২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শহর ছেয়ে গেছে এই বিলবোর্ডে

আইডিয়ার বাস্তবায়নে পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে কড়কড়ে ৭২ হাজার টাকা - সংগৃহীত

কথা ছিল সে আসবে শুক্রবার। তার আগেই এক দফা ঝগড়া হয়ে গেছে দু'জনের। তাই মান ভাঙাতে হবে বান্ধবীর। কিন্তু কী করা যায়?

এসব ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ তার মাথায় খেলে গেলো এক 'ক্রিয়েটিভ আইডিয়া'। বন্ধুকে সাথে নিয়ে সেই আইডিয়ার বাস্তবায়নে সে কাজেও নেমে পড়লো।

আর শুক্রবার সকালে তার ফলাফল দেখতে পেলেন মহারাষ্ট্রের পুনে লাগোয়া এলাকা পিম্পরির বাসিন্দারা।

সমস্ত রাস্তা ছেয়ে গেছে ছোট বড় হোর্ডিংয়ে বা সাইনবোর্ডে - ফ্লেক্সে ছাপানো, কাঠের ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাস্তার ল্যাম্পপোস্ট, রোড ডিভাইডারের ওপরে লাগানো।

সেগুলোতে ইংরেজিতে লেখা "শিভঢ়ে, আই অ্যাম সরি", সাথে একটি লাল রঙের হার্ট - প্রেমের চিহ্ন।

প্রথমে কেউ কেউ ভেবেছিলেন কোনো নতুন ছবির বিজ্ঞাপন বুঝি!

তারপরে খবর পেলো পুলিশ।

কে লাগালো এত হোর্ডিং! কর্পোরেশনের অনুমোদন ছাড়া হোর্ডিং লাগানো তো বেআইনি!

খুঁজে পাওয়া গেল যে ছাপাখানায় এগুলো ছাপা হয়েছে, তার।

সেখান থেকে জানা গেল ছাপার অর্ডার দিয়েছিল কে!

আর শেষমেশ খুঁজে পাওয়া গেল ২৫ বছর বয়সী নীলেশ খেড়েকারকে। যার মাথায় এসেছিল বান্ধবীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার এই 'চমকপ্রদ' পদ্ধতি। ।

বেশ কয়েকবারের চেষ্টায় ফোনে ধরা গেল ব্যবসায়ী পরিবারের সন্তান খেড়েকারকে।

জানতে চাওয়া হলো, "আপনিই লাগিয়েছিলেন ওই হোর্ডিংগুলো?"

কয়েক সেকেন্ড চুপ। তারপরে বললেন, "বিষয়টা খুব ব্যক্তিগত। প্লিজ আমার কাছে কিছু জানতে চাইবেন না।"

কিন্তু ওয়াকাড থানার অফিসার সতীশ মাণে বিবিসি বাংলাকে শোনালেন ঘটনাটা।

"নীলেশের বন্ধুর কাছ থেকেই আমরা জানতে পারি প্রথমে যে বিষয়টা কী। তারপরে ওকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম আমরা। নীলেশের সাথে তার বান্ধবীর ঝগড়া হয়েছিল। তারপরেই মেয়েটি মুম্বাইতে চলে যায়। শুক্রবার সে শহরে ফিরবে, এটা জানতে পেরে বান্ধবীর কাছে সরি বলার জন্য একটা অভিনব উপায় খুঁজছিল নীলেশ। তখনই তার মাথায় আসে যে শহর জুড়ে হোর্ডিং লাগিয়ে চমকে দেবে বান্ধবীকে," হাসতে হাসতে বলছিলেন সতীশ।

বান্ধবীর নাম স্বাভাবিক কারণেই প্রকাশ করে তাকে বিব্রত করতে চাইছে না পুলিশ। তবে তারা এটুকু বলছে, নীলেশ তার বান্ধবীকে শিভঢ়ে নামে ডাকত। সেটাই তার পদবী কি না, জানা যায়নি।

তবে বান্ধবীকে চমকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার এই অভিনব উপায় যে তাকে এরকম বিব্রতকর অবস্থায় ফেলবে, সেটা বোধহয় বুঝতে পারেননি নীলেশ। আর চমক দিতে গিয়ে তার পকেট থেকে খরচও কম হয়নি।

ফ্লেক্স হোর্ডিং ছাপানোর পরে বেশ কিছু যুবককে দিয়ে সেগুলো রাত জেগে রাস্তায় লাগাতে হয়েছে। পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে কড়কড়ে ৭২ হাজার টাকা।

এতো কিছুর পরে নীলেশের সেই বান্ধবী কী ক্ষমা করল তাকে? জানা যাচ্ছে না সেটা।

যে বান্ধবীকে ঘিরে এত কাণ্ড, সে কী আদৌ দেখতে পেয়েছে হোর্ডিংগুলো?

কারণ পুলিশে কাছে ধমক খেয়ে হোর্ডিংগুলো রাতারাতি সরিয়ে নিয়েছে নীলেশ আর তার বন্ধুরা।


আরো সংবাদ



premium cement
শ্রীনগরে ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ টানা চতুর্থবার কমলো স্বর্ণের দাম দেশের রাজনীতি ঠিক নেই বলেই অর্থনীতির ভয়ঙ্কর অবস্থা : সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন বগুড়ায় ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ৫ সোনারগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় নেপালের পানিবিদ্যুৎ কিনছে ভারত, বাংলাদেশের অগ্রগতি কতটুকু? ‘নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বিএনপি থেকে চিরতরে বহিষ্কার’ ইউক্রেনের জন্য ৬ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের বগুড়ার শেরপুর প্রেসক্লাবের পুন: সভাপতি নিমাই-সম্পাদক মান্নান হিট স্ট্রোকে পাইকগাছার ইটভাটা শ্রমিকের মৃত্যু মুন্সীগঞ্জে অটোরিকশার ধাক্কায় শিশু নিহত

সকল