২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাওলানা আব্দুর রাফঈকে মুক্তি দিয়ে দেশে মানবাধিকার রক্ষা করুন : সেলিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বনানী থানার কর্মী নিখোঁজ মাওলানা আব্দুর রাফঈ -

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বনানী থানা কর্মী মাওলানা আব্দুর রাফঈকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার পর অস্বীকার করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন। এ সময় তার নি:শর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

রোববার দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ের অফিস থেকে বাড়ি ফেরার জন্য অফিস থেকে লিফট দিয়ে নিচে নামার সাথে সাথেই ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা মাইক্রোবাসযোগে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া যায়। এরপর পাঁচ দিন অতিবাহিত হলেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না। তাকে আদালতে সোপর্দও করা হয়নি। ফলে দেশের মানুষের মানবাধিকার নিয়ে আমরা চরম উদ্বিগ্ন।

নিখোঁজ মাওলানা রাফঈ-এর পরিবার তার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম আশঙ্কায় আছেন। এরই মধ্যে তার পরিবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, যদি মাওলানা রাফঈ-এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে তাকে আইন অনুযায়ী আদালতে তোলা হোক। অন্তত তিনি কোথায় আছেন, সেই সন্ধান দেয়া হোক।

তার পরিবার নিখোঁজের বিষয়ে বনানী থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। তার সন্ধান দিতে কোনো সহায়তা করেনি। এটি নাগরিকদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আরো উস্কে দেবে।

বিবৃতিতে জামায়াতের এ সিনিয়র নেতা আরো বলেন, স্বাধীন দেশের একজন নাগরিককে এভাবে তুলে নিয়ে নিখোঁজ করে রাখা উদ্বেগেরই নয়। বরং মানবাধিকারেরও সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বিবৃতিতে সেলিম উদ্দিন বলেন, রাফঈ একজন আলেম ও সজ্জন ব্যক্তি। রাষ্ট্রদ্রোহী বা বেআইনি কোনো কাজে অতীতে কখনো জড়িত ছিলেন না বা এখনোও নেই।

রাফঈ-এর তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা। রোববার রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা। আল্লাহ চাহে তো দুনিয়ায় সন্তান আসবে। এ সময় যার কাছে থাকা প্রয়োজন, তিনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন, কেউ জানে না।

পরিবারের পক্ষ থেকে রাফঈ-এর খোঁজে শাশুড়ী, শ্যালক ঘুরে বেড়াচ্ছেন হাতিরঝিল ও বনানী থানায় এবং ডিবির কার্যালয়ে। নিখোঁজ রাফঈ-এর সন্ধানে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি।

তিনি কোনো অন্যায় করে থাকলে লুকোচুরি না করে আদালতে তোলা হোক। আমাদের বিশ্বাস, তিনি কোনো অন্যায় করেননি। কোনো অপরাধ না করে থাকলে তাহলে তাকে মুক্তি দিয়ে স্ত্রীর এ কঠিন সময়ে পাশে থাকার সুযোগ করে দিন।

-প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement