০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ময়মনসিংহে শিশু ও তরুণীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

- ছবি : নয়া দিগন্ত

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মাদরাসা পড়ুয়া এক শিশুকে (১১) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা এবং নগরীর রেস্ট হাউজে এক তরুণীর গলা কেটে হত্যা মামলায় এক কিশোরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুঞা এ তথ্য জানান। এর আগে সোমবার ডিবি পুলিশের একটি দল সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া ও কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ মুন্সিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের ইস্রারাফিল আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২০) ও নাম প্রকাশ না করা এক কিশোর। গলা কেটে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার রাকিবুল ইসলাম (২৩)।

পুলিশ সুপার জানায়, গত ১৮ মার্চ ধোবাউড়ার কলসিন্দুর গ্রামের মাদরাসা পড়ুয়া এক শিশুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নেতাই নদীর তীরে একটি কলাবাগানে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে একটি চক্র। ধর্ষণ শেষে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন শিশুটির বাবা ধোবাউড়া থানায় মামলা করলে পুলিশ দু‘জনকে গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে একইদিনে নগরীর একটি রেস্ট হাউজ থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলামকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গেফতার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ।

পুলিশ সুপার জানায়, অভিযুক্ত রাকিবুল তাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য মিরপুর থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাত তরুণীকে ভাড়া করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসেন। পরে ময়মনসিংহের ছোট বাজার এলাকায় নিরালা রেস্ট হাউজ নামে একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন। হোটেলে উঠার পর ওই তরুণীকে পাঁচ হাজার টাকার পরিবর্তে এক হাজার টাকা দিতে চাইলে তাদের মধ্যে বিরোধ বাধে। একপর্যায়ে রাকিবুল হোটেলে নিচে নেমে এসে ১০০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি ক্রয় করে। এরপর হোটেলে ফিরে তরুণীকে জবাই করে হত্যা করে রুমে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাকিবুলকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement