১৭ জুন ২০২৪
`

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম - ছবি - ইন্টারনেট

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। জাতীয় পর্যায়ে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাবার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।

কাজী নজরুল ইসলাম চিরপ্রেমের কবি। তিনি যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী, কিন্তু তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। তাই মানুষটি অনায়াসেই বলতে পারেন ‘আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।’ পৃথিবীতে এমন কয়জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সর্ম্পককে অস্বীকার করে পথে বেরিয়ে পড়তে পারেন?

এ বছর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও নজরুল’। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ উদ্বোধন করবেন সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। এ ছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানের নেতৃত্বে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চত্ত্বরে কবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এ ছাড়াও ময়মনসিংহ, জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। তার লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।

তার কবিতা ও গান মানুষকে যুগে যুগে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement
সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল : সুরমার পানি বিপদসীমার অনেক উপরে প্রবাহিত কচুখেতে মিলল কীটনাশক ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দানকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করার ঘোষণা ইসরাইলের ধলেশ্বরী নদী থেকে কারা হিসাবরক্ষকের লাশ উদ্ধার ঈদে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ২ ভাই নিহত গুম-খুন হওয়া নেতাদের পরিবারের খোঁজখবর নিলেন রিজভী স্লোভেনিয়ার সাথে ১-১ গোলে ড্র করেছে ডেনমার্ক অল্প পুঁজি নিয়েও জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম : শান্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া ও ত্রাণ পাঠিয়ে এশিয়াজুড়ে ঈদ উদযাপন নেপালের জয়ের সম্ভাবনা দেখে নর্তন-কুর্দন, পড়ে গেলেন সুইমিং পুরে, ভিডিও ভাইরাল তানজিমের এক স্পেলে বাংলাদেশ যেভাবে 'সুপার এইট' নিশ্চিত করল

সকল