২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এতিমখানার নামে চাষকৃত পুকুরে বিষ প্রয়োগ

চাষ করা মাছ নিধনের জন্য মঙ্গলবার সকালে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে অভিযুক্ত সিদ্দিক ভুইয়া - নয়া দিগন্ত

বগুড়ার শেরপুরের ধড়মোকাম শাহতুরকান হাফেজিয়া মাদরাসার চাষকৃত তিনটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার ভোরবেলা এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম হাওয়াখানার তিনটি পুকুরে ধড়মোকাম শাহতুরকান হাফেজিয়া মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি ও এলাকাবাসী মাদরাসার এতিম ছাত্রদের খরচের জন্য মাছ চাষ করেছিল। এই তিনটি পুকুরে প্রায় ১০ লাখ টাকার রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, সিলভার কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের চাষ করা হচ্ছিল।

মাছগুলো কিছুদিন পরেই তারা বিক্রি করত। মঙ্গলবার ভোরে ধড়মোকাম এলাকার সিদ্দিক ভুইয়া ও তার ছেলে সাইদুর পুকুরগুলোতে মাছ নিধনের জন্য বিষ প্রয়োগ করে। বিষ প্রয়োগের ফলে সকালে সব মাছ মরে ভেসে ওঠে। এই মাছগুলো এলাকাবাসী হরিলুট করে।

এ ব্যাপারে মাদরাসার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, এত বড় সর্বনাশ কে করল আল্লাহই জানেন। আমরা এর কোনো প্রতিকার চাই না। যা হয়েছে এতে কিছু করার নাই।

মাদরাসার সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বলেন, গ্রামবাসীর মিলে চাঁদা উঠিয়ে মাছ চাষ করি কিন্তু কে বা কাহারা বিষ প্রয়োগ করছে আমরা দেখতে পারিনি। আমি এর কোনো প্রতিকার করতে পারবো না। গ্রামবাসী এর কোন পদক্ষেপ নিতে চাইলে নেবে আমরা নেব না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সভাপতি ও সেক্রেটারী বলেন, আমরা নামে মাত্র। কিন্তু এতিম খানার দেখাশুনা করেন গ্রামবাসী তারাই মাছ চাষ করছে। আমিও টাকা দিয়েছি কিন্তু এর কোন ব্যবস্থা আমরা নিতে পারবো না, গ্রামবাসী নেবে।

গ্রামবাসীরা জানান, সরকারি আওতাধীন পরিবার পরিকল্পনার এই পুকুর। সিদ্দিক ভুইয়া যখন যে সরকার আসে তখন সে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর ধরে সরকার দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পুকুর চাষসহ হাওয়াখানার সকল কিছু ভোগদখল করে আসছিল। গত ৬মাস পূর্বে ওয়ার্ড মেম্বার মকবুল হোসেন ও গ্রামবাসী মিলে পুকুরগুলো মাদরাসার জন্য মাছ চাষ করবে বলে সিদ্দিককে জানান। তখন সিদ্দিক তার চাষকৃত মাছ মেরে নিয়ে যায়।

তারপর ওয়ার্ড মেম্বার, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসী মিলে পুকুরে মাছ চাষ করেন। কিন্তু সরকার দলীয় হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে আবারও ভোগদখলের জান্য আগের দিন সোমবার (২৪ জুন) সিদ্দিক ভুইয়া (ভান্ডারী) ও তার ছেলে সাইদুর এলাকার লোকজনকে হাঁস/মুরগি পুকুরে ছেড়ে দিতে বারণ করে বলেন, আমরা আগামী (২৫ জুন) সকালে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করবো।

মঙ্গলবার ভোরে সিদ্দিক ভুইয়া (ভান্ডারী) ও তার ছেলে সাইদুর পুকুরগুলোতে বিষ প্রয়োগ করলে এলাকার একজন লুকিয়ে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। কিন্তু সভাপতি ও সেক্রেটারী এর কোন পদক্ষেপ নিতে চাইছে না হয়তো তারাও এর সঙ্গে জড়িত আছে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।

এ ব্যাপারে শেরপুর থানার ওসি মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, মাছ নিধনের ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ এখনো পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরো সংবাদ



premium cement
নোয়াখালীতে ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে ঝাড়-মিছিল ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকারে হাউছিদের সরাসরি হামলা গাজা নিয়ে আলোচনার জন্য সৌদি আরব যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিরসরাই প্রেস ক্লাবের নতুন সভাপতি মিঠু, সম্পাদক মাঈন আইসিসির সিদ্ধান্ত ইসরাইলকে প্রভাবিত করবে না : নেতানিয়াহু শনিবার বন্ধই থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয় মে মাসে দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হতে পারে ডাসারে শিশু খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে নিখোঁজ সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের শরবত বিতরণ কর্মসূচি ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শতাধিক স্পটে জামায়াতের খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক বাধা দূর করতে সম্মত ভুটান ও বাংলাদেশ

সকল