২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোরবানির বাজার ধরতে প্রস্তুত খামারিরা

কোরবানির বাজার ধরতে প্রস্তুত খামারিরা। - ছবি : নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছে গরু খামারিরা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করছে তারা। ভালো দামের আশায় এসব পশু সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিচর্যায় ব্যস্ত গৃহস্থরা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারের কোরবানির ঈদের জন্য এক হাজার ২১৯টি বাণিজ্যিক খামারসহ পারিবারিকভাবে পশু পালন করে ২৯ হাজার ৩৯৪টি পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর উপজেলায় পশু পালন বেশি হয়েছে। যা এই উপজেলায় কোরবানির পশু ১৫ হাজার ৩৭৬টির চাহিদা মিটিয়ে ১৪হাজার ১৮টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে। এসব পশু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে সরবরাহ করা হবে।

উপজেলার ধুবিল গ্রামের খামারি তালুকদার অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক অনিক তালুকদার জানান, ‘আমার খামারে ১০০টি গরু এবার কোরবানির হাটের জন্য প্রস্তুত করেছি। এ বছর গরুর দাম ভালো থাকলেও খাবারের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।’

তবে ভারত থেকে গরু এলে লোকসানে পড়বে অনেক খামারি। দেশীয় খামারিদের বাঁচাতে ভারত থেকে কোনো প্রকার গরু প্রবেশ না করতে দিতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

রায়গঞ্জ উপজেলার খামারি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এবার কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য পাঁচটি ষাড় প্রস্তুত করেছি, গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সঠিক দাম পাব কি-না তা নিয়ে চিন্তায় আছি।’

রায়গঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়ালী-উল ইসলাম জানান, ‘আমরা খামারিদেরকে মোটাতাজা করার ওপর প্রশিক্ষণ, যেন ট্রেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার মোটাতাজা না করে। গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির পশু রয়েছে বেশি। যা এ উপজেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্য এলাকায় বিক্রি করতে পারবে খামারিরা।


আরো সংবাদ



premium cement