২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

একটি ভাইরাল ভিডিওর বিরুদ্ধে সোশাল মিডিয়ার লড়াই

সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের অনেকেই জানেন যে কোথায় আসল খবর পাওয়া যাবে -

সামাজিক যোগাযোগের প্রধান মাধ্যমগুলো করোনাভাইরাস ষড়যন্ত্র তত্ত্বের ওপর তৈরি এক ভিডিও সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু ইন্টারনেটে দ্রুতগতিতে এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে।

'প্ল্যানডেমিক' নামে পরিচিত এই ভিডিওটি তৈরি হয়েছে ডকুমেন্টারির আদলে। নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের ওপর যেসব ভিডিও রয়েছে এর মান তার চেয়ে উন্নত।

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং তার বিস্তার সম্পর্কে ভিডিওটি ভুয়া মেডিকেল তথ্যে ভরপুর।

ছাব্বিশ মিনিটের এই ভিডিওটি আপলোড করা হয় চলতি সপ্তাহের গোড়াতে। এরপর ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটার এবং নানা ওয়েবসাইটে এটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।

এই ভিডিওতে যেসব দাবি করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে: করোনাভাইরাস ল্যাবরেটরিতে তৈরি হয়েছে, এটি প্রকৃতিগতভাবে তৈরি হয়নি, ফেস মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করলে মানুষ আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে, এবং সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দেয়া পাগলামি - কারণ নোনা পানিতে এক ধরনের ক্ষুদ্র কণিকা রয়েছে যার কারণে করোনাভাইরাস সেরে যায়।

কিন্তু এসব দাবির কোনটির জন্য ঐ ভিডিওতে কোন ধরনের নির্ভরযোগ্য বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি।

ভিডিওতে আরও বলা হয়েছে যে করোনাভাইরাসে মৃতের ভুল সংখ্যা প্রচার করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য : বিশ্বের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা।

লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ভিডিও দেখেছে এবং তারপর ফেসুবক, ইউটিউব এবং ভিমিও ভিডিওটি সরিয়ে দিয়েছে।

কিন্তু এতে ঐ ভিডিওর নির্মাতারই সুবিধে হয়েছে, কারণ সে দাবি করতে পারছে যে এই ভিডিও মুছে ফেলার প্রচেষ্টাও আসলে বিশ্বব্যাপী এক ষড়যন্ত্রের অংশ।

করোনাভাইরাস মহামারিকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ মিথ্যে তথ্য ছড়ানো হবে এই আশঙ্কায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো তাদের নীতিমালায় আগাম পরিবর্তন ঘটায়।

টুইটার কর্তৃপক্ষ বলছে, 'অসমর্থিত দাবি' রয়েছে এমন সব পোস্ট তারা ডিলিট করবে। ফেসবুক বলেছে, গ্রাহকরা যাতে নির্ভরযোগ্য তথ্য দেখতে পায় সেজন্য তারা কিছু টুল ব্যবহার শুরু করেছে।

ইউটিউব বলছে, "ঐ নির্দিষ্ট ভিডিওটি তারা সরিয়ে দিয়েছে কারণ সেখানে করোনাভাইরাসের ওষুধ সম্পর্কে এমন দাবি করা হয়েছে যার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।"
সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement