স্বামী ও সতিনের ছেলে মিলে পিটিয়ে হত্যা!

বগুড়ার শিবগঞ্জে পাষণ্ড স্বামী ও সতীনের ছেলে মিলে বউজান (৫০) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বামীর পরিবার বিষপানে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। স্বামী ও সতিনের ছেলে বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নের সালদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামে।

গ্রামবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, ওই গ্রামের মোকছেদ আলী (৬০) প্রথম স্ত্রী সালেহাকে তালাক দিয়ে পাশে সালদহ পাড়ার মৃত দলিমুদ্দিনের মেয়ে বউজানকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বউজানের পক্ষে মাছুমা নামে এক মেয়ে আছে। পাশের গ্রামে তার বিয়ে হয়েছে।

মাছুমা সাংবাদিককে জানান, সৎ মায়ের ছেলে শাহিদুল ইসলাম (৪০) ও পিতা মোকছেদ আলী মিলে তার মা বউজানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জন্য মারধর ও নির্যাতন করা করতেন। ঘটনার দিন গত বুধবার বিকেলে পবিত্র শবে বরাতের হালুয়া-রুটি তৈরী করা নিয়ে বিরোধে তার মাকে তারা বাপ-বেটা মিলে আবারো বেধড়ক মারপিট করেন।

পাশের বাড়ির বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাজু মিয়া জানান, বুধবার দিবাগত রাত অনুমান আড়াইটার দিকে ঝগড়ার আওয়াজ শুনে তিনি বের হন। এসময় তারা বাপ-বেটা মিলে ওই নারীকে মারপিট করতে দেখে তাকে রক্ষা করতে গেলে তিনিও আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। মারপিটে ভোর রাতে তিনি মারা যান। তবে কেউ বলছেন বিষপান করেছে ।

বউজানের বৃদ্ধা মা লবানি বেওয়া (৭০) জানান, তার মেয়েকে ওই পাষণ্ড পিটিয়ে মেরে ফেলে দিছে বাবা। আমি ওর বিচার চাই।

এ ঘটনার খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ ছানোয়ার হোসেন, এসআই সাহেব গণি, এসআই শাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করেন। এসময় লাশের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখমের চিহৃ দেখতে পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হলে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে পাঠানো হয়েছে।