০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


পরকীয়ার টানে প্রবাসী স্বামীকে তালাক, বিয়েতে নারাজি প্রেমিকের

প্রতীকী ছবি -

পাবনার সাঁথিয়ায় বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে ৩ দিন ধরে অনশন শুরু করেছে এক প্রেমিকা। সে ঢাকা মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারী কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের ছাত্রী সাথি খাতুন। শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন শালঘর গ্রামের জুলমত প্রামানিকের ছেলে প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে অনশন শুরু করে সাথি (২৩)।

সরেজমিন প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকা সাথির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে প্রেমিক আল-আমিনের সাখে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিচয় হয়। আল-আমিন ওই সময়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তো পাশাপাশি বেসরকারী কোম্পানিতে চাকুরি করতো। বর্তমানে সে এখন রাজশাহীতে সরকারী চাকুরি করে। পরিচয় থেকে তাদের অবাধে মেলামেশা শুরু হয়। জানা গেছে ওই কলেজ ছাত্রীর প্রবাসী একটি ছেলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের ২মাস পর ওই প্রবাসী স্বামী বিদেশ চলে গেলে আল আমিনের কথায় তাকে তালাক দেয় সাথি। এমতাবস্থায় এক পর্যায়ে মেয়েটি বিয়ের জন্য আল-আমিনকে চাপদিলে গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার বিয়ের জন্য আলামিন ঢাকা কাজী অফিসে আসতে বলে মেয়েটিকে। মেয়েটি ঠিক সময় মত কাজী অফিসে অপেক্ষা করলেও লম্পট প্রেমিক তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। মেয়েটি উপায় না দেখে পাবনার সাঁথিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছে ।

এসময় লম্পট প্রেমিকের পরিবার মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে বেদম মারপিট করে প্রেমিকের মা ও স্বজনেরা।

মেয়েটি এ প্রতিবেদকেক জানান, আমি মরে যাব তবু বিয়ে না করে যাব না। এ ব্যাপারে খবর পেয়ে ওই গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালেক লাল ওই বাড়িতে গেলে পলাতক প্রেমিক মোবাইল ফোনে কথা বলে বিয়ে করতে সম্মত হয়। শনিবার সকালে বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার কথা বলে সে একটি মাইক্রোবাস পাঠায় তার বাড়িতে মেয়েটিকে নিয়ে আসার জন্য।

সাবেক কাউন্সিলর লাল বলেন, ওই গাড়িতে আল-আমিন না থাকায় নিরাপত্তার কথা ভেবে মেয়েটিকে যেতে দেইনি।এখনও আলামিন পলাতক রয়েছে বলে তিনি জানান।

সাথি জানান, থানা পুলিশ তাকে থানায় ডেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে বলে। আমি বিয়ে ছাড়া জীবন থাকতে সাঁথিয়া ছাড়ব না।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল খালেক লালকে স্থানীয়ভাবে মিমাংসার জন্য বলেছে। নিরাপত্তার জন্য মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে যেতে পরামর্শ দিয়েছি।


আরো সংবাদ



premium cement