০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


তুরস্কে ভূমিকম্পে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৩১

-

তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। ওই ভূমিকম্পে আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ। গত ২৪ জানুয়ারি তুরস্কের ইলাজিগের সিভরাইস জেলায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভয়াবহ এই কম্পনে মৃতের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের আঘাতে এলাজিগ প্রদেশের সিভরিস শহরে বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। ভূমিকম্পের সময় প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া, লেবানন ও ইরানেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়।
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর ৬০ বার পরাঘাত (আফটারশক) অনুভূত হয়েছে। এলাজিগের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে প্রতিবেশী মালাতিয়ার গভর্নর ওই এলাকায় ছয়জনের মৃতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তুরস্কে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর আগে দেশটিতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯৯ সালে। সে বছর দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় ইজমিত শহরে ভূমিকম্পের আঘাতে প্রায় ১৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া ধ্বংসস্তূপে ১৭ ঘণ্টা পর মিলেছে প্রাণের সন্ধান। শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলে ভূমিকম্পে ধসেপড়া বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে এক নারীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত নারীর নাম আজিজি। এ ছাড়া ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপের নিচে ১২ ঘণ্টা আটকা থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে এক গর্ভবতী নারীকে। এখন পর্যন্ত মোট ৩৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে বলে জানিয়েছেন তুরস্তের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলাইমান সোয়লু।
এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে। আরব ও ইউরেশীয় প্লেটের ওপর অবস্থিত তুরস্ককে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ আগস্ট ৩৭ সেকেন্ডের এক ভূমিকম্পে দেশটিতে ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হন আরো ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। তুরস্কের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় মারমারা অঞ্চলে কম্পনটি আঘাত হেনেছিল। এর তিন মাসের মাথায় ১৯৯৯ সালের ১২ নভেম্বর ডিজসে প্রদেশে ৭ মাত্রার আরেকটি কম্পন আঘাত হানে। এতে ৮৪৫ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরো প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।

 


আরো সংবাদ



premium cement