০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ডা. কুদ্দুসকে পুলিশী হেনস্তার ঘটনায় সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের নিন্দা

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক জাহিদ, সদস্য সচিব কাদের - ছবি : সংগৃহীত

বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী, জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুসকে পুলিশী হেনস্তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)।

রোববার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএসপিপির আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী এ ঘটনাকে মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও সংবিধান পরিপন্থী উল্লেখ করে এ ঘটনায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল দুপুরে ভাটারা থানা এলাকায় বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি অংশ নেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মো: আব্দুল কুদ্দুস। কোনো কারণ ছাড়াই ভাটারা থানা পুলিশ এ সময় জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানকে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় ৪ ঘণ্টা তাকে পুলিশের গাড়িতে বিভিন্নস্থানে ঘুরানোসহ নানাভাবে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। শুধু তাই নয়, পুলিশ অবস্থান কর্মসূচিও ব্যর্থ করে দেয়। একটি স্বাধীন দেশের একজন সিনিয়র সিটিজেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবেই হেনস্তা মেনে নেয়া যায় না।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সংবিধানের ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন মোতাবেক বাংলাদেশের সর্বত্র অবাধ চলাফেরা, এর যে কোনো স্থানে বসবাস ও বসতিস্থাপন এবং বাংলাদেশ ত্যাগ ও বাংলাদেশে পুনঃপ্রবেশ করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

৩৭ নম্বর অনুচ্ছেদ মোতাবেক, আইনসাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

৩৮ নম্বর অনুচ্ছেদ বলে যে, আইন সাপেক্ষে সমিতি বা সংগঠন করবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

৩৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের নাগরিকদের চিন্তা, বিবেক ও বাক-স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য এ মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার জনগন ভোগ করতে পারছে না। সংবিধানকে অনেকটা অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। এটা একটা কার্যকর রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।

পেশাজীবীদের শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সভা-সমাবেশে যোগ দেয়ার অধিকার কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ নয়, বরং তা সাংবিধানিক নিশ্চয়তা। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ব্যক্তি স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার এবং বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক শাসন অত্যন্ত জরুরি। আর এজন্য দরকার ব্যক্তিপর্যায় থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রত্যেক ব্যক্তির সমাজে সুস্থ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা ‍নিশ্চিত করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য মানবাধিকারক ও সাংবিধানিক অধিকারকে অসম্মান ও বাতিল করাটা বর্তমান সরকারের রোগে পরিণত হয়েছে।

বিবৃতিতে পেশাজীবী নেতারা নিপীড়নের পথ পরিহার করে জনগণের মানবিক ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।


আরো সংবাদ



premium cement