২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খালেদা জিয়ার অবস্থা এখনো ‘ক্রিটিক্যাল’: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর - ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনো ‘ক্রিটিক্যাল’ বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এখনো ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন খালেদা জিয়া। যদিও আল্লাহর রহমতে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখন তিনি রুম এয়ারে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। রুমের মধ্যে তার অক্সিজেন লাগছে না। তার প্রেসার, টেম্পারেচার, অক্সিজেন এখন আল্লাহর হুকুমে কিছুটা স্বাভাবিকের দিকে চলে এসছে।’

মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন তার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এসব তথ্য
জানান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মূল কতগুলো বিষয় আছে যে বিষয়গুলো এখনো বিপদজনক অবস্থার মধ্যে আছে। তার কিডনির সমস্যা আছে। তার হাটের সমস্যা আছে। যেটা নিয়ে ডাক্তাররা এখনো অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তারা চেষ্টা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ যে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আন্তরিকতার সহিত বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন। তারা কোনো কিছু অবশিষ্ট রাখছেন না। তারা বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসছেন প্রতিনিয়ত। দেশের বাইরেও যোগাযোগ রাখছেন বড় বড় চিকিৎসকদের সাথে। তারা যেভাবে বলছেন সেভাবেই তারা এখানে চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতাল সবচেয়ে বেশি টেকনোলজিক্যাল দিক থেকে উন্নত। তারপরেও যথেষ্ট না। ওনারা নিজেরাই মনে করেন যে, অনেক সীমাবন্ধতা আছে। সেই সীমাবন্ধতাগুলো দেখে ওনার পরিবার ওনাকে বাইরে নেয়ার আবেদন করেছিল।’

করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুলশানের বাসা ফিরোজায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকরা ওই সময়ে খুবই নরম ভাষায় কথা বলেছেন। ওনার অবস্থা ওই সময় স্থিতিশীল ছিল।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হাসপাতালে আসার পর ওনার পরিবার যখন বাইরে নেয়ার আবেদন করেছিল তখন দেশনেত্রীর অবস্থা খারাপ ছিল। ডাক্তাররা পর্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে তারা একটা রিপোর্টও দিয়েছিলেন যে, তার অবস্থা ভেরি ক্রিটিক্যাল, আমাদের এখানে যে ব্যবস্থা আছে সেটা যথেষ্ট নয়। সেজন্য তারা মনে করেছেন যে যদি বাইরে চিকিৎসাটা নেয়া হয় তাহলে ভালো হবে।’

উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের আবেদনের কথা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা (সরকার) এই আবেদন করার পরপর এমনভাবে কথা বললেন যে সবাই আশাবাদি। জনগনসহ সকলে ভেবেছিলো যে অনুমতি দিয়ে দেবে। একজন অসুস্থর সাথে কেউ রাজনীতি করতে চায় না। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে। হঠাৎ করে তাদের টোন বদলে গেল। তারা বলে দিলেন যে আমরা দিতে পারছি না। কেন পারছেন না সে ব্যাপারে তারা যে যুক্তিগুলো দিলেন সেই যুক্তিগুলো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য খোঁড়া যুক্তি।’

গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহি আদেশে সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়ার মুক্ত হওয়ার পর তিনি সরকারের দেয়া শর্তা ভঙ্গ করেননি দাবি করে তিনি বলেন, ‘ওনি যখন বাসায় কোয়ারেন্টাইন ছিলেন একদিনের জন্যও তাদের শর্ত ভঙ্গ করেন নাই। ওনি একদিনের জন্য ঘরের বাইরে যাননি। বাসার বাইরে যাননি। কোথাও কোনো বক্তব্য দেননি। আমরা হয়ত মাঝে-মধ্যে আপনাদের বলেছি যে ওনি আপনাদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার জন্য দোয়া করতে বলেছেন। কিন্তু নিজে কোনোদিন আপনাদের কিছু বলেন নি। এমনকি বেলকনিতে দাঁড়িয়ে হাতও নাড়াননি।’

এসময় খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্যকামনায় দেশবাসীর কাছে আবারো দোয়া চান মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনা মহামারীর এই দুঃসময়েও ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দোয়া করছি গোটা বিশ্ব ও গোটা জাতি যেন করোনামুক্ত হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement