৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সংসদে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

কোনো প্রভাবশালীর প্রভাবে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হবে না

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী - ফাইল ছবি

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদী দখল মুক্ত করার লক্ষ্যে যে উচ্ছেদ অভিযানের কাজ হাতে নিয়েছি সেখান থেকে পিছপা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সর্বস্তরের মানুষ এটাকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কেউ হতে পারে না, সুতরাং নদী দখল মুক্ত অভিযান চলবে। কারো প্রভাবে এটি বন্ধ হবে না, কেউ বাঁধা দিলে তা মানা হবে না। এটি অব্যহত থাকবে।

সংসদে প্রশ্নোত্তরে বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৬ সালে একনেক বৈঠকে ঢাকার চার পাশের নদী দূষণরোধ ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর দূষণ ও নদী দখল মুক্ত করার জন্য একটি প্রকল্প পাশ হয়। সে সময় এ বিষয়ক একটি টাস্কফোর্সও গঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার চারপাশের নদীসহ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীর দখলমুক্ত করতে ও নদী দূষণরোধে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চলছে। কোনো প্রভাবশালীর প্রভাবে এটা বন্ধ হবে না। এটাকে কেউ রোধ করতে পারবে না। উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

তিনি বলেন, আমরা কর্ণফুলী নদীর তীরেও উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছি। এর পরে আমরা নদীর নাব্যতা বাড়িয়ে এটাকে আরো বেশী বাণিজ্যিকভাবে কাজে লাগাতে চাই।

৬৩৯ নৌ দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৭৩২ জনের মৃত্যু : দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, স্বাধীনতার পরে ১৯৭৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছোট বড় মোট ৬৩৯টি দুর্ঘটনায় মোট ৪ হাজার ৭৩২ জন মারা গেছেন। তিনি জানান, মেরিন কোর্টে উক্ত সময়ে নৌ দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন অপরাধে জন্য ২৬ হাজার ৮৯৭টি মামলা হয়। এর মধ্যে নৌ দুর্ঘটনার মামলা ৪৪৮টি। নৌ দুর্ঘটনায় ২০৪টি মামলার আসামীদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। অবশিষ্ট মামলা বিচারাধীন আছে। মন্ত্রী আরো জানান, আইনানুসারে সকল নৌযানের রেজিস্ট্রেশন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও বর্তমানে চলাচলরত অনেক নৌযানের রেজিস্ট্রেশন এবং সার্ভে সনদ নেই।

এম আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে জেটি পর্যন্ত প্রায় ১৬ কি. মি. নেভিগেশনাল চ্যানেলে নিয়মিতসংরক্ষণ ও ড্রেজিং করে নাব্যতা রক্ষা করা হয়। কর্নফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এর ফলে ৪২.৮০ লাখ ঘনমিটার ড্রেজিং করা হবে।

শামসুল হক টুকুর এক প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজের সংখ্যা ৪টি। চলতি বছরে আর কোনো জাহাজ কেনার পরিকল্পনা নেই। তবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন উদ্ধার ইউনিট সংগ্রহের জন্য বুয়েট কতৃক ফেসিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে। এটি শেষ হবার পরে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement