২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যুক্তরাষ্ট্রে ৬ বাংলাদেশীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার : পরিবারটির বাড়ি পাবনায়

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে পাবনার একই পরিবারের ৬ জনের লাশ উদ্ধার - ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বাংলাদেশী একই পরিবারের ছয়জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই পরিবারের দেশের বাড়ি পাবনা শহরের দোহারপাড়ায়। এ ঘটনায় পাবনা শহরের দোহারপাড়ায় নিহতদের স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। হত্যা নাকি আত্মহত্যা, এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসের কমিউনিটিতে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা।

সোমবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ছয় বাংলাদেশীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পরিবারের দুই সন্তান অন্য সদস্যদের হত্যা করে নিজেরাও আত্মহত্যা করেছেন। তবে এখনো ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়নি।

একাধিক সূত্র জানায়, সোমবার সপ্তাহের প্রথম কর্ম দিবসের শুরুতেই মর্মান্তিক হত্যাযজ্ঞের খবর পান টেক্সাসের এলেন শহরের বাসিন্দারা। সোমবার ভোরে উদ্ধার করা হয় একই পরিবারের ছয় বাংলাদেশীর লাশ। নিহতরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশী। তারা হলেন সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তৌহিদুর রহমান ওরফে স্যাম তৌহিদ, তার স্ত্রী মিসেস নীলা তৌহিদ, তিন সন্তান তানভীর তাওহীদ, ফারবিন
তাওহীদ ও ফারহান তাওহীদ। এ মনকি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আইরিন ইসলামের
বৃদ্ধা মা আলতাফুন নেসাও।

নিহত আইরিনের ভাতিজা তাওসীফ হোসেন জানান, তারা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন স্যাম তৌহিদের দুই ছেলে নিজেরা ঠিক করেছিল তারা সুইসাইড করবে। একই সাথে পুরো পরিবারকে মেরে ফেলবে। ওই অনুযায়ী তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে থাকতে পারে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত একটি সুইসাইড নোট রেখে গেছে ১৯ বছর বয়সী ছোট ছেলে। যেখানে তিনি নিজেকে মানসিক বিকারগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে নিহতদের পারিবারের ঘনিষ্ঠজন ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের মানসিক সমস্যার কথা তারা জানতেন না। দুই ভাই ছিল খুবই সপ্রতিভ, পড়াশোনায়ও ছিল ভালো। তাদের বাবা স্যাম তৌহিদ দুই ছেলেকে নিয়ে সব সময় গর্ব করতেন।

এ দিকে এ ঘটনায় কমিউনিটিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, গত শনিবার তাদের মৃত্যু হতে পারে। সঠিক কারণ উদঘাটনে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা যায়, দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে টেক্সাসের ডালাসের অ্যালেন হোমে বসবাস করতেন বাংলাদেশী দম্পতি তৌহিদুর রহমান ও আইরিন ইসলাম। আইরিন ইসলামের মা আলতাফুন নেসা বাংলাদেশের পাবনা থেকে এসেছিলেন মেয়ের কাছে থাকার জন্য। দেশে ফেরার কথা থাকলেও, করোনার কারণে আটকা পড়েছিলেন তিনি।

নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও পাবনার বাসিন্দা গোপাল সান্যাল বলেন, ‘মর্মান্তিক ঘটনাটির শিকার পরিবারটির বাড়ি পাবনার দোহারপাড়ার হায়দার পরিবারে। দোহারপাড়ার বিখ্যাত ব্যক্তি জিয়া হায়দার, রশিদ হায়দার তাদের আত্মীয়।


আরো সংবাদ



premium cement