২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


হিমালয় অঞ্চলে যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ ভূমিকম্প!

হিমালয় অঞ্চলে যেকোনো মুহূর্তে ভয়াবহ ভূমিকম্প! - নয়া দিগন্ত

শুক্রবার রাতে ৬.৪ মাত্রার জোরালো ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে নেপালের মাটি। কম্পনের অভিঘাতে নেপালে ১২০-এর বেশি মানুষ মারা গিয়েছেন বলে খবর। কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহারসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। হিমালয়-সংলগ্ন এলাকায় ঘন ঘন ভূমিকম্পের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের একাংশের বক্তব্য, হিমালয়ের নিচে ভূকম্পন বলয় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। যার জেরে ভারতীয় পাতের সাথে ইউরেশীয় পাতের বিরোধ তৈরি হতে পারে। ভারতীয় পাতটি ক্রমে উত্তর দিকে এগোচ্ছে। এর ফলে ইউরেশীয় পাতের সাথে তার সংঘর্ষ হতে পারে। তাই হিমালয় এলাকায় যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডে-কে ভূকম্পনবিদ অজয় পাল জানিয়েছেন, নেপালের নিচে একটি ভূকম্পন বলয়কে অতি সক্রিয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাই বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে। শুক্রবারের ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের ডোটি জেলার কাছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসেও ওই একই এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছিল, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.৩। তিনজন মারা গিয়েছিল সেই কম্পনের ফলে। এ ছাড়া, গত ৩ অক্টোবর নেপালের ওই এলাকাতেই পর পর বেশ কয়েক বার কম্পন অনুভূত হয়। কম্পনগুলোর মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল অত্যন্ত কম।

অনেকের মতে চার থেকে পাঁচ কোটি বছর আগে ভারতীয় পাত এবং ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলেই তৈরি হয়েছিল হিমালয় পর্বতমালা। ভারতীয় পাতের ওই উত্তরাভিমুখী গমন এখনো থামেনি। তাই ছোট-বড় ভূমিকম্প ওই এলাকায় লেগেই আছে। বিজ্ঞানীদের মতে, ভারতীয় পাতের সক্রিয়তার ফলে ইউরেশীয় পাতের উপরে যে চাপ তৈরি হচ্ছে, আগামী দিনে তা বড়সড় ভূমিকম্পের আকার নিতে পারে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা হতে পারে আটের বেশি। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement