রাণ যাবে কেন? শেয়াল বিছাতে শুরু করল তার নেপো বুদ্ধির জাল! বলল বাঘকে আরে মামা এই খরগোশটাকে একটু আগে দেখেছি বিষাক্ত গাছের ফল খেতে। তুমি যদি এখন ওকে খাও নিশ্চিত প্রাণটা হারাবে। তারপরও আমার সন্দেহ হচ্ছে এই খরগোশটাই কি সেই খরগোশটা নাকি? তাই ভাবছি মামা, তোমার জীবন আমি মৃত্যু হতেও পারে এমন সন্দেহের মাঝে ফেলতে দেবো না। কারণ তুমি হলে বনের রাজা তোমার বেঁচে থাকাটা খুব জরুরি। তাই খাবারটা আমি আগে খেয়ে দেখি বিষ থাকলে আমি মরব। আর যদি বেঁচে যাই তবে বুঝব খাবারটা তোমার জন্য নিরাপদ। শেষে খেয়ে নিও। ধূর্ত শেয়াল খরগোশটার দুই-তৃতীয়াংশ খেয়ে ফেলল চেখে দেখার নাম করে। বাঘ বলল কীরে ভাগ্নে তুই তো সবটুকুই প্রায় খেয়ে ফেললি? অবশিষ্ট আর রইল কি? শেয়াল বলল আরে মামা আমার কাছে মনে হলো খরগোশের শরীরের এই অংশে বা ওই অংশে বিষ থাকতে পারে, তাই সবজায়গা থেকেই খেয়ে দেখলাম। বেশির ভাগটা খেয়ে শেষে, বাঘকে বলে শেয়াল, নাও মামা এবার খাও এটা সেই খরগোশ না। এতে বিষ নেই তুমি দ্বিধাহীন খেতে পারো। যেটুকু রয়েছে ওটুকু আর বাঘ কি খাবে? বাঘের পেটের এককোনাও ভরবে না। তাই বাঘ আর খেলো না। কিন্তু বাঘের ধীরে-ধীরে বোধ হচ্ছে। তার মনে হচ্ছে কোনো না কোনোভাবে শেয়াল তাকে ঠকাচ্ছে। তাই বাঘ ভাবলো শেয়াল ভাগ্নে দাঁড়াও তোমাকে আমি শিক্ষাটা দিচ্ছি। বাঘ একদিন আরেকটি খরগোশ শিকার করল। বিষাক্ত গাছের রস খরগোশটার পুরো শরীরে মেখে দিল। ঠিক আগের মতোই ধূর্ত শেয়াল এসে হাজির। আবার এক ফন্দি আঁটলো খাবারটা হাতিয়ে নেয়ার জন্য। বাঘও খুব চতুরতার সাথে বোকার অভিনয় করল। শেয়াল তো খুব খুশি খাবার পেয়েছে আর মনে মনে ভাবতেছে বাঘমামা তুমি কত্ত বোকা।
এবারো আমার চালাকি বুঝতে পারলে না। এই বলে খাবার মুখে তুলে নিলো বেশ মজা করে খাওয়া শুরু করল। খেতে খেতে হটাৎ করে দেহের ভেতর এক বিষাক্ত যাতনা অনুভব করা শুরু করল। খাবার ফেলে দিয়ে যন্ত্রণায় কাতর হয়ে মাটিতে গড়াগড়ি শুরু করল। আর বলতে লাগলো বাঘ মামা তুমি আমাকে কি খাওয়ালে? আমি তো শেষ! বাঘ হেসে বলল ভাগ্নে তুমি সেই প্রবাদটি শোননি? ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি’ এতদিন তুমি আমার খাবার চালাকি করে খেয়েছ! এবার বোঝো অতি চালাকির মজা! সেদিন শেয়াল মরতে মরতে বেঁচে যায়, কিন্তু তারপরে সে কান ধরে তওবা করে। আর কোনো দিন চালাকি করে কাউকে ঠকাবো না। কারণ এর পরিশেষ অতি দুঃখ হয়ে দাঁড়ায় সামনে।


আরো সংবাদ



premium cement
দক্ষিণ ভারতে কেন কাজ করেনি বিজেপির হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের নতুন আংশিক কমিটি বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান ট্রাম্পের বিচার নিয়ে বিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট চুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত আমদানি ব্যয় কমাতে দক্ষিণাঞ্চলের সূর্যমুখী তেলের আবাদ পাকুন্দিয়ায় গানের আসরে মারামারি, কলেজছাত্র নিহত আবারো হার পাকিস্তানের, শেষ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন পাটকেলঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৩ দোকান পুড়ে ছাই ৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু দোয়ারাবাজারে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা : স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সকল