১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`

ইসলাম ও জীবন

ইসলাম ও জীবন - ছবি সংগৃহীত

ইসলাম নিয়ে জ্ঞান আমার খুবই ক্ষুদ্র। অনেক কিছুই জানি না, যেমন কিভাবে নামাজ পড়ব, কিভাবে ইবাদত করলে আল্লাহ খুশি হন বা কিভাবে দোয়া করলে৷ দোয়া কবুল হয়।

কিন্তু সময় কিন্তু চলে যাচ্ছে সময়ের মতো। হয়তো হঠাৎ শুনবেন আমি আপনি আর দুনিয়াতে বেঁচে নাই। কখন তৈরি হবো আখেরাতের জন্য তা ভাবতে ভাবতেই সময় শেষ। দুনিয়া আমাদের গ্রাস করে রেখেছে। আমরা চলি শয়তানের কথা মতো। ভালো লাগে নামাজ পড়ি, না লাগলে পড়ি না। আমাদের নাফস খুবই দুর্বল। শয়তানকে দূরে রাখতে পারি না। তাই শয়তানের ধোকায় পড়ে ভালো কাজ থেকে দূরে সরে যাই। তাই আমাদের সবাইকে মসজিদমুখী হতে হবে। বেশি বেশি তওবা এসতেগবার পড়তে হবে। মসজিদ ও কোরআনকে যে বেশি করে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারবে সেই আখেরাতে পথে এগিয়ে থাকবে।

ভাইয়েরা
চোখটা বন্ধ করে দেখেন আমার আপনার পাশে কাউকে দেখতে পাই না। আর এত বড় মাটির নিচে রেখে সবাই যখন চলে আসবে তখন আপনার আমার কী অবস্থা হবে? যাদের জন্য নামাজ না পড়ে কাজ করেছেন তারা কেউ আপনার আমার সাথে থাকবে না।

বাবারা
এখনো সময় আছে তওবা করে বসে যান। নইলে আমার আপনার কবরে যে কী অবস্থা হবে আল্লাহই ভালো জানে। আমরা চিন্তা করি বুড়ো হলে এবাদত করব, হজ করব, নামাজ রোজা করব। কিন্তু আমাদের জন্মের সিরিয়াল আছে মৃত্যুর কিন্তু সিরিয়াল নেই। বৃদ্ধ হলে অনেক কিছু করতে চাইলেও করতে পারবেন না।

আজ একজন হুজুরের ওয়াজ শুনে অবাক হলাম। সত্যি কথা বলতে আমরা এভাবে চিন্তা করি না। মনে অনেক কিছুই করতে চাইবে কিন্তু সব কিছু করা যায় না। এই যে নফসের সাথে যুদ্ধ করে ভালো কাজ করা মন্দ কাজ থেকে দূরে সরে থাকা এই শক্তিটা আমাদের সঞ্চয় করতে হবে।
ভালো মানুষ গুলো সারা দিন ইবাদতের মধ্যে থেকেও আল্লাহর ভয়ে কাঁদে। আমাদের চোখের পানি আসতে চায় না। দিল পাথরের মতো শক্ত হয়ে গেছে।

দুনিয়ায় উপরের পজিশনের জন্য কত পড়াশোনা করি ট্রেনিং করি, কিভাবে আরো উপরের পজিশনে আসা যায়। যা অল্প কিছু দিনের জন্য আর আখেরাতে অনন্তকাল ধরে থাকতে হবে তার জন্য কতটুকু সময় ব্যয় করি, কয়টা ট্রেনিং নেই?

আমার ভাই বোনেরা
আমি আপনাকে বলছি কেন? আপনাকে বলতে বলতে যদি আমার হুঁশ হয়। পরপারে গিয়ে একটু যদি শান্তি পাই এই আশায় বলছি। আমরা দুনিয়া নিয়ে বেশি চিন্তা করি। মরনের কথা সারা দিনে একবারও ভাবি না।

আমার আল্লার বান্দারা
সময় থাকতে সতর্ক হন। নইলে আমার আপনার কবরে যে আজাব আসবে আমরা কেউ সহ্য করতে পারব না।

ভাইয়েরা
মা-বাবার খেদমত করি যত দিন না হজে যেতে পারি। আর যখন আল্লাহ কবুল করবেন তখন তৌফিক থাকলে মা-বাবাকে নিয়ে হজ করি। দুনিয়াতে বাবা মা হলো আল্লাহর নিয়ামত। মা-বাবার দোয়া থাকলে অনেক দূরে যেতে পারবেন। যে যত বেশি সেবা করে আখেরাতের খোরাক যোগার করতে পারবেন তার আখেরাতের জীবন তত ভালো হবে।

ভাইগো
দান সাদকা করুন বেশি বেশি। গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। দুনিয়াতে সম্পদ দেয়ার মালিক আল্লাহ। তিনি মহান ও পরম দয়ালু। তিনি সম্পদ দিতেও পারেন আবার নিতে ও পারেন। দান সদকা করলে সম্পদ কমে না। হালাল পথে টাকা রোজগার করে দান সদকা করেন আল্লাহ কবুল করবেন।

বাবারা
এতিমদের ভালোবাসেন। এতিম কিন্তু সে ইচ্ছা করে হয়নি। আল্লাহ তাকে এতিম বানিয়েছেন। আল্লাহ চাইলে আপনাকেও এতিম বানাতে পারতেন। তাই কোনো এতিম সন্তানকে অবহেলা করবেন না।তাদের মাথায় হাত বুলান। এতিমদের মুখে হাসি ফুটালে আল্লাহ অনেক খুশি হন। এতিমের হক নষ্ট করবেন না। তাদেরকে ঠকাবেন না।


আরো সংবাদ



premium cement