৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহতদের পরিবারের সাথে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ

পঞ্চগড়ে নৌকা ডুবে নিহতদের পরিবারের সাথে জামায়াত আমিরের সাক্ষাৎ - ছবি : নয়া দিগন্ত

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে ভয়াবহ নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণহানি হয়েছিল ৭২ জনের। এর মধ্যে ৭১ জনই ছিল সনাতন ধর্মের। এ ঘটনার দেড় বছর পার হলেও এটি মনে রেখেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের খোঁজখবর ও তাদের সাথে মতবিনিময় করতে ছুটে যান তাদের কাছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে বোদা উপজেলার একটি স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই মতবিনিময় করেন ডা. শফিকুর রহমান। এ সময় প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে উপহার হিসেবে ৫ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন জামায়াতের আমির। একইসাথে তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন তিনি।

পঞ্চগড় জেলা জামায়াত আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ হতে এসেছি। রাজনীতিক বলা হয় তাদের, যারা নীতির রাজ নিয়ে চলে। আর সর্বোত্তম নীতি হচ্ছে মানুষের জন্য কিছু করা। যারা মানুষের জন্য কিছু করেন, মানুষের জন্য কাঁদেন, মানুষের খুশিতে আনন্দিত হন, ওই রাজনীতিই স্বার্থক রাজনীতি। দেশের কোথাও বড় দুর্ঘটনা হলে, মানুষ বিপদগ্রস্ত হলে আমাদের মন কাঁদে।

তিনি আরো বলেন, নৌকা ডুবিতে মারা যাওয়া প্রত্যেকেই ভিন্ন ধর্মের, আমরা সেটা দেখছি না। আমরা দেখছি মানুষ। আর মানুষ বিপদে পড়েছে, আমরা পাশে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া, ধর্ম তো পরে এসেছে। আমরা সবাই এক বাবা-মা থেকে দুনিয়ায় এসেছি, আবার এক জায়গাতেই ফিরে যেতে হবে।

জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলান মফিজ উদ্দীন, বোদা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল বাসেত, সদর উপজেলার আমির সফিউল ইসলাম, দেবীগঞ্জ উপজেলা আমির আবুল বাশার বসুনিয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সনাতন ধর্মের শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার মাড়েয়া আউলিয়া ঘাট থেকে শতাধিক মানুষ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করে। একপর্যায়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে মোট ৭২ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই সময়ও শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানাতে ছুটে যান ডা. শফিকুর রহমান। একইসাথে দলের পক্ষ থেকে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা করে মোট ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থসহায়তা দেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement