সারাদেশে যখন করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঘরবন্দী মানুষ, ঠিক সেই মূহর্তে সকল বাধাকে উপেক্ষা করে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছিলেন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী সুমাইয়া পারভীন (১৯)। অনড় মনোভাব নিয়ে অনশন করে চলছিলেন। নানা চাপ সত্ত্বেও তিনি দাবি থেকে সরে আসেনি। নানা নাটকীয়তার মধ্যে অবশেষে সোমবার গভীর রাতে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিয়েটি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাণীনগর উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের রাতোয়াল প্রামানিকপাড়া গ্রামে। পাত্র মুন্না (২০ ) ওই গ্রামের ফেরদৌসের ছেলে এবং প্রেমিকা একই উপজেলা ও একই ইউনিয়নের সিলমাদার গ্রামের শাহিনের মেয়ে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মুন্নার সাথে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীর সুমাইয়া পারভীনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । এক পর্যায় মুন্না এইচ এসসি পাশ করে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে কর্মরত থেকে ও চালিয়ে যান তাদের প্রেমের সম্পর্ক । চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা দিলে ঢাকা থেকে তার গ্রামের বাড়ি রাতোয়ালে আসে মুন্না ।
খবর পেয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী সুমাইয়া পারভীন মুন্নাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। মুন্না তাকে বিয়ে করবেনা বলে জানায়। কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী সুমাইয়া পারভীন বিয়ের দাবীতে হাতে বিষের বোতল নিয়ে সোমবার অনুমানিক দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে প্রেমিক মুন্নার বাড়িতে অনশন শুরু করেছিলেন।
অনশনকারী সুমাইয়া পারভীন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মুন্নার সাথে তার চার বছরের প্রেম। বিয়ের আশ্বাসে তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয় । এদিকে প্রেমিকের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান রশিক প্রেমিক মুন্না।
এ বিষয়ে মুন্নার বাবা ফেরদৌসের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, সোমবার গভীর রাতে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষের দেন দরবার শেষে অবশেষে অনুমার রাত ২ টার সময় দেড় লক্ষ টাকার কাবিনের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে, আমরা সুমাইয়া পারভীনকে বউ হিসাবে ঘরে তুলে নিয়েছি। ওই রাতেই তারা শ্বশুর বাড়িতে গিয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা