পরকীয়ার জেরে চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
- আবদুর রশীদ তারেক, নওগাঁ
- ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৭:০৪
নওগাঁর সদর উপজেলায় পরকীয়া সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন ওরফে ছকু (৩৬) নামের যুবককে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার দুবলহাটি ইউনিয়নের হাড়িয়াগছি গ্রামে ওই যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তোফাজ্জল হোসেনের প্রতিবেশী এক গৃহবধূর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তোফাজ্জল হোসেনও ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত। দুই পরিবারই তোফাজ্জল ও ওই নারীর পরকীয়ার সম্পর্কের বিষয়টি জানতো।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে তোফাজ্জল বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। ওই সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রামের রাস্তা থেকে প্রতিবেশী দিলদার হোসেন ও সোহেল রানা তাকে ধরে নিয়ে যান। পরে দিলদারের বাড়ির পাশে একটি গাছের সাথে বেঁধে নির্মমভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে মারধর করেন।
পরে তারাই ওই যুবকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে নওগাঁ সদর থানা পুলিশকে খবর দেন। রাত ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তোফাজ্জলের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে তোফাজ্জলকে তার পরিবারের লোকজন নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বুধবার রাত ১টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়।
নিহত তোফাজ্জলের চাচাতো ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পরকীয়া সম্পর্কের জেরেই ওই গৃহবধূর স্বামী ও তার লোকজন গাছের সাথে বেঁধে মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তুলে প্রচারণা চালাতে শুরু করেন। পরকীয়ার সন্দেহের জেরেই তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়েছে, চুরির যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া বিপিএম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আহত তোফাজ্জলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ায় সন্দেহভাজন আসামিরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা