২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক - ছবি : সংগৃহীত

জিলহজ মাস হিজরি সনের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এ মাসের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। জিলহজ মাস হজের মাস। বছরের ১২ মাসই আল্লাহর কাছে সমান মর্যাদার। এর মধ্যেও কয়েকটি মাস আছে যেগুলো আল্লাহ বিশেষ ফজিলতের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। জিলহজ মাস তার একটি। ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি হজ বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে এক ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি করে। ত্যাগের মনোভাব সৃষ্টি করে। আল্লাহর রাহে নিজকে উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি করে। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার মাস জিলহজ। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তার সান্নিধ্য লাভের মাস। এসব মাসে যুদ্ধবিগ্রহ, কলহ-বিবাদকে সম্পূর্ণ হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই মাসের ৮ থেকে ১৩ তারিখ- এই ছয় দিনেই হজের মূল কার্যক্রম সম্পাদন করা হয়। তাই এ মাসের মর্যাদা ও ফজিলত অন্য মাসগুলো থেকে অনেক বেশি।

মহাগ্রন্থ আল কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হজ সম্পাদন করো সুবিদিত মাসগুলোতে। অতঃপর যে কেউ এই মাসগুলোতে হজ করা স্থির করে, তার জন্য হজের সময়ে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহবিবাদ বৈধ নয়। তোমরা উত্তম কাজ যা কিছু করো, আল্লাহ তায়ালা তা জানেন এবং তোমরা তোমাদের সাথে পাথেয় নিয়ে নাও। বস্তুতপক্ষে উৎকৃষ্ট পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া বা আত্মসংযম।’ (সূরা বাকারা-১৯৭)।

তিরমিজি শরীফের এক হাদিসে আবু হুরায়রা রা: বর্ণনা করেন, রাসূল সা: বলেন, ‘জিলহজের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো’।

জিলহজ মাসে হজের সময় তালবিয়া পাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিটি মুসলমান আল্লাহর কাছে হাজির হওয়ার সাক্ষ্য দেন। এর মাধ্যমে বান্দাহ ও আল্লাহর মধ্যে যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয় তা তাকে নিয়ে মুক্তির চূড়ান্ত ঠিকানায়।


আরো সংবাদ



premium cement