নগরবাসীকে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করুন : অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান

বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান বলেছেন, ‘রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু মশার উপদ্রবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঢাকা শহরে বহু সংখ্যক মানুষ ইতোমধ্যে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরণ করেছে। নগরবাসীকে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট মহলকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।’

সোমবার বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেনশন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে রাজধানীর মুগদাতে রিকশাচালকদের মাঝে মশারি বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ফেডারেশনের মুগদা অঞ্চলের সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ফেডারশনের মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা মিঠু প্রমুখ।

আতিকুর রহমান বলেন, ‘ঢাকা শহরে দুই কোটির অধিক মানুষ বসবাস করে। এই বিশাল সংখ্যক মানুষের সেবায় যারা নিয়োজিত, তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে প্রতি বছর বহু সংখ্যক মানুষকে অকালে মৃত্যুবরণ করতে হয়। প্রতি বছর শীত মৌসুমে নগরবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই বছর প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। অথচ সিটি কর্পোরেশন তাদের মশক নিধন কর্মসূচি নামকাওয়াস্তে পালন করছে।

তিনি আরো বলেন, ‘তারা দুর্বল ও নিম্নমানের মশার ওষুধ ব্যবহার করছে। ফলে মশার উপদ্রব কমছে না। ফলে এ বছরও শীত শুরু হওয়ার আগে ঘরে বাইরে মানুষ তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না। এভাবে চলতে থাকলে নগরবাসী অতীতের ন্যায় ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকার দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ শ্রমজীবী। তারা সমাজের ধনীদের মত করে মশক নিধনের জন্য ওষুধ ক্রয় করতে পারে না। ফলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মশার উপদ্রব সহ্য করে যাচ্ছে। অন্যদিকে যারা এই শহরে বহু শ্রমিক গ্যারেজ বসবাস করে, তাদের ন্যূনতম মশারিটাও নেই। এ সকল মানুষের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা একবার আক্রান্ত হলে চিকিৎসা করাবে এমন সামর্থ্যও তাদের নেই। তাই এই সকল শ্রমিকদের মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

আতিকুর রহমান বলেন, ‘সরকার নাগরিকদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন না। তারা কিভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল রাখা যায়, তা নিয়ে বেশি চিন্তিত।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করুন। তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করুন।’