২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রে ভারী অস্ত্র রাখা হয়নি : রাশিয়া

খারকিভে হামলায় নিহত ৬
মস্কোর প্যাট্রিয়ট এক্সিবিশন সেন্টারে ইউক্রেন থেকে উদ্ধার করা বিদেশী অস্ত্রের প্রদর্শনী : ইন্টারনেট -

ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়ায় কোনো ভারী অস্ত্র মোতায়েন করা হয়নি বলে দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার রুশ মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্টেশন এলাকায় বা আশপাশের অঞ্চলে রাশিয়ান সেনাদের কাছে কোনো ভারী অস্ত্র নেই। সেখানে শুধু গার্ড ইউনিট আছে। যদিও কিয়েভের অভিযোগ, প্ল্যান্টে থাকা ইউক্রেনীয় সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে রুশ সেনারা।
এ নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের ইউক্রেন সফরের সময় একটি ‘উসকানি’ পরিকল্পনা ছিল কিয়েভের। প্ল্যান্টে বিপর্যয় তৈরি করেছে রাশিয়া, এমন কিছু দেখাতে চেয়েছিল তারা। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইউক্রেন ওই এলাকায় বাহিনী মোতায়েন করছে। শুক্রবার গুতেরেস ওডেসা সফরে যাওয়ার সময় নিকোপোল শহর থেকে প্ল্যান্টে আর্টিলারি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছে।
মস্কোর এমন অভিযোগ নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইউক্রেনে অবস্থিত ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র জাপোরিঝিয়া। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে উভয়পক্ষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিয়েভের দাবি, বল প্রয়োগ করে কেন্দ্রটি অবরুদ্ধ করে রেখেছে রাশিয়া। এতে যেকোনো সময় বিপর্যয় ঘটতে পারে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
খারকিভে হামলায় নিহত ৬ : এ দিকে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে একটি আবাসিক এলাকায় আবার হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও আহত হয়েছে ১৬ জন। খারকিভের আঞ্চলিক গভর্নরের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। এ দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এ হামলাকে ‘ঘৃণ্য ও নিন্দনীয়’ বলে অভিহিত করেছেন।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় বুধবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় একটি আবাসিক ভবনের একটি ব্লক সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘এ ধরনের হামলার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা ক্ষমা করব না। আমরা অবশ্যই প্রতিশোধ নেব।’ আঞ্চলিক গভর্নর ওলেগ সিনহুবভ টেলিগ্রামে বলেছেন, সালতিভকা জেলার গোলাগুলিতে এখন পর্যন্ত ছয়জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং ১৬ জন আহত হয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ বাহিনী আগ্রাসন শুরু করে। যুদ্ধের শুরুর দিকে রুশ বাহিনীর অন্যতম লক্ষ্য ছিল খারকিভ; কিন্তু রাশিয়া শহরটি দখল করতে পারেনি।

 


আরো সংবাদ



premium cement