ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, মার্কিন ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা শুরু করেছে। এমনকি তারা এ নির্বাচনে জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি ভোটারদের ব্যাপক হারে ভোটদানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, শত্রুরা তার দেশের নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতি কমিয়ে দিয়ে ইরানকে সন্ত্রাসবাদের লালনভূমিতে পরিণত করতে চায়। কিন্তু ইরানি জনগণ সে ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না।
আজ শুক্রবার ১৩তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বুধবার জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এবারের নির্বাচনে সাতজন প্রার্থী থাকলেও এরই মধ্যে তিনজন প্রার্থী স্বেচ্ছায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বুধবার নির্বাচন থেকে সরে আসার প্রথম ঘোষণা দেন দুই প্রার্থী মোহসেন মেহের আলীজাদে ও আলীরেজা যাকানি। তারপর আরেক প্রার্থী সাঈদ জালিলিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। এ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে অনুমোদন পেয়েছিলেন সাত জন। তিনজন সরে দাঁড়ানোয় এখন প্রার্থী থাকল চারজন।
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, সব ক্ষেত্রে ইরানের ভবিষ্যৎ শুক্রবারের নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের ওপর নির্ভর করছে। নিজেদের হাতে দেশের ভাগ্য গঠন করার সুযোগ পাচ্ছে দেশের জনগণ। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সর্বোচ্চ মাত্রায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে। তিনি বলেন, মার্কিন ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো আগে থেকেই এ নির্বাচনে জনগণের উপস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা শুরু করেছে। এমনকি তারা এ নির্বাচনে জনগণকে ভোটদানে নিরুৎসাহিত করার ব্যাপক চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে ২৭টি ভোটকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি অঙ্গরাজ্যের এসব কেন্দ্রগুলোতে ভোট দিতে পারবেন প্রবাসী নাগরিকরা। গত মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তখত রাভাঞ্চি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ১৮ জুন শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ কানাডাতেও একইভাবে ভোটগ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছিল ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে দেশটির তরফে অনুমতি মেলেনি বলে জানান মাজিদ তখত রাভাঞ্চি। তিনি জানান, কানাডায় ভোটগ্রহণের অনুমতি না পাওয়ায় দেশটির সীমান্ত সংলগ্ন নিউইয়র্কের বাফেলোতে একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। কানাডায় বসবাসরত ইরানিদের ভোট দেয়ার সুবিধার্থে এটি স্থাপন করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা