৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শপথ নিতে বারণ মানবেন না ঐক্যফ্রন্ট এমপিরা, ধারণা কাদেরের

রাজনীতি
ওবায়দুল কাদের - ফাইল ছবি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ার বিষয়ে তাদের দলের সিদ্ধান্ত নাও মেনে নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডি কার্যালয়ে উপজেলা চেয়ারম্যন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রির শুরুতে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট থেকে দুইজন সংসদ সদস্যকে তারা শপথ নিতে বারণ করেছে। শেষ পর্যন্ত তারা কি শুনবে নেতৃত্বের বারণ? আমার তো মনে হয় না।”

গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে জয়ী হন গণফোরাম নেতা সুলতান মনসুর এবং অপর নেতা মোকাব্বির খান জয়ী হন গণফোরামের নিজস্ব প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে। ওই নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে ঐক্যফ্রন্ট ও তাদের শরিক বিএনপি।

‘নির্দলীয়’ সরকারের অধীনে পুনঃভোটের দাবি জানানো বিএনপির নির্বাচিত ছয় নেতাও শপথ নেবেন না বলে দলটির নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে গণফোরামের দুই নেতা সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খান শপথ নেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

গত বৃহস্পতিবার ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকের পর গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন জানিয়েছিলেন, দুই নেতাকে শপথ নিতে বারণ করা হয়েছে।

এরপরও অবশ্য ‘সময়মতো’ শপথ নেওয়ার কথা বলেছেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মনসুর।

ভোটে জয়ী গণফোরামের দুই নেতার সাথে ‘কথা হয়েছে’ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমার তাদের সাথে কথা হয়েছে। তাদের বক্তব্য- ‘জনগণ আমাদের ভোট দিয়েছে, আমরা জনগণের হয়ে সংসদে কথা বলতে চাই’ এরকম মনোভাব তাদের মধ্যে আছে। এই অবস্থায় তাদের সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ না করার যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর নাও হতে পারে।”

‘বিএনপির পাঁচজনের বেলায় কি হবে সেটাও এই মুহূর্তে বলা যাবে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম যে নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের চাপের মুখে কতদিন শপথ না নিয়ে থাকতে পারবেন এটাও ভেবে দেখতে হবে। অথবা কৌশলগত কারণে পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।’

নেতাকর্মীরা বিএনপি ছাড়তে শুরু করেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা এখন কি করবে এটা খুঁজে পাচ্ছে না। দল থেকে পদত্যাগ করছে, অনেকেই করবে। দল থেকে সরে যেতে শুরু করেছে ‘

বিএনপির উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেয়ার ঘোষণার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থিতার অভাব হবে বলে মনে হচ্ছে না। এটা তো জাতীয় নির্বাচন না। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী অনেক থাকবে। তবে এখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ একেবারেই কম। বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও অনেক দলই নির্বাচন করবে।’

‘বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা অফিসিয়ালি, দলীয়ভাবে তারা বলেছে। কিন্তু ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে তাদের ওয়ার্ড পর্যায়ে অনেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। কাউন্সিলরে দলীয় প্রতীক নেই, তারা কিন্তু নির্বাচনে আছে। তারা একেবারে মাঠে নেই এ কথা বলা যাচ্ছে না। এখন উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারে, দিলে অবাক হবার কিছু নেই। আমাদের সব কিছুই মাথায় আছে, রাখতে হচ্ছে।’

কাদের বলেন, ‘বিএনপি এমন কি করতে পারে এটাও আমরা মাথায় রাখছি। তারা ওপেনলি মাঠে থাকছে না, আবার ভেতরে ভেতর মনোনয়ন পত্র জমা দিচ্ছে।’

বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘গণআন্দোলন করার মতো ইস্যু তাদের কাছে ছিল, কিন্তু তারা তখন আন্দোলন করতে পারেনি। তাদের দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি যখন গ্রেফতার হলেন তখন তারা জনমনে বিন্দুমাত্র আলোড়ন তুলতে পারেনি। তারা যে আন্দোলন করবে নতুন করে কোনো ইস্যু তাদের সামনে নেই। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এ মুহূর্তে সরকার তো কোনো ইস্যু দিচ্ছে না তাহলে তারা কীসের উপর ভিত্তি করে আন্দোলন করবে।’


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য সরবরাহ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনায় ব্লিঙ্কেনের জর্ডান যাত্রা বৃষ্টি আইনে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রংপুরে শ্রম আদালতের মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত নোয়াখালীতে নজিরবিহীন লোডশেডিং ‘আইসিজের গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দিচ্ছে ইসরাইল’ ‘আনারসের পাতা থেকে সিল্কের জামদানি শাড়ি আশার আলো জাগাবে’ গাজীপুরে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বেঁকে গেছে রেললাইন, ঢালা হলো পানি সিলেটে বহুতল ভবন থেকে পড়ে সিসিক কর্মচারীর মৃত্যু ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মুক্তাদির, সম্পাদক জাওহার ফিলিস্তিনে আহত ও বাস্তুহারাদের জন্য আর্থিক সহায়তা ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল পাচার হওয়া ২০ নারী-শিশু

সকল